সোমবার, নভেম্বর ১১

শামীম রেজা: সাহিত্যের পথে-বিপথে : হামীম কামরুল হক

0

১.
শামীম রেজা নামের সাহিত্যবৃত্তের ভেতরে তীর ছুড়লে যদি তা কবিতার দাগে গিয়ে লাগে, তাহলে দশে দশ পাওয়া যেতে পারে। সাহিত্যের পথে তিনি মূলত একজন কবিতার প্রেমে মগ্ন হতে চাওয়া মানুষ। তাঁর কবিতা কেমন? সোজাসুজি বললে— তাঁর কবিতা অনন্য এক মরমী আবহ তৈরি করে; সেইসঙ্গে মহাজাগতিক চেতনালোকে মুক্তপ্রাণের প্রতিধ্বনি হয়ে ওঠে। উদার অসম্প্রদায়িক ইহজাগতিক, একেবারে সঠিক অর্থে সেক্যুলার থাকার প্রবণতা সেখানে আড়ালে থাকে না, কিন্তু ধর্মের পৌরাণিক-অপৌরাণিক সমস্ত রকমের উপায় ও উপকরণ নিয়ে গড়ে ওঠে তাঁর কাব্যভুবন। নব্বই দশকের কবিতার জগতে পা ফেলে— আজ প্রায় তিরিশ বছর শামীম সেই কাব্যভুবনে বিরাজ করছেন। কারো কারো মতে রাজ (রাজত্ব)-ও করছেন।

জীবনে ও ভুবনে একইসঙ্গে বিরাজ ও রাজ করা খুব সোজা বিষয় তো নয়; কারণ রাজ করার মানে এর একটা সময়সীমা আছে— ক্ষমতায় থাকা ও না-থাকার মতো। তবে সাহিত্যের রাজ্যে বিরাজ ও রাজ করার সেই বালাই নেই। বেদব্যাস, বাল্মীকি, হোমার, ভার্জিল, দান্তে, ফেরদৌসী, ওমর খৈয়াম, হাফিজ, রুমি, শেক্সপিয়র, গ্যোয়েটে, তলস্তয়, দস্তয়েভস্কি, রবীন্দ্রনাথ, বিভূতি, তারাশঙ্কর, মানিক, জীবনানন্দ থেকে ইয়েটস-এলিয়ট-জয়েস-বেকেট—কমলকুমার-অমিয়ভূষণ-ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্যের বিরাজ এবং রাজ করছেন। সমকালে রাজ ও বিরাজ করছেন শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, সৈয়দ হক। শওকত আলী-মাহমুদুল হক-হাসান-ইলিয়াস— তাঁদের রাজত্ব আপতত সমাপ্ত হওয়ার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হাজার বছর পর কী হবে তা তো আমরা ঠিক করে দিতে পারি না।

একসময় কাব্যই ছিল একমাত্র সাহিত্য। সেই অর্থে সাহিত্যে বিরাজ করা এবং রাজ করার ক্ষেত্রে কবিতার জগৎটিই সবার আগে গণ্য হয়। তবুও সাহিত্যের পথের ধুলোমাটির চিত্রটা আমরা এই ফাঁকে দেখে নিতে চাই।

সাহিত্যের পথ বহুজন বহুভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, আমার কাছে ‘কঠ উপনিষদে’র এই কথা কটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়:

 

উত্তিষ্ঠত জাগ্রত
প্রাপ্য বরান্নিবোধত।
ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা দুরত্যয়া
দুর্গং পথস্তৎ কবয়ো বদন্তি॥  (১।৩।১৪)

 

অর্থ: হে মনুষ্যকুল, ওঠো জাগো। শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গ লাভ করো এবং তাদের কাছ থেকে আত্মজ্ঞান শিক্ষা করো।

পণ্ডিতেরা বলেন, আত্মজ্ঞানের পথ ক্ষুরের তীক্ষ্ণ ধার দিয়ে চলার মতোই কঠিন।— এই উক্তিটির ভেতরে আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে: সাহিত্যের পথ— আত্মজ্ঞানের পথের মতো ক্ষুরের ফলার ওপর দিয়ে চলার পথ। কিন্তু সাহিত্য ঠিক জ্ঞানের পথও নয়। সাহিত্য সৃষ্টি করে।

