রবিবার, ডিসেম্বর ১

দল বেঁধে কাউকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে না পারলেও অদৃশ্য করে দেওয়া যায় : সাগুফতা শারমীন তানিয়া

0

সাগুফতা শারমীন তানিয়া কথাসাহিত্যিক। তাঁর জন্ম ঢাকায়, পড়াশুনা বুয়েটে, তিনি একজন স্থপতি। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা নয়টি। তিনি সুসান ফ্লেচারের ইভ গ্রিন এবং আন্তোনিও স্কারমেতার বার্নিং পেশেন্স ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তার লেখা ওয়াসাফিরি, এশিয়া লিটারারি রিভিউ, সিটি প্রেস এবং স্পিকিং ভলিউম অ্যান্থোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য সাগুফতা বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার (২০১৮) পেয়েছেন। বিবিসি শর্ট স্টোরি পুরস্কার ২০২১-এর জন্য তার ছোটোগল্প ‘সিনসিয়ারলি ইয়োরস’ দীর্ঘ তালিকাভুক্ত ছিল। সাগুফতা শারমীন তানিয়া কমনওয়েলথ শর্ট স্টোরি প্রাইজ ২০২২ শর্টলিস্টে জায়গা করে নিয়েছেন। এই বছর সমগ্র বিশ্ব থেকে এই প্রতিযোগীতায় ৬৭০০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন।

কথাসাহিত্যিক সাগুফতা শারমীন তানিয়ার এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কবি  শাহেদ কায়েস


শাহেদ কায়েস : প্রায় ৭০০০ এন্ট্রির মধ্যে তুমি কমনওয়েলথ শর্ট স্টোরি প্রাইজ-এ শর্ট লিস্টে জায়গা করে নিলে। এটি নিঃসন্দেহে একটি বিশাল অর্জন। খবরটি শোনার পর তোমার অনুভূতি কেমন ছিল?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : আমার প্রাথমিক অনুভূতি যদি জানতে চাও, খবর পাওয়ার পর কয়েক ঘন্টা কাঁপুনিই বন্ধ হচ্ছিল না আমার। রেকর্ডসংখ্যক এন্ট্রি এবার, অর্ধশতাধিক দেশের অসংখ্য কৃতি সাহিত্যিক এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, সাংখ্যমানে এ তো লেখালিখির উন্মুক্ত সমুদ্র। অত বড়ো পরিসরে আমার গল্প মনোযোগ আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে, এটা ভাবতেই অবিশ্বাস্য লাগছিল।

শাহেদ কায়েস : তুমি কি মনে কর এই অর্জন তোমার লেখালেখিতে প্রভাব ফেলবে? যদি ফেলে সেটা কীভাবে?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : লেখালিখির কাজটায় যে মনোযোগ এবং অধ্যবসায় নিয়ে বসা উচিত, সেটা আমি আগেও বসতাম, এখনো বসবো। এসব ছাড়া তো লেখা যায় না। বলতে পারো, এ অর্জন সেসবের কিছুই বদলাবে না। যেটা বদলাবে, সেটা হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের মাত্রা। ভেতরে ভেতরে অঢেল আত্মবিশ্বাস ছাড়া তো শিল্পী হওয়া যায় না, আবার আত্মজিজ্ঞাসা বা যাকে বলে সেলফ ডাউট, সেটাও শিল্পীসাহিত্যিকের ভেতর পুরো মাত্রায় থাকে, সেটাই তাকে চরিয়ে বেড়ায়। আমাদের বাংলা সাহিত্যের নানান বিভাজন আর রাজনীতির কথা তুমি আমার চেয়ে ঢের ভালো জানো, দল বেঁধে কাউকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে না পারলেও অদৃশ্য করে দেওয়া যায়, এবং লোকে তা দেয়। অত বিভাজিত পটভূমিতে দাঁড়িয়ে সেলফ ডাউট আসাটা স্বাভাবিক। এই অতিরিক্ত সেলফ ডাউটের খপ্পর থেকে কিছুটা উদ্ধার পাব মনে করছি। যদি অর্জন বলো, সেটাই গোপন অর্জন।

 

