যেন
হচ্ছে ফারেনহাইট—নদী টানানো ওই দিকে
আমরা ঘড়িকাঁটার সঙ্গে আলাপ অতঃপর সন্তরণ
৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কারণের সঙ্গে ৩২ রকম
দেহ করে দিলাম এবং আমাদের এবংটি জানা
যেন পরেছিলাম সানগ্লাস যেন চ্যানেল যেন চৌবাচ্চা
ওই নদী পাশপাশ হাঁটে—সুতরাং চন্দ্রালোক
করেছে ফোয়ারা আমাকে, এই আমি—
যেন ব্রজেনদাশ অথবা জনৈক অথবার পুতুল
এ দূর এলাম! কারণটাই কারণ—তোমাকে ছোঁয়া
এতটাই এত যে স্পর্শপর কোনো স্বর vs ব্যঞ্জন
—থাকে না
সকলে সবার সমস্ত বহুব্রীহি
হেতু করে ঘুমের ভেতর স্বপ্নের ভেতর চাষের ভেতর
সাদাছড়ি ঠুক ঠুক পূর্ণগ্রাস—যায়—যেন গভীরের
তলদেশে কোনোটি ভ্রমণসহায়ক শুক্রবার নেই!
উভয়
ঢেউ শেষে একটু রিকশা বুধবারের গা হেলে
দাঁড়ায়
……………………….একটা একটা দুজন চড়ুই
এতখানি শিল্প করেছে যে যদি তুমি অথবা আমিই
টগবগ চালাতে বলি তারা শরমে লজ্জায় আষ্টখানা
…………………………….হয়ে
………………………………..চরিত্রের পর
অথচ, মুহূর্ত উবাচ, ছেলেটির মেয়েটি ভৌত
আর্ট এবং তারা
ট্যাটু করতে চাদ্দিক
…………………………….মেনে চলে
যদিও তাদের দেহে দেহে প্লাগ, আমিতুমি নিয়ন্ত্রণ।
মনে জাত
গভীর খুবের ভেতর খুব গহিন এমন একলা নিবিড়
আউলঝাউল বিকাল এবং তুমি পেয়েছিলাম
ঠিক বুকের ভেতর সঠিক বুকের তীব্র
চাঁদের উভয়
এতটা ফাঁকাফাঁকা ততটা তোয়ালেটে প্রতিরক্ষা
আমি আমাকে আমার আমিকে আমি
মনঘটা উলটোদিকের ওলট চোখের বহুত
ব্যালকনি তুমি দেখতেছিলা সফররত
মার্শাল! যদি মেমোরিয়াল! স্মৃতি-বা…
ছিলে কে? কুসুম নামে ডাকলে কুসুমও সে
এতে ওই
পাশের ছবিটির ছবি কতটুকু ক্রোধ বাঁধনবে?
বিজলি
ফিরেও এলাম। বিকালবেলা। ভেতরমানুষে গিয়ে কিছু
অপূর্ব সমবায় সব সাদাকালো ভাজামাছ মাছভাজা বেড়ালের প্রতি
পেটে ডিম ছিল। যদি বেড়ালের ডিম অবশ্যই ভাষা
নাদুস জানে মিনিটি সম্ভাবনা। অর্থাৎ, ছদ্মবেশে তুমি তো বরাক।
ওই বিকালগুলোর পেটে দৃশ্য
এ গোধূলি নির্মাণের পেছনে চামচিকার অবদান, অনস্বীকার্য।
যেমন আমি
যেমন আমি
যেমন আমি
এবং বাদুড়চিকার কিচির আর পাখিদের মিচির
শুনতেই, আমি বিশ্বাস করি যে, তুমি বড় জিহ্বাপ্রিয়।
লটরফটর বাদ রেখে আমি দরদালানের ঘ্রাণ পেতে থাকি
আকাশভরা চিলিকের ভেতর শিং গর্জে ওঠে।
দর্শক
আর যা দেখলাম, তাই দেখলাম দেখার পর যা দেখা গেল ওসব ঘটছে দেখকদের অস্ত্রের পর
আসলে কী দেখলাম?
একটি ডিম্ব পুষছে ওই ডিম্বের মা
ফুটছে হাস, চন্দ্রবিন্দু ছাড়া তথাপি সতর্ক টাকা
বীজ দেখলাম কিংবা বোমা যা একদিন স্বপ্ন লংঘন করে
তোমার উঠোনে তোতাপাখি কথার পর কথা দেখাচ্ছে
এমন নীলচে যেন সে লাল
বোঝে অথচ বিশারদ অথচ বৃষ্টি মাথায় করে ফিরছে বাবুই
বাসার দিকে
একদিকে ধারাডানা জ্যোৎস্না, অন্যদিকে বাস্তুবাহিক প্রতিদিন
কোন দিকে? দেখা যাক।
জন্ম ১১ আগস্ট ১৯৮৬; রায়পাড়া সদরদী, ভাঙ্গা, ফরিদপুর। কবিতার বই: ছায়া কর্মশালা (২০১৩); সারামুখে ব্যান্ডেজ (২০১৬); নাচুকের মশলা (২০১৮); রাত্রির রঙ বিবাহ (২০১৯); অতিচল্লিশ ইন্দ্রিয়দোষ (ফেব্রুয়ারি ২০২০); ছিটমহলচিহ্নিত (ফেব্রুয়ারি ২০২০); ভেতরিন লুকিয়ে হলে সঙ্গে (মার্চ ২০২১); হরিণের গায়ে চারপাশ (মার্চ ২০২১); অ্যাকোস্টিক শরীর সুতরাং গিটারপূর্ণ এবং ফুর্তি অর্গ্যানিক (২০২২) ও ইচ্ছার আরওতর পিনিক (২০২৩)। সম্পাদিত গ্রন্থ: দ্বিতীয় দশকের কবিতা (প্রথম সংস্করণ ২০১৬; দ্বিতীয় সংস্করণ ২০২২), অখণ্ড বাংলার দ্বিতীয় দশকের কবিতা (২০১৬), একজন উজ্জ্বল মাছ বিনয় মজুমদার (২০১৯), বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠকবিতা (২০২০)। সম্পাদক : বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির পত্রিকা ‘মাদুলি’ (২০০৯―)। অর্জন: মাহবুবুল হক শাকিল পুরস্কার-২০২০, ঐহিক তপতী চ্যাটার্জি সম্মাননা-২০২০।