‘নিজেকে জানো’ (সত্তাসন্ধান) এবং নিজেকে ভুলে যাও (অহংমুক্তি)— এই দুয়ের মাঝপথে আছে: নিজেকে সৃষ্টি করো। নিজেকে সৃষ্টি করার এই পথ অহংসর্বস্ব/ ইগোইস্ট পথ, কিন্তু সে পথে যেতে হয় অহংকে করুণাজলে ভিজিয়ে। বুর্জুয়া বা বুদ্ধিজীবীসুলভ সোজা বাংলায় আঁতেলের পথ সাহিত্যের পথ নয়। প্রতিভা তর্ক করে না, সৃষ্টি করে।— রবীন্দ্রনাথের এই কথায় যারা ভিন্নমত পোষণ করেন, তাদের সাহিত্য না করাই উত্তম, যদিও কোনটা উত্তম কোনটা অধম— দাগিয়ে দিলে কোনো ব্যক্তি এখন আর ‘আধুনিক’ থাকেন না। আসলে ‘আধুনিকবাদী’ গণ্য হন না। সাহিত্য, আর্ট, কালচারকে অনেকেই অত্যন্ত ব্যাবহারিক দিক থেকে দেখতে চান।— ওই শিল্পের জন্য শিল্প ও জীবনের জন্য শিল্পের পুরোনো তর্কে একটা পক্ষ নেওয়া, যেখানে বোঝা যায়, কোনো পক্ষ নিয়ে সাহিত্যের বিচিত্রগামী পথ-সমন্বয়সাধন করে চলাটাই সাহিত্য-সৃষ্টির যাবতীয় ধাঁধার একটি প্রাথমিক উপায়। মাধ্যমিক ও চূড়ান্ত উপায়, বোদ্ধা ও প্রাজ্ঞ সাহিত্যব্যক্তিত্বরা নিজের মতো গড়েপিটে নেন।

শামীম রেজা সাহিত্যের পথে রওনা দিয়ে প্রথমেই যেটি এড়িয়ে চলেছেন, সেটি হলো আধুনিকবাদী পথ। ফলে তাঁর লেখা অনেকের কাছে ক্লিশে ও পুরোনো ধরনের মনে হতে পারে। প্রচুর অন্তমিলের, মধ্যমিলের কবিতা লিখেছেন: দেখা হবে কাল/ রোদেলা সকাল— যেমন আছে, ততটাই আছে চিত্রকল্পের গোলকধাঁধা আর বিচিত্র হেঁয়ালি বা ব্যাসকূট।

‘দেশহীন মানুষের দেশ’ বইতে অঙ ‘সান সুচি তোমাকে বলছি শোনো’-তে

 

চোখে বিশ্বাস হচ্ছে না
মনকে বলছি শোনো—
ওবায়েদাকে ধর্ষণ করেছে যারা
তাদের ক্ষমা নেই কোনো।

 

—এটা কোনোভাবেই আধুনিক উচ্চারণ হতে পারে না, কারণ এ উচ্চারণ চিরায়ত মানবিক, এখানে আর স্টাইল করে বলার কিছু থাকে না। কারণ ক্রোধের ক্ষুদ্ধতার আর্তনাদের কোনো আধুনিক-অনাধুনিকতা হয়? কান্নাহাসির গেঁয়োপনা বা সফস্টিকেশনে যতই তফাৎ থাকুক না কেন! ফলে সময়ের দিকে সাড়া দিতে গিয়ে শামীম রেজার কবিতা প্রকারের শৈলীগত উৎকর্ষের ধার ধারেন না। একে অন্যরা সাহিত্যের বিপথে যাওয়া বলতেও পারেন না। তেমন আছে—

 

গভীর অন্ধকারের দিকে যেতে যেতে নিমজ্জিত জাহাজের হুইলে হাত
রাইখা দেখেছি স্বাধীন মাছের সংঘারাম, পটশূন্য কার্তিকের মাঠে তোমার
আমার কঙ্কাল ছায়া পইড়া আছে খড়ের ভাঁজে। কীসব অনুভূতির কেলি
শুয়োরের সদ্য আগুনের অক্ষরের মতো পোড়ে মনে, চারিদিকে বিবস্ত্র
বিশুদ্ধ অযুক্তির ভিতর থেইকা পাশা হাতে কতিপয় মুখ প্রেমিকার স্তন
কাইটা জুয়া খেলে রাতে; অসমাপ্ত গল্পের পোকা শাইন জাল বুইনা চলে
গভীর অক্ষরে, আততায়ী চোখ ঠান্ডা আগুন বাড়ে, আর কতিপয় বন্য
শুকোর তার চোখ থেইকা নামে হৃদয়ের সবুজ কফিক্ষেতে, স্খলিত ঈশ্বরীর
স্তনে মুখ রাইখা তীরে বিদ্ধ করি জোছনার শরীর, কী সব অনুভূতির
কেলি শ্মশানে সদ্য আগুনের অক্ষরের মতো পোড়ে মন।