শাহেদ কায়েস : তুমি যে গল্পটির জন্য শর্ট লিস্টেড হলে সেই গল্পটি সম্পর্কে একটু বল।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : গল্পটার পটভূমি ঢাকা শহর, একটা শহর যখন দ্রুত বদলায় তখন সেটা নাগরিকদের সমস্ত কোমল স্বপ্নকে সংকুচিত করে দিতে দিতে একটা দানবীয় অরগ্যানিজমের মতো দখল নেয়, সব কিছুতে নির্দেশনা দিতে থাকে—যে এটা এমন হবে, ওটা অমন হবে, এর জায়গা নেই, ওকে বিদায় করে দাও ইত্যাদি। মেনে না নিয়ে উপায় থাকে না। কিন্তু একটা কাউন্টার আরবানাইজেশনের আদিম সুর আমাদের অন্তর্গত রক্তের খেলায় খুব স্পষ্ট, কখনো আমরা সে সুর শুনতে পাই, কখনো পাই না। আমি হয়তো নিজের করে অনেক কিছু পেতে চাই, এই ঘরবাড়ি সম্পত্তি এই পরিপাটি পথঘাট এই সোশ্যাল সিকিউরিটি, কিন্তু এই চাওয়াপাওয়ার সীমার বাইরের যে আমি—সেই মানুষটার সবুজ দেখলে জলাশয় দেখলে কেন এত শান্তি লাগে? কেন অন্যসব নিরর্থক লাগে? এই ডি-আরবানাইজেশনের বৈরাগ্য-ভরা সুরটা নিয়ে আমার গল্প।

 

শাহেদ কায়েস : কীভাবে লেখালেখিতে এলে, একেবারে শুরুর কথা বল। লেখক হওয়ার প্রস্তুতি পর্বটা কেমন ছিল?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : এখন থেকে আমি লেখক হবো, এবার আমি শিল্পী হবো, এমন করে তো প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। একটা তাড়না থাকে, সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। বাচ্চারা খেলার মাঠে যখন হৈ-হৈ করছে তখন দেখবে কিছু বাচ্চা ছায়ায় বসে তাকিয়ে দেখছে মাঠটাকে কিংবা ছবি আঁকছে আপনমনে, ওটাই তার ভেতরের তাড়না। ছোটোবেলা থেকে একটা পর্যবেক্ষণময় দিক আমার ছিল, আমি ছবি আঁকতাম, আমি বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতাম বা লিখতাম। সেটাই একসময় পুরোদস্তুর লেখালিখিতে টার্ন নিয়েছে।

 

শাহেদ কায়েস : পারিবারিক পরিমণ্ডল তোমার নিজের মতো করে বেড়ে ওঠার পক্ষে উপযোগী ছিল কি?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : আমার আম্মা শিল্পী মানুষ, সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষ। বাজারের ফর্দটাও মুক্তোর মতো হস্তাক্ষরে লিখতেন আম্মা, রান্নাবান্নার কোনোকিছুই গোবদা করে করতেন না। তুলি ধরতে শিখিয়েছেন, বই কিনে দিতেন, ‘গল্পগুচ্ছ’ পড়ে শোনাতেন। ধরো, আমার মনে আছে আম্মা একবার আমাদের ছোটোবেলায় গ্রাম্য দুপুরবেলার কোনো পাখির ডাকের কথা বলছিলেন—যে পাখি অবিরাম ডাকছে ‘কাঁঠাল খাইতে নয়ন যাইতে’। একটা পাখি অসমাপিকা ক্রিয়াতে ডেকে যাচ্ছে, সেটা শুনে তো আমরা ভাইবোনরা হেসেই গড়ালাম একবেলা। কিন্তু সরু সুঁইয়ের মতো আমার ভেতর ঢুকে গেল—একটা পাখির ডাককে মানুষ কেমন করে ভাবছে। আম্মার আব্বা অর্থাৎ আমার নানাও অত্যন্ত সাহিত্যামোদী গানপাগল মানুষ ছিলেন, আমরা কে কত শব্দের প্রতিশব্দ জানি তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করতাম, ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে ছাদে বা বারান্দায় বসে গলা ছেড়ে গাইতাম। একটা একান্ত পৃথিবী ছিল আমার, এই দুই মানুষের কল্যাণে। বাকি পারিবারিক পরিমণ্ডল শিল্পসৃষ্টির অনুকূল ছিল না।

 

শাহেদ কায়েস : কেন লেখো? লিখে কি হয়?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : এই তো মুশকিলে ফেললে। পাঠক কমে আসছে বাংলা বইয়ের দুনিয়াতে, প্রকাশকের কাজ মনঃপুত না হলেও চুপ করে থাকতে হচ্ছে। এমন দশায় বাঙালি কেন লেখে? আমি জানি না। ঐ যে বললাম, ভেতরের কোনো তাড়নায়।

 

