রবিবার, ডিসেম্বর ১

সুব্রত সরকারের দশটি কবিতা

0

মেঘ-অর্জুনের পাশে


তুমিই নিহিত অগ্নি-সমুচয়, তুমি কাম-কাল, পরস্বাপকারক—
তোমাকে বন্দনা করি, হে নিঃস্ব, তুমি কি
প্রাণ-প্রতারণা? তোমারই মঙ্গল গাহি গৃহে গৃহে, পথে
কত করুণা পড়ে আছে, শ্রুতি তুমি বিশ্বাস করো
আমার হৃদয়শীর্ষে কত কত বরফ, শান্তি, স্থির চিন্তা লুকিয়ে
রয়েছে উজ্জ্বল মেঘ-অর্জুনের পাশে, সে সময় হে সামান্য
মদ্য, হে বিস্মরণ, তোমাকেই পান করি, ক্লান্ত
স্বরে, ভগ্নিল হৃদয়ে, মাংসে, বিষাক্ত প্রশ্নের মধ্যে, রক্ত
পিপাসায় ভরে ওঠে মন, রাক্ষস আমার, ভবিষৎ
ভাবনার ভিতরে কীট এসে প্রবেশ করেছে, তারা নষ্ট করে
রোম, সৌরভ আতঙ্কিত হয়, অন্তরের দীনতা আজ
ভালো পোশাক পরে এসেছে, তার সঙ্গে গাড়ি আছে, সে আমায়
বাড়ি পৌঁছে দেবে, ঘুম তুমি আস্তে আস্তে স্বপ্ন
দেখাও, স্মৃতি ও বিস্ময় শুধু নষ্ট করে মহেন্দ্র, বিকাশ তুমি
নাস্তিক, তোমার ক