শনিবার, জুলাই ২৭

ড্রইংয়ের খাতা ও অন্যান্য কবিতা : জুবায়ের দুখু

0

মানুষ হতে এসে


ডুবে যাচ্ছি
অথৈ নির্জনতার ভেতর করুণভাবে।

ঘর নাই—
পথ নাই—

নদীর প্লাবনে সাঁতার না জানা ডাহুকী পাখি—
আমি যেন তাই,

পাখা নাই—
পা-ও নাই—

লাশের ভেতর প্রাণ খুঁজে না পাওয়া কোনো লাশ—
আমি যেন তাই,

তবু মানুষ হতে এসে—
ভুলে যাই,
হাসপাতালে হারিয়ে যাওয়া, আমার শালিক পাখিটির কথা।


চিকিৎসা


হাসপাতালে—
নার্সের প্রেমে পড়ে যাওয়া রুগীটি কখনো
রোগের পীড়ায় নয়,
প্রেমের পীড়ায়, তিনবেলা ঔষধ খায় নিয়মিত।


অবমাননা


তোমাদের বাগানে হাঁস ঢুকে পড়লে,
কী কী করো?

হাসপাতালে বমির গন্ধে—
সুস্থ মানুষও
ক্লান্ত জারুল ফুলের মতো নেতিয়ে পড়ে।

সব আঘাত সেরে গেলেও মানুষের আরোগ্য হয় না।

যদি জানতে
এইসব, এতোসব, আমার যমজ সহোদরা—
তবে বাগানে ঢুকে পড়া হাঁসের মতো
আমাকে তাড়িয়ে দিতে, তাড়িয়ে দিতে?


ড্রইংয়ের খাতা


আঁকছি
একটা, নদী ও নারী
আর শূন্য খেয়াঘাট।

কে গাইবে ভাটিয়ালি
কে হবে—
নদী ও নারীর জল?

এসো, ভুলে যাই
হাঁস ও মুরগি আঁকানোর দৃশ্য;
ভুলে যাই—
আমাদের ছিল না কোনোদিন ড্রইংয়ের খাতা।


মধ্যদুপুরগুলো


পাতাবাহার অঞ্চল
তুমি কে গো বাজাও কোকিলের গান?

যেন এই মধ্যদুপুর—
গমখেতে
ক্লান্ত দেহ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে কোনো ফড়িং,

ঘরে ঘরে—
মসুর ডাউলের পিকনিক

মাগো,
তোমার সালুনের হাত এতো ভালো
যেন, জান্নাতি পোলাও খোরমা।

ঘুমিয়ে থাকা ফড়িংটিও জেনে গ্যাছে এই খবর।

 

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

কবিতা চর্চা করেন। জন্ম পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়। সাঁথিয়া সরকারি কলেজ দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ালেখা করছেন।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।