শাহেদ কায়েস : গল্পের কাহিনি, নাকি তার নির্মাণ— কোনটাকে তুমি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে কর?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : কাহিনিহীন নির্মাণ এবং নির্মাণকুশলতাহীন কাহিনি কোনোটাই সাহিত্য হয় না। উভয়ই জরুরি। তবে নির্মাণই পাঠকের ভেতরের লোকটাকে হাতছানি দেয়। অভূতপূর্ব বলে তো আর কোনো কাহিনি বাকি থাকবার কথা নয়, বিশ লাখ বছরের ইতিহাসে মানবজীবনে বহু কাহিনির অবতারণা হয়েছে। কাহিনিকে নির্মাণ এমন এক মাত্রায় নিয়ে আসে যে তা ভাবায়, বা তাতে চমক লাগে।

 

শাহেদ কায়েস :  তোমার লেখালেখিতে এই ফর্ম বা নির্মাণের ব্যাপারটায় তুমি কি সচেতন থাকো?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : হ্যাঁ। নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। নির্মাণই সুলিখিত সাহিত্য আর অসাহিত্যের তফাত।

 

শাহেদ কায়েস : সমকালীন বাংলা সাহিত্যের গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে তোমার কী মতামত?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : এ বিষয়ে আমার মতামত খানিকটা ব্যক্তিগত। তুমি হয়তো জানো, আমি আগেও বলেছি—সাহিত্যশিক্ষা যদি স্কুলকলেজে ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তবে ভাষা ও সাহিত্যের গতিপ্রকৃতি বিচার করার কিছু থাকে না। যে এই রস আস্বাদ করতেই শেখেনি, মননশীলতার ধারকাছ দিয়ে যে নেই, তাকে সাহিত্য পড়াতে পারবে কে? গল্প-উপন্যাসে কিংবা নাটকে আমরা এখন এমন একটা ধারা দেখি যেখানে মনে করা হয় সংলাপ অথবা ন্যারেটিভ ভয়েস মুখের ভাষার মতো হলে আর বাকিটুকু সুলিখিত হতে হবে না। টুল নিয়ে ব্যস্ত থাকলাম, অথচ ক্রাফটকে ভুলে গেলাম…এটাই সমকালীন বাংলাদেশের সাহিত্যের গতিপ্রকৃতি।

 

শাহেদ কায়েস : দীর্ঘ সময় তুমি দেশের বাইরে আছো, এটি কি তোমার লেখালেখিতে কোনো প্রভাব ফেলেছে?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : অবশ্যই। যে দেশে থাকবে, সেই দেশের সবই ব্যাপন প্রক্রিয়ায় তোমার ভেতর ঢুকবে। তুমি অভিযোজিত হবে। সেটা প্রায় প্রকৃতি-নির্দেশিত। এমন অনেক দিন আছে যেসব দিনে একটি মানুষের সঙ্গেও আমি বাংলায় কথা বলতে পারিনি, এরকম দশায় থেকে বাংলা ভাষাচর্চা এবং সাহিত্যসৃষ্টি কঠিন। কিন্তু আমি সচেতনভাবেই বাংলা আর ইংরেজি উভয় ভাষায় নিমজ্জিত থাকার চেষ্টা করি, কারণ ভাষা সর্বপ্লাবী, এক ভাষার সৌন্দর্য আরেক ভাষায় সাহিত্যসৃষ্টির প্রসেসটাকে পুষ্টি দেয়।

 

শাহেদ কায়েস : একজন লেখকের সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি সম্পর্কে তোমার কি মতামত? তুমি কি মনে কর একজন লেখকের সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : একজন স্বাভাবিক মানুষের সামাজিক দায়বদ্ধতা যা, সেটা লেখকেরও থাকে নিশ্চয়ই। কিন্তু যে কোনো বদ্ধতাই স্রোতহীনতা এবং বাঁধন। যার মন সামাজিক-রাষ্ট্রীয়-ধর্মীয় অনুশাসনে বাঁধা, সে সাহিত্য সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট স্বাধীন মানুষ নয়। যদিও খাঁচার ক্যানারিও গান গায়।

ধরো, দ্য উইকার ম্যান (The Wicker Man) মুভির বিখ্যাত শেষ সীনটার চেয়ে ভয়ানক দৃশ্য তো কল্পনা করা যায় না! একজন সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ মানুষ কি কখনো দেখাবে যে সত্যের শুভর এমন পরাজয় ঘটেছে, একজন নীতিবান মানুষকে অন্যান্য জীবন্ত প্রাণীর সঙ্গে বেঁধে একত্রে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে? আমার উত্তর হচ্ছে, দেখাবে। কারণ শিল্প-সাহিত্য মানুষকে যা দেখায় বা শোনায়, তার পরের অধ্যায়টুকু দর্শক কিংবা পাঠক নিজে ভাবে। ভেবে তাড়িত হয় বা উদ্বুদ্ধ হয়। সামাজিক দায়বদ্ধতার পুরো ব্যাপারটাকে তাই ব্যাকরণে ফেলা যায় না।

 

শাহেদ কায়েস : এই যে দুনিয়া জুড়ে করোনা মহামারীর সময় আমরা পার করছি, তোমার ব্যক্তি জীবন, তোমার লেখালেখিতে এর প্রভাব কতোটা পড়েছে?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : মহামারীর পুরো সময়টাতে আমি পড়ালেখা করেছি, নিজের লেখা অনুবাদ করেছি। আমার মতো করে আমার নিয়মিত লেখাগুলোতে পাঠকদের একটি ইতিবাচকতার দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছি। স্কেয়ারমঙ্গারিং বা ভীতি-সম্প্রচার থেকে দূরে ছিলাম। কখনো টানেলের শেষ আলোর দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রাখাটা খুব জরুরি। শারীরিকভাবে ভুগেছি।

 

শাহেদ কায়েস : তুমি একটি সাক্ষাৎকারে একবার বলেছিলে ‘লেখালেখি আমার অস্তিত্ব’, বিষয়টি একটু বিশদে বল।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : এর চেয়ে সেলফ এক্সপ্লেনেটরি কথা আর কী বলবো বলো। মানুষ তার নির্মিতির দাস। সন্তানের জন্য খেটে মরে, মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও চূড়ায় উঠবার কৃতিত্ব মিলবে বলে পাহাড় বায়, যুগলপ্রসাদের মতো জঙ্গলে গিয়ে গাছ লাগায়, চাকরি ছেড়ে লেখালিখি করে।

 

শাহেদ কায়েস : এখন নতুন কি লিখছ? লেখালেখি নিয়ে তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

সাগুফতা শারমীন তানিয়া : দুইটা গল্প শেষ করেছি। কয়েকটা উপন্যাস আমি অনেকটা লিখে ছেড়ে রেখেছি, সেগুলো শেষ করতে চাই।

 

 

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

মূলত কবি। জন্ম ঢাকায়, ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭০। পৈতৃক নিবাস, সোনারগাঁয়ের ললাটি গ্রামে। পড়াশুনা কম্পিউটার বিজ্ঞানে, দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই; এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজু শহরে, চোন্নাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ‘হিউম্যান রাইটস’ বিষয়ে মাস্টার্স। কবিতায় হাতেখড়ি নব্বই দশকের শুরুতে। থাকেন নিজ গ্রাম সোনারগাঁয়। পেশা ফ্রি-ল্যান্স গবেষক। তিনি একজন মুক্ত-চিন্তক, সংস্কৃতিকর্মী, কাজ করেন মানুষের অধিকার নিয়ে। শখ ভ্রমণ, সুযোগ পেলেই ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশ। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘বাঁক ফেরার অভিজ্ঞতা’ (দোয়েল প্রকাশনী, ১৯৯৯) ‘চূড়ায় হারানো কণ্ঠ’ (মঙ্গলসন্ধ্যা, ২০০৩), ‘মায়াদ্বীপ’ (ঐতিহ্য, ২০১৫), ‘কৃষক ও কবির সেমিনার’ (অভিযান, ২০২০), ‘সহজিয়া প্রেমের কবিতা’ (অভিযান, ২০২১), ‘নৈরাজ্যবাদী হাওয়া’ (চৈতন্য, ২০২৩), ‘স্বনির্বাচিত কবিতা’ (ভাষাচিত্র, ২০২৩)। সম্পাদিত গ্রন্থ: ‘মঙ্গলসন্ধ্যা প্রেমের কবিতা’ (ধ্রুবপদ, ২০১৭)। অন্যান্য গ্রন্থ: ‘এশিয়ার বারটি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ (ইংরেজি গ্রন্থ, মে এইটিন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, দক্ষিণ কোরিয়া, ২০১৫), ‘বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম স্মরণগ্রন্থ’ (ঐতিহ্য, একুশে বইমেলা, ২০২০)। পুরস্কার ও সম্মাননা: ‘চন্দ্রাবতী সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার’ (কবিতায়, ২০২১), শালুক সম্মাননা (২০১৯)।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।