রবিবার, অক্টোবর ১৩

কালা চশমা

0

আমি একবার কাজ করছিলাম একটা সফটওয়ার কোম্পানিতে। সেইখানের কাহিনি। আগে কখনো বলা হয় নাই। আজ মনে হইতেছে এই কাহিনিটা বলে ফেলি।

কোম্পানিটার নাম না বলি। সফল একটা ব্যবসা হিসাবে তাদের নামডাক আছে। ভালো কাজ করতেছে, ঢাকায় ছিল অফিস। আমি তখন ঢাকায় গেছি, অফিসের কাছেই বাসা নিয়া থাকি।

অফিস শুরু হয় নয়টায়। সকাল সকাল সবাই আইসা গোল হইয়া দাঁড়াইয়া মিটিং করেন, এটা তাদের নিয়ম। আমি এগারোটায় উইঠা অফিসে যাইতাম। গিয়া প্রথমে এইচআরের রুমে বইসা কিছু ফাও আলাপ করতাম। চা খাইতাম, এবং ঘন্টাখানেক পরে নিজের জায়গায় যাওয়া শুরু করতাম।

এইরকমই একদিন গেছি অফিসে। শফিক ভাইরে বলছি চা দিতে, আর এইচারের রুমে বইসা দুই এইচারের সাথে আলাপ করতেছি বাংলা ফিল্মের ভবিষ্যৎ নিয়া, তখন আমাদের প্রধান এইচার আজিরউদ্দিন নাজির সাহেব একটা তথ্য জানাইলেন। তিনি হালকা চালে বললেন, ভাই আপনের চশমা কাইল বাথরুমে ফালাইয়া গেছিলেন?

আমি নিজের চশমায় হাত দিয়া দেখলাম আছে কি না। বললাম, আমার চশমা তো চউখেই আছে।
নাজির সাহেব বললেন, আরে এইটা না। কালা চশমা। কাইল একটা কালা চশমা পাইছি বাথরুমে। কিন্তু এর মালিক পাওয়া যাইতেছে না।
আমি বললাম, দেখেন কে না কে ফালাইয়া গেছে।
সেকন্ড এইচার আনিসুজ্জামান বললেন, আমাদের মিট আপ হইল না আগের হপ্তায়, কেউ মে বি ফালাইয়া গেছে।
নাজির সাহেব মাথা নাইড়া বলেন, এইটা হইতে পারে।
এইরকম হালকা একটা টপিক ছিল কালা চশমার, যেইটা অফিসের বাথরুমে মিলছে।
এর কয়দিন পরে আমি জিম থেকে গেছি অফিসে, এইখানে বইলা রাখি যে, অফিস টাইম পাঁচ-ছয়টার দিকে শেষ হইত। কিন্তু অফিস খোলা থাকত প্রায় এগারোটা পর্যন্ত। অনেকে টেবিল টেনিস খেলতেন, আর আমি আটটার দিকে জিমে যাইতাম। জিম যে জায়গায় ছিল তার নাম কালাপানি। সেই কালাপানিতে জিম কইরা নয়টা সাড়ে নয়টায় আইসা আমি ব্যাগ-ট্যাগ নিয়া দশটার পরে অফিস থেকে বের হইতাম।

এরকমই জিম থেকে গেছি অফিসে নয়টার দিকে, ওইদিন দেখি টেবিল টেনিস খেলা বাদ দিয়া খেলোয়াড়েরা কী নিয়া বেশ আলোচনায় মগ্ন আছেন। দুই এইচাররেও দেখলাম। আমারে দেইখা তাদের একজন ডাক দিলেন, ভাই দেইখা যান।
গেলাম।
টেবিল টেনিসের বোর্ডের উপর তিনটা কালা চশমা রাখা।
প্রধান এইচার জানাইলেন, এইগুলা বাথরুমে মিলছে। মালিক মিলে নাই। আপনারে ওইদিন বলছিলাম না?
আমি বললাম, ঐদিন তো একটার কথা বললেন।
অফিস সহকারী শফিক ভাই বললেন, ভাই আরো দুইটা পাইছি।
সব মিলাইয়া মোট তিনটা কালা চশমা। যার কোনো মালিক নাই।
বেশ অদ্ভুত ব্যাপার। কার চশমা এইগুলা? আমাদের কারো কি? আমাদের কাউরে তো ওইভাবে কালা চশমা পরতে দেখা যায় না। আর মিট আপে কেউ ফালাইয়া গেলে, নতুনগুলা কই থেকে আসলো?
এইসব বিষয় নিয়া আলাপ আলোচনা হইল। কিন্তু কোনো মীমাংসা হইল না।
আমরা যে যার বাসায় চইলা গেলাম।
এবং এরপরদিন থেকে নিয়মিত বিরতিতে অফিসে কালা চশমা মিলতে লাগল। প্রথম প্রথম বাথরুমে পাওয়া যাইত। এরপর নানা স্থানে। কখনো এঞ্জিনিয়ারদের ডেস্কে, কখনো সাপোর্টের চিপায়, কখনো মার্কেটিং এর টেবিলে, কখনো মিটিংরুমের চেয়ারে, কখনো কিচেনে।
এইভাবে চলতে লাগল।
প্রায় বিশটা কালা চশমা যখন জইমা গেল তখন সবাই চিন্তিত হইয়া উঠতে লাগলেন।
সিইও সিটিওর কানে আগেই গেছিল ব্যাপারটা। তারা প্রথম হাইসা উড়াইয়া দিছিলেন। এমনিতে তারা তখন ব্যস্ত। দেশে ওয়ার্ডক্যাম্পের আয়োজন হবে সামনে, এসব নিয়া নানা কাজ। কিন্তু যখন দেখা গেল বিশ বিশটা কালা চশমা অযাচিত ভাবে উদয় হইছে অফিসে, তখন অন্যসব কাজ রীতিমত শিঁকেতে তুলতেই হইল।
সিইও আরিফ ভাই বললেন, এইডা কোনো কথা হইল? কালা চশমা আইল কই থেকে?
সিটিও হাসনাত ভাই বুদ্ধিমান মানুষ। যেকোনো সমস্যায় তিনি মাথা ঠান্ডা রাইখা ভাবতে পারেন বলে খ্যাতি আছে। এই গুরুতর সমস্যার কালে তিনি তার সেই খ্যাতির প্রতি সুবিচার করে দেখাইলেন। বললেন, চিন্তার কিছু নাই। কালা চশমা মিলতেছে যেহেতু, তার মানে কেউ রাখতেছে। কে রাখতেছে বের করতে হবে। এর জন্য আমরা সিসি ক্যামেরা বসাব।
একটা স্বস্থি আসে আমাদের মাঝে সমাধান চলে আসতেছে ভাইবা।
এর মাঝে প্রধান এইচার আজিরউদ্দিন নাজির খুক খুক কাইশা বললেন, ইয়ে… কিন্তু অল্প একটু সমস্যা ভাই।
সিটিও হাসনাত ভাই বলেন, সেইটা কী?
আজিরউদ্দিন নাজির বলেন, বাথরুমে সিসি ক্যামেরা, কেমন হইয়া যায় না ব্যাপারটা?
তখন আমরাও ব্যাপারটা নিয়া ভাবি। আসলেই তো, এটা কোনো যুক্তির কথা হয় না।
প্রধান এঞ্জিনিয়ার আকমল খান পাঠান বলেন, তাইলে ভাই আমরা দরজায় ক্যাম লাগাইতে পারি, যাতে দেখা যায় কে গেল আর বাইর হইল। তখন ঐদিন যদি কালা চশমা মিলে তাইলে আমরা ক্যামে বইয়া দেখতে পারব কারা কারা গেছিল। সেইখানের একজনই কামটা করছে তখন মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যাইতে পারে।
বুদ্ধিটা খারাপ না মনে হইল আমাদের।

সিটিও হাসনাত ভাই বললেন, তা করা যায়, কিন্তু এর জন্য কেউ জানি আবার ভয়ে বাথরুম করা বন্ধ না কইরা দেয়। আর আমরা একটা চেক রাখতে পারি। অফিসের দরজায় চেক কইরা ঢুকানি হবে, আলমগীর চেক কইরা দেখবে কারো কাছে কালা চশমা আছে কি না। না থাকলে তো আমরা শিওর হইয়া গেলামই আমাদের কেউ কামটা করতেছে না।

আমাদের মার্কেটিং টিমের আবেগী লোক, হাফিজ মুহাম্মদ বলেন, তাইলে কি ভাই আপনাদের বিশ্বাস নাই আমাগো উপর? আপনেরা কি মনে করেন আমরাই এই কাজ করতেছি? আমরা কেন করব এইগুলা? ফাও ফাও সানগ্লাস ফেইলা রাখব!
মার্কেটিং এর জুনিয়র এগজিকিউটিভ ইশতিয়াক পেছন থেকে হালকা স্বরে যোগ করেন, তাও এত দামি চশমা!
হাসনাত ভাই বুঝাইয়া বলতে যান, বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা না। কথা হইল অদ্ভুত একটা জিনিস ঘটতেছে। এর জন্য আমাদের কামের ক্ষতি হইতেছে। এখন বের করতে হবে কেমনে এইটা হইতেছে। বের করার প্রথম স্টেপ হইল, এইটা নিশ্চিত হওয়া যে আমাদের কেউ এইটা করতেছে না। কারণ আমাদের এই পঞ্চাশ জনের মাঝে, আরেকজন করতেছে কি না, এইটা ১০০ ভাগ নিশ্চিত হইয়া তো আমরা বলতে পারি না। আমাদের মেইন কুশ্চেন, তাইলে কালা চশমা আসে কই থেকে?
আমরা বুঝি কথাটা। হাসনাত ভাইয়ের কথায় যুক্তি আছে।
পরের দিন থেকে স্থানে স্থানে ক্যামেরা বসল। আর অফিসে ঢোকার টাইমে চেক করা শুরু হইল। অফিসের সাহায্যকারী আলমগীরের কাজই হইল দরজায় বইসা থাকা আর চেক করা। মূল অফিসে কোনো ব্যক্তি চেক ছাড়া ঢুকতে পারবে না, কঠোর নিয়ম।
এইভাবে চলল।
কয়েকদিন কালা চশমা মিলল না।
তখন আমরা বলাবলি করতেছিলাম, তাইলে কি আমাদেরই কেউ এমন ফাইজলামিটা করতেছিল? ফাজিলের ফাজিল।
এইটা বইলা আমরা আমাদের পজিশন বেশিদিন রাখতে পারলাম না। এর দুইদিন পরে, ময়লা ফেলার ঝুড়িতে শফিক ভাই আট খানা নতুন কালা চশমা পাইলেন।
আর স্থানে স্থানে কালা চশমারা গোচরিভূত হইতে থাকলেন সময়ে সময়ে।
আমাদের ধর্মভীরু সিইও আরিফ ভাই লা হাওয়া ওয়ালা… বলতে বলতে বুকে ফু দিতে লাগলেন।
ভয় পাবারই কথা।
কোন ক্লু ছাড়া এইভাবে পৃথিবীর আর কোথাও এমন কালা চশমারা ভাইসা উঠছে?
আমার জানামতে উঠে নাই।
অফিস বন্ধ হবার জোগাড় হইল।
এমন অবস্থায় একদিন সকালে আমাদের সিইও সিটিও অফিসের সবাইরে গ্রাউন্ডে জড়ো কইরা বললেন, আপনেরা আমাদের ভাই বইনের মতো। দয়া কইরা এই জিনিশ বাইরে কাউরে কইয়েন না। এইটা জানাজানি হইলে, পত্রিকাগুলা রিপোর্ট করব, আর আমাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু নষ্ট হইয়া যাইব দেশে। মানুষ আমাদের অফিসরে ভয় পাইতে শুরু করব।
আমরা মাথা নাইড়া বললাম অবশ্যই। আমরা তো চাই না আমাদের কর্মক্ষেত্রের অসম্মান হোক। আর মূলত এই কারণেই তখন এই কাহিনিটা নিয়া আমিও আর কাউরে বলি নাই বা এইটা নিয়া লেখি নাই।
প্রজেক্ট ম্যানেজার সাদেক খান ভাই বললেন, কিন্তু আমাদের সল্যুশন কী ভাই? এইভাবে তো চলতে পারে না জিনিশটা।
সিটিও হাসনাত ভাই বললেন, আমরা ব্যবস্থা নিতেছি। একজন বড় হুজুররে আনাইতেছি, আমাদের প্রোডাক্ট ডেভলাপমেন্টের আশফাক ভাই উনারে আনতে গেছেন। তিনি আইসা দেখবেন। খুব সতর্কতার সাথে কাজ করতে হইতেছে যাতে লোক জানাজানি না হয়।
ইতিমধ্যে শ খানেক কালা চশমা জইমা গেছে আমাদের।
এইগুলারে টেবিলে জড়ো কইরা রাইখা আমরা কথা বলতেছিলাম।
হাসান ভাই আমাদের এসিও স্পেশালিস্ট, তিনি প্রশ্ন রাখলেন, কিন্তু এই কালা চশমাগুলির কী গতি করা যায়?
নানা মত আসলো।
কেউ বললেন ফালাইয়া দেয়া যায়।
কেউ বললেন ফালানি ঠিক হবে না। অসম্মান হইতে পারে, আর তাতে ক্ষতির আশঙ্কা রইয়া যায়। কারণ বলা তো যায় না এইগুলা আসলে কালা চশমাই কি না, হইতে তো পারে এরা অন্য কিছু, হয়তো এনারা অন্য কেউ।
কেউ বললেন ওয়ার্ড ক্যাম্পে আমরা মানুষরে উপহার হিসাবে স্টিকারের বদলে কালা চশমাগুলা দিতে পারি।
এই প্রস্তাবটা ভালোই এক দিক দিয়া। কালা চশমার মতো দামী উপহার দিলে লাভই হইত। কিন্তু এই পরিচয়হীন অদ্ভুত কালা চশমাগুলি উপহার হিসাবে দিতে আমাদের সাহস হইল না।
আমাদের একাউন্টেন্ট আছিলেন তবারক আলি সাহেব, সারাক্ষণ টাকা বাঁচানির ধান্দা নিয়া তিনি দিনাতিপাত করতেন। তবারক আলি আস্তে কইরা বলতে শুরু করলেন, আমরা জিনিসগুলা বেঁইচা দিতে পারি, কী কন আপনেরা? পরস্তাবটা মন্দ না, কী কন?
তার কথার সমর্থক মিলল না।
ওইদিন বিকালে একজন হুজুর আসলেন। আমরা কাজকাম বাদ দিয়া বইসা বইসা তার জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম। লম্বা একটা কালা জোব্বা পরা হুজুর, আইসা অফিসের চাইরদিক মাথা ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া দেখলেন। আমাদের দেখলেন এক নজর।
সিইও সিটিও গিয়া সালাম দিয়া তারে নিয়া আসছিলেন ভিতরে।
হুজুর বললেন, আপনাদের নামাযের জায়গা কই?
সিইও আরিফ ভাই গ্রাউন্ডের যে জায়গায় নামায হয় সেইখানে হুজুররে নিয়া গেলেন। হুজুর সেইখানে দাঁড়াইয়া দুই রাকাত নামায পড়লেন।
এরপর বললেন, একটা বালতিতে পানি নিয়া আসেন।
শফিক ভাই তাড়াতাড়ি গিয়া লাল বালতিতে পানি ভইরা নিয়া আসলেন।
হুজুর পানিতে কয়েকটা ফু দিলেন।
এরপর বললেন, এই পানি পুরা অফিসে ছিঁটাইয়া দেন। ছিঁটানির কালে বলবেন বিসমিল্লা।
শফিক ভাই ও আলমগীর কাজে লাইগা গেলেন।
হুজুর বললেন, জিনিসগুলা নিয়া আসেন।
এইচারের কাছে জমা ছিল সব জিনিস, মানে কালা চশমাগুলা। একটা চটের বস্তায় ভইরা রাখা হইছিল। সেইগুলা হুজুরের সামনে আনা হইল।
হুজুর এইগুলা দেখলেন। এরপর নিঃশব্দ একটা হাসি দিলেন, আর বললেন, জিনিস পছন্দ হইছে আমার।
তিনি বস্তাটা নিয়া উইঠা যাইতে শুরু করলেন।
আমাদের সিটিও সিইও দৌঁড়াইয়া গিয়া ধরলেন তারে। বললেন, হুজুর আপনার হাদিয়া নিয়া যাইবেন না?
হুজুর বললেন, এইগুলাই আমার হাদিয়া। আর কিছু নিব না আমি। টাকা নিয়া হাত ময়লা করি না।
হুজুর ধীরে ধীরে হাঁইটা গেলেন দরজা পর্যন্ত। আমাদের দিকে ঘুইরা বললেন, আর কোনো ঝামেলা হইব না।
আসসালামু আলাইকুম।
তিনি চলে গেলেন।

এর আধ ঘন্টা পরে চিন্তিত মুখে আমাদের সিটিও ও সিইও দুইজন আইসা বললেন, আপনারা সবাই আজ চলে যান বাসায়। আশফাক ভাই এক্সিডেন্ট করছে।
এক্সিডেন্ট করছে মানে? আমরা অবাক হই।
সিইও আরিফ ভাই বলেন, মানে শাহবাগে উনি মাথা ঘুরাইয়া পড়ে গেছিলেন। এখন হাসপাতালে আছেন। একটু আগে ফোন দিছিলেন। আমরা তারে দেখতে যাইতেছি।
সবাই বাসায় যাইতে শুরু করলেন।
আর তখন আমার মনে হইল একটা জিনিস। আমি গিয়া সিইও আরিফ ভাইরে ধরলাম, আশফাক ভাই তো হুজুর আনতে গেছিলেন, উনি অসুস্থ হইয়া গেলেন, তাইলে হুজুর আনলো কে?
চিন্তিত মুখে আরিফ ভাই উত্তর দিলেন, সেইটাই তো বুঝতেছি না ভাই।
ওই জিনিস আমাদের আর বুঝা হয় নাই। এই হুজুর কে ছিলেন, কই থেকে আসছিলেন।
এও বুঝা হয় নাই কেন কালা চশমাগুলা মিলতেছিল আমাদের কর্মক্ষেত্রে।
তবে এরপর থেকে আর কোনোদিন কালা চশমা মিলে নাই অফিসে।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

একজন গল্পকার। তার প্রকাশিত গল্পের বই মার্চ করে চলে যাওয়া একদল কাঠবিড়ালী এখানে জাদু শেখানো হয়, এবং কতো শতো মুখ

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।