 

—স্রোতের মতো বয়ে চলে কবিতার প্রচলিত সব ছন্দ অলংকার চিত্রকল্প বাকপ্রতিমা সব ভেঙেচুরে। আবার তা প্রতিকবিতা বা অ্যান্টি-পোয়েট্রিও নয় বরং তা নতুন কবিতার অভিমুখী। অন্যরা একে ‘অকবিতা’ বলে ধন্দে পড়তে পারেন। ‘গুছিয়ে সাজিয়ে শব্দে শব্দে বিবাহ দেওয়ার দায়’ শামীমের নেই, কিন্তু কবিতা থেকে তিনি ‘সাহিত্যগন্ধ’ও মুছে দিতে চান না। এই হলো কবি শামীম রেজা কাব্যযাত্রাপথ।

 

২.
শামীম রেজার আরেকটি পথ সাহিত্য-সংঘ-সংস্থার গড়ে তোলায় বা সংগঠকের এবং সম্পাদকের। তিনি একা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে, নির্জন ও সংঘবদ্ধভাবে— এমন সমন্বয়ে পথ চলারই মানুষ। রাজাপুর সাহিত্যসৈকত থেকে নানান পত্রিকায় সাহিত্যসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে, বর্তমানে লেখকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন পেন-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি। এটা তো গেল তার সংগঠক-সম্পাদক হিসেবে পরিচয়। তিনি একাধারে কবি, অধ্যাপক, বাংলাদেশে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি নামের জ্ঞানকাণ্ডটিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করা ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করছেন, ইউল্যাবের মতো শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন— এমন একটার পর একটা কাজের ধারার সঙ্গে তাঁর সংশিষ্ট জুড়ে দেওয়া যাবে। এরই পাশে থাকে তাঁর কবিতা ও গল্প উপন্যাসের জগৎ।

একেকজন লেখক তো বিচিত্র কারণে লেখেন। পূর্বের বা বর্তমানের কারো বা কোনো সাহিত্যধারার সঙ্গে একমত হতে পারেননি বলে কেউ কেউ লেখেন; কেউ লেখেন নিজের কথাগুলি প্রকাশের জন্য; কেউ লেখেন মানবকল্যাণে, কেউ সৌন্দর্যসৃষ্টিতে আকুল হয়ে, কেউ নেশায়, কেউ পেশায়; কেউ লেখেন অর্থ বিত্ত খ্যাতি এমন কি নিত্যনতুন নারীসঙ্গ পাওয়ার জন্যও। শামীম রেজার সাহিত্য প্রচেষ্টার ভেতরে কারো সঙ্গে এক তালে না যেতে পারা, নিজের কথাগুলি নিজের মতো প্রকাশ করা এবং সৌন্দর্যসৃষ্টি— এই তিনটি বোধ করি প্রধান। কিন্তু এই তিনটির সঙ্গে বাংলাদেশের সাহিত্যের যে-জটিলচক্র, এতে থাকা ক্ষমতা ও রাজনীতির যে জগৎ, সেখানে জড়িয়ে পড়াটা অনেকের মতো তিনিও এড়াতে পারেননি। ফলে প্রথম তিনটি সাহিত্যের পথলগ্ন হলেও, পরের এই ক্ষেত্রগুলি সাহিত্যের বিপথ ছাড়া আর কিছু তো হতে পারে না। যেমন শামীমকে সাহিত্যের পথে নিভৃতচারী, প্রচারপ্রচারণার বাইরের মানুষ বলা যাবে না। নিজের সাহিত্যপ্রচেষ্টা বিপুল মানুষের কাছে ঘোষণা করার প্রক্রিয়াগুলিতেও তিনি অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান সাহিত্য প্রকাশনাসংস্থাগুলিতে থেকে যেমন তাঁর বই প্রকাশিত হয়েছে, তেমন হয়েছে দেশের বাইরের প্রকাশনা থেকে। বিশেষ করে ত্রিপুরা ও কলকাতা থেকে। দে’জ পাবলিশিংয়ের মর্যাদাপূর্ণ শ্রেষ্ঠ কবিতা সিরিজ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর শ্রেষ্ঠ কবিতার বই। ২০০৭ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার থেকে সম্প্রতি ঐহিক সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রাপ্তি সাহিত্যচর্চায় তাঁর প্রতিষ্ঠাকে দৃঢ় করেছে। এছাড়াও পেয়েছেন আরও অনেক পুরস্কার, সম্মাননা ও স্বীকৃতি।

সাহিত্যের পুরস্কার ও স্বীকৃতি কোনো লেখকের টিকে থাকাকে সহায়তা করে নিশ্চয়ই, কিন্তু শেষাবধি ‘ভালো লেখা’ ছাড়া একজন লেখকের টিকে থাকার আর কোনো প্রকৃত উপায় নেই। সেই ভালো লেখার নিত্য নতুন পথ সন্ধান করতে শামীম রেজা ‘পাথরচিত্রে নদীকথা’, ‘নালন্দা দূর বিশ্বের মেয়ে’, ‘যখন রাত্তির নাইমা আসে সুবর্ণনগরে’, ‘ব্রহ্মাণ্ডের ইসকুল’, ‘হৃদয়লিপি’, ‘দেশহীন মানুষের দেশ’ ও ‘চর্যালোক’— কবিতার সাতটি স্বর্গ তৈরি করেছেন।

 

৩.
একটি কথা আছে ফারসিতে:

 

আগার ফেরদৌস হো রাহে জামিনাস্ত্
হামিনাস্তো হামিনাস্তো হামিনাস্ত্!

 

এর মানে হলো:

স্বর্গ আছে কি না আমি জানি না,
যদি কোথাও তা থাকে, তবে এইখানে!

মূল কথা স্বর্গ যদি থাকে তো এইখানেই এবং এই ভূমিতেই—ফারসি এই চেতনার প্রত্যয়ধ্বনিত হতে দেখা যায় তাঁর কবিতা ও কাব্য বিশ্বাসে। তাঁর কবিতাকে অ্যাখ্যায়িত করেন ‘ভূমিস্বর্গের কবিতা’; সঙ্গে ‘ঋতুসংহারের জীবনানন্দ’ নামের ছোটোগল্পের বই ও অসমাপ্ত উপন্যাস ‘ভারতবর্ষ’, প্রবন্ধের বই ‘সময় ও সময়ান্তরের চিত্রকল্প’ নিয়ে গড়ে উঠেছে তাঁর সাহিত্যজগৎ। আপাতত সেটি একমুঠিই বলা যায়। যদিও বিস্তারে বৈচিত্র্যে তাঁর প্রয়াস কাউকে কাউকে বিস্মিত করতে পারে।

কবিতা সাহিত্যের অমৃত। এক ফোঁটাই অনেক। কিন্তু কবির তাতে তৃপ্তি মেটে কি? আর সাহিত্যের পথও ক্ষুরধার। সে-পথে যাত্রা হয়ে ওঠে বিপুল এক রক্তক্ষরণেরও নাম। শামীম রেজা সেই ক্ষুরধার পথে, অপ্রতিরোধ্য প্রতিজ্ঞায়, কবি, সম্পাদক, সংগঠক হিসেবে নানান রূপে, আরও সমৃদ্ধ করুন আমাদের কবিতা ও সাহিত্যের জগতকে— এটাই প্রত্যাশা।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

জন্ম ২২ জানুয়ারি ১৯৭৩। নব্বই দশকরে মাঝামাঝি থেকে লেখালেখি করছেন। তিনি লিখে চলছেন গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সমালোচনা। এছাড়াও করছেন অনুবাদ ও গবেষণামূলক কাজও। বর্তমানে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৫টি। ২০০৭ সালে রাত্রি এখনো যৌবনে উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির জন্য তিনি পেয়েছিলেন ‘কাগজ তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার’। বৈচিত্র্যময় জীবনের নানা অনুষঙ্গের প্রতি আগ্রহের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই তাঁর। তিনি বিশ্বাস করেন, ভালোবাসাই হলো জগতের সমস্ত প্রশ্ন, সমস্যা ও সংকটের একমাত্র উত্তর। তিনি বাংলাদেশের নৌবাহিনী উচ্চবিদ্যালয় চট্টগ্রাম থেকে প্রাথমিক, সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উর্ত্তীণ হন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর; পরর্বতীকালে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে ‘তুলনামূলক নাট্যতত্ত্ব’ বিষয়ে পিএইচডি র্অজন করেছেন। বাংলা একাডেমিতে ২০১০ সালের ১ জুন থেকে থেকে ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অব্দি কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করছেন।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।