শুক্রবার, জুলাই ২৬

একটি অচেনা রাতের গল্প : আসেফ আব্দুল্লাহ

0

আমার খালামণির মুখে বহুবার শুনেছি─ ‘যারা সুন্দরী তাদের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে যায়, যে কয়েকজনের দেরিতে বিয়ে হয়─ হয় তারা অনেক ভালো না হলে চরিত্রহীনা।’

এমন নানা কথা শুনতে শুনতে আমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে যায়। কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করে তো ফেলেছি কিন্তু সমাজের চরিত্র নির্ণায়ক পরীক্ষায় মেরেছি ফেল। আমাকে অমুকের বউ অমুকের বউ বলতে না পারার ক্ষোভে পাড়া-প্রতিবেশীর ঘুম হয় না। আমার বাবা, যিনি এ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, তিনিও নানান লোকের নানা কথা শুনে বিচলিত হয়ে পড়েছেন আমার বিয়ে নিয়ে। আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন সকলে। অবশেষে আমার পরিচয় মিস মাইশা থেকে মিসেস সাঈদ হোসেইন প্রমোশন পেল। প্রমোশনই বটে, আমি ছাত্রী, শিক্ষিকা, ডক্টর যাই হই না কেন বিয়ের পর আমি এখন মিসেস অমুক বা তমুক।

বিয়ের পরে আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো শ্বশুরবাড়ি। কত লোক এসে দেখে গেল আমায় যেন আমি চিড়িয়াখানায় আগত‌ নতুন এক জন্তু। আমাকে দেখে কত জন প্রশংসায় পঞ্চমুখ আবার কেউ কেউ ভর্ৎসনাও করছিলেন আড়ালে।

ঘটা করে অনেক অর্থ ব্যয়ে সাঈদের সঙ্গে বিয়েতে বসলাম। বসলাম বলাটাই ভালো কারণ আমি তো আর নিজের ইচ্ছায় বিয়েটা করছি না। মার সাথে অনেক ঝগড়া করলেও আমার বাবার সামনে নত হয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই বসতে হয়েছিল আমাকে। সাঈদকে যে আমার অপছন্দ হয়েছিল কিংবা আমার আরও পড়াশোনা করার ইচ্ছে ছিল এমনটাও নয়। তবুও কেন যেন মন থেকে বিয়ে করার ইচ্ছে আমার ছিল না। বিয়ের পরে আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো শ্বশুরবাড়ি। কত লোক এসে দেখে গেল আমায় যেন আমি চিড়িয়াখানায় আগত‌ নতুন এক জন্তু। আমাকে দেখে কত জন প্রশংসায় পঞ্চমুখ আবার কেউ কেউ ভর্ৎসনাও করছিলেন আড়ালে। কত লোক জনের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো কিন্তু এক দেখাতে কি আর আমি এত এত সম্পর্ক মনে রাখতে পারি!

রাতে সুন্দর সুসজ্জিত ঘরে আমাকে বসিয়ে দেওয়া হলো। দেখলাম রুমটা বেশ বড়ো, বিছানাটা ফুলে ফুলে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। রজনিগন্ধার ঘ্রাণ আসছিল, ভালোই লাগছিল। অনেকে আসলেন আমাকে নানা উপদেশ দিয়ে চলে গেলেন। আমার খালামণি এসেছিলেন কনেপক্ষের হয়ে আমার কানে কানে বলে গেলেন ‘চুপচাপ থাকবি, সুন্দর নম্রভাবে কথা বলবি, জামাই যা করবে করুক আজকে কিছু বলবি না একদম!’

মনে কিছুটা আতঙ্কের সৃষ্টি হলো। একটু অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করলাম। সত্যিই কি আজকেই আমার প্রথম মিলন ঘটবে। সিনেমা নাটকে তো সবসময় ভিন্ন চিত্র দেখে এসেছি, অবশ্য এটা তো আর নাটক বা সিনেমা নয়─ আজ সত্যিই আমার বাসর রাত। তখন দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ঘটা করে লেখা আছে ‘তানিমের বাসর রাত’। সাঈদের ডাক নাম তানিম। কিন্তু আজ তো আমারও বাসর রাত, বাড়ি সাঈদের বলে কি আমার নাম থাকবে না! বাসরটা কি ওর একার নাকি!

আমি চুপচাপ বসে আছি আর ভাবতে চেষ্টা করেও কিছু ভাবতে পারছি না। বেশ রাত করে সাঈদ ঘরে ঢুকল। গেট লাগানোর শব্দে তার দিকে তাকালাম আমি। আমার থেকে প্রায় তিন ইঞ্চি লম্বা সাঈদ। প্রশস্ত কাঁধে শেরওয়ানিটা দারুণ মানিয়েছে। দেখতে সুদর্শন। বয়সে আমার থেকে প্রায় আট বছরের বড়ো। তার হাতে একগুচ্ছ গোলাপ ফুল তাও আবার সাদা গোলাপ। আমার পছন্দের ফুল সাদা গোলাপ এটা ও জানল কী করে? ফুলের আড়ালে তার হাতদুখানি দেখতে পাচ্ছিলাম। সাঈদের দুই আঙুলে চকচক করছে আমার বাবা আর কাকুর দেওয়া আংটি, কব্জিতে ঝুলছে আমার খালুর দেওয়া হাতঘড়ি, গলায় ঝুলছে আমার ফুফুর দেওয়া চেন। তার গলা দেখে আমি কিছুক্ষণ ওদিকেই আড়চোখে তাকিয়ে ছিলাম। গলা বেয়ে হালকা দাড়ি উপরে উঠে ঘন চাপ দাড়ি সাজিয়ে দিয়েছে। তার ঠোঁট দুটো কিছুটা কালো, চা খেয়ে খেয়ে ঠোঁটের উজ্জ্বলতা চলে গেলে যেরকম মলিন দেখায় অনেকটা সেরকমই। তার ওষ্ঠের কিছু অংশে ছায়া পড়েছে সুন্দর কালো গুচ্ছিত গোঁফের। সুন্দর জোড়া ভ্রূর নিচে অনেকটা জায়গা দখল করে আছে তার দুটি ভ্রমর কালো চোখ। তার সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। কিন্তু এই সৌন্দর্য ছাড়াও তার চোখে মুখে যেটা খুঁজেছি সেটা আমি পাইনি। খুঁজে পাইনি কোনো মায়া, কোনো ভালোবাসা।

আমাকে দেখে যেন তার চোখে মুখে ভেসে উঠছিল বিজয়ের গৌরব। আমাকে বিয়ে করে সে যেন বাজি জিতে গেছে। আমার কাছে এসে আমার সঙ্গে আলাপ করা শুরু করল কিন্তু খুব একটু সুবিধা আমি করে উঠতে পারছিলাম না। আমার সুন্দর শ্রী, কোমল ত্বক, শাড়ি আর গয়নায় অলংকৃত লাস্যময়ী দেহ যেন তার মনে লালসা আর উত্তেজনার বন্যা বইয়ে দিচ্ছিল। তার চোখে মুখে কামলালসা আর কুমারী ভোজের আকাঙ্ক্ষা আমি স্পষ্ট লক্ষ্য করলাম। অন্য মেয়েদের মতো আমিও এমন নজর দেখে দেখে সাঈদের কামনাভরা নজর ঠিক চিনতে পেরেছি। আমার কাছে এসে সাঈদ আমার সঙ্গে গল্প শুরু করেছেন। ঠিক গল্প নয়, আমাকে যা যা জিজ্ঞেস করছেন আমি তাই তাই উত্তর দিচ্ছি। প্রশ্নত্তোর পর্বের ইতি টেনে তিনি আমাকে সাদা গোলাপের গুচ্ছটি দিলেন, দিলেন কারণ ওনাকে হয়তো কেউ দিতে বলেছিল, যেমনটা আমার খালাতো ভাই শুভর বিয়েতে ভাবিকে আমি কিছু চকলেট দিতে বলেছিলাম। ফুলগুলো হাতে নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে ব্যাবহৃত টিস্যুর মতো রেখে দিয়ে সাঈদের দিকে তাকালাম।

সাঈদের হাতে আমার উন্মুক্ত স্তনযুগল, আমার দেহ আর আমার মনের কথা শুনছে না, গাইছে না আমার দুঃখের গান। নিজেকে মনে হচ্ছে নতুন কেনা এক হারমোনিয়াম আর সাঈদ যেন আমাকে বাজিয়ে নিচ্ছে ভালোমতো, আমিও তুলে দিচ্ছি সুর যেমনটা সে চাইছে।

তার চোখে মুখে উপচে পড়ছে উত্তেজনা, আমাকে ভোগ করার লালসা। তার দিকে বেশ অনেকক্ষণ তাকিয়ে নিজেকে একটু সহজ করে নিতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু তাকিয়ে থাকার সময় কখন যে সাঈদ আলতোভাবে আমার লাল ঠোঁটরঞ্জনী মাখা ঠোঁটের ওপর তার কালচে খয়েরী ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়েছে বুঝতেও পারিনি। ঠোঁটে আলতো ছোঁয়া পেয়েই আমার শরীরটা কেঁপে উঠল। মনের মধ্যে ঝড় উঠেতে শুরু করল আমার। সাঈদ তার হাত দিয়ে আমার মাথায় বিলি কাটছে আর ঠোঁটে ঢেলে যাচ্ছে কামনার বিষ। আমার কাঁধ থেকে কখন যে শাড়ির আঁচল খসে গেছে আমি টেরও পাইনি। মন বলছিল এক ধাক্কায় ওকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিতে কিন্তু বিয়ের পর যেন আমার মুখে তালা লেগে গেছে। আমার নিজের শরীরই আমার সাথে বিদ্রোহ করেছে। সাঈদের উষ্ণতা পেয়ে আমার শরীর আমার মনের সাথে করেছে আড়ি আর সাঈদের দেহের সাথে পেতেছে সই। আমার হাত, হাত থেকে গলা, গলা থেকে কান, কান থেকে ঠোঁট আমার দেহের আনাচে কানাচে আমার অদেখা সকল ভাঁজে ভাঁজে চড়ে বেড়াচ্ছে সাঈদের আঙুলগুলো, আঙুলে বাবা আর কাকুর দেওয়া আংটি। হাতদুটো আমার পেটের চর্বি গুলোতে আলোড়ন তৈরি করছে, আমার নাভি বেয়ে আস্তে আস্তে উপরে উঠছে; সাপ যেভাবে গাছে ওঠে সেভাবে। আমার ব্লাউজের হুক খসে গেছে এই উত্তাল মৈথুনে, সাঈদের হাতে আমার উন্মুক্ত স্তনযুগল, আমার দেহ আর আমার মনের কথা শুনছে না, গাইছে না আমার দুঃখের গান। নিজেকে মনে হচ্ছে নতুন কেনা এক হারমোনিয়াম আর সাঈদ যেন আমাকে বাজিয়ে নিচ্ছে ভালোমতো, আমিও তুলে দিচ্ছি সুর যেমনটা সে চাইছে। কতক্ষণ আমি এভাবে ঘোরের মধ্যে ছিলাম মনে নেই।

দীর্ঘক্ষণ এরকম মায়াহীন আদরের পর আমি এখন সম্পূর্ণ নগ্ন, ঘরে জ্বালিয়ে রাখা হালকা লাল আলোয় নিজেকে একটু দেখলাম নাভির পাশে দাঁতের দাগ! বুকের বাম দিকে কিছু অংশ লাল হয়ে ছিল। নগ্ন মিসেস সাঈদ হোসেইনের সামনেই উলঙ্গ সাঈদ দু হাঁটুতে ভর দিয়ে মিসেস সাঈদের লোভনীয় শরীরটা চোখ দিয়ে উপভোগ করছে, অনেকটা হুতুম পেঁচার মতো। আমি দেখলাম নগ্ন সাঈদকে, বুকের দুপাশে কালচে-খয়েরী স্তনবৃন্তের চারপাশে লোম। সুন্দর সুডৌল বক্ষ, পেশীবহুল বাহুদুটি অসংখ্য লোমের লোমকূপ থেকে গড়িয়ে পড়া ঘামে কিছুটা ঘর্মাক্ত। লাল আবছা আলোয় সাঈদকে দেখতে দারুণ লাগছিল, সুন্দর সুডৌল বুকের দুপাশে দুটি কালো স্তনবৃন্তজোড়া তাকে আরও লোভনীয় করে তুলেছিল, আমি কিছুক্ষণ উপভোগ করছিলাম। তার ঘামে ভেজা বুক-বাহু চিকচিক করছে, মাথার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে, নাভির নিচে লোম সারিবদ্ধভাবে নিচে নেমে গেছে তার পুরুষাঙ্গের উপর পর্যন্ত, তার নিচে দুপাশে তার লোমাবৃত ভরাট উরু।

সাঈদ সেই মক্ষম মুহূর্তের জন্য তৈরি হচ্ছে, আমার বুঝতে বাকি রইল না আমি কোন পরীক্ষা এখন দিতে চলছি। কিছুটা এলোমেলো আদর খাচ্ছিলাম আর ভেতরে ভেতরে শুকিয়ে যাচ্ছিলাম। সাঈদ আমার শরীরের ওপর শুয়ে আমার উপর হামলে পড়ল, ভয়ার্ত, লজ্জিত আমি তার এই হামলে পড়া মুখ বুজে সহ্য করলাম। আমার ফর্সা সুন্দর দেহের উপর নিজের সব শক্তি খাটিয়ে আমাকে বিছানায় চেপে ধরে এলোপাথাড়ি আদর করতে করতে সে তার উন্মত্ত, নিষ্ঠুর, উত্তেজিত কোনো এক শরীরকে আমার দেহে গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করল। মুখ বুজে সহ্য করা মুখ বন্ধ রইল না আর। বেরিয়ে এলো চিৎকার। আমার শরীরের সাথে লেপ্টে গেল সাঈদের শ্যামলা শরীর, যন্ত্রণায় আমি গোঙাতে লাগলাম, অনেকক্ষণ এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হলো। আমার রক্তাক্ত যৌনাঙ্গ প্রচুর ব্যথা করছিল, যোনিমুখ বেয়ে চুইয়ে পরছিল রক্ত।

আমার শরীরে তীব্র যন্ত্রণা দিয়ে নেমে গেল সাঈদ। হালকা রক্তমাখা বিছানায় শুয়ে থাকা আমার রক্তাক্ত যৌনাঙ্গ দেখে সাঈদের মুখে ফুটল তৃপ্তির হাসি, সন্তুষ্টির হাসি, বাজি জেতার হাসি! বাজার থেকে কিনে আনা মাল্টা কাটার সময় গড়িয়ে পড়া মাল্টারস যেভাবে মাল্টার রসালোতা জানান দেয়, সেভাবে আমার যৌনাঙ্গ বেয়ে গড়িয়ে নামা রক্ত আমার সতীত্বের জানান দিচ্ছে, দিচ্ছে আমার অনাঘ্রাত যৌবনের প্রমাণ। মিষ্টি রসালো মাল্টা খেয়ে মুখে তৃপ্তির হাসি দিয়ে সাঈদ চলে গেল বাথরুমে, আমি শুয়ে রইলাম।

সাঈদ আসার পর ব্লাউজটা পরে, কোনোরকম শাড়ি গায়ে পেঁচিয়ে আমার সদ্য সতীত্ব হারানো শরীর পরিষ্কার করতে বাথরুমে উদ্দেশ্য হাঁটা শুরু করলাম। সতীত্ব টতিত্ব বলে কিছু থাকে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এইসব পুরুষতন্ত্রের বানানো। কিন্তু এখন কেন যেন এটাই মনে হচ্ছে আমি কিছু হারিয়ে ফেলেছি, যেভাবে ফল হারিয়ে ফেলে পুরনো ফুলকে।

বাথরুমে গিয়ে বাথরুমে লাগানো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সব পোশাক খুলে ফেললাম। এখন যে শরীরের উপর সাঈদের কর্তৃত্ব যে শরীরে সাঈদের অধিকার সেই শরীরটাকে ঘৃণার সাথে দেখতে থাকলাম। নাভির পাশে দাঁতের কামড়ের দাগ, গলায় দু আঙুলের লাল লাল ছাপ, মুখের স্নো-পাওডার আর নেই, টিপ খসে গেছে, গলায় ঝুলন্ত সোনার চেনের পাশে সাঈদের সিগারেট-ফুঁকা মুখের কামড়ের দাগ, রক্তাক্ত যোনিমুখে কিছু রক্ত জমাট বেঁধে গেছে, উরুতে রক্ত লেগে আছে, আমার দুহাতে সাঈদের চেপে ধরার ছাপ, স্তনের উন্মুক্ত বোঁটা দুটো কেমন ভারি ভারি লাগছে।

তারপর আবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাইশাকে খুঁজতে লাগলাম, সেই মাইশা যে প্রতিটা খারাপ বিষয়ের প্রতিবাদ করত, সেই মাইশা যাকে পরীক্ষায় এক-দুই মার্ক ভুলবশত কম দেওয়া হলে জোর করে তা আদায় করত, যার অনেক ছেলে বন্ধু থাকা সত্ত্বেও কেউ কোনোদিন চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি

ঝরনা ছেড়ে দাঁড়িয়ে রইলাম, শরীরের দাগ মুছে ফেলার বৃথা চেষ্টা করে গেলাম। তারপর আবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাইশাকে খুঁজতে লাগলাম, সেই মাইশা যে প্রতিটা খারাপ বিষয়ের প্রতিবাদ করত, সেই মাইশা যাকে পরীক্ষায় এক-দুই মার্ক ভুলবশত কম দেওয়া হলে জোর করে তা আদায় করত, যার অনেক ছেলে বন্ধু থাকা সত্ত্বেও কেউ কোনোদিন চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি, সেই মাইশা যে সবসময় পেছন-পেছন ঘুরে বেড়ানো সুদর্শন সব ছেলেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখেছে নিজেকে, সেই মাইশা যে একবার নিতম্বে চাপ দেওয়ার জন্য এক যুবককে কষিয়ে ছিল চড়। সেই মাইশাকে খুঁজতে থাকলাম যে নিজের জীবনকে উপভোগ করতে চেয়েছিল, সেই মাইশা যে আঁকাআঁকি পছন্দ করত, খোলা গলায় গান গাইতো, সেই মাইশা যে সাজগোজ পছন্দ করত, যার পেছনে পড়ে ছিল অনেক ছেলে কিন্তু কখনো তাদের কাছে নিজেকে সে সহজলভ্য করে দেয়নি। সেই মাইশাকে খুঁজে চলেছি যে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াত, যে কারো আধিপত্য পছন্দ করত না, যার কাছে নিজের শখ-আহ্লাদের মূল্য ছিল কচ্ছপের কাছে তার নিজের খোলের মতো। খুঁজে বেড়ালাম আমার অবিবাহিত জীবনে ছেড়ে আসা সবকিছু, আমার বিয়েতে মজা করা সব বান্ধবীদের রিয়া, শ্রেয়া, মিতা, দিশা, রোদশী সবার কথা মনে পড়ছে। তাদের সাথে কাটানো সময়গুলোকে মনে করছি, প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া সৌহার্দ্য, অর্ক, রাইসুল সবার কথা মনে পড়ছে। এসব ভাবছি আর আয়নায় তাকিয়ে মিসেস সাঈদ কে দেখছি। মিসেস সাঈদের প্রতিচ্ছবিতে খুঁজে চলেছি মাইশা হাসানকে, কিন্তু খুঁজে পেলাম না।

দেখলাম মিসেস সাঈদের চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে মাইশার অশ্রূ ফোঁটা।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে কোনো এক সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি বসন্তের স্নিগ্ধ সকালে লেখকের জন্ম। লিটল ম্যাগাজিন ‘গৈল্পিক’ এর মাধ্যমে লেখকের গল্পকার সত্ত্বার প্রথম প্রকাশ ঘটে। ভালো লাগে ঘুরেবেড়াতে, বাগান করতে এবং নতুন জিনিস জানতে। কর্মজীবনে একজন ছাত্র, সুযোগ পেলে গল্পে মানবজীবনের ছবি আঁকেন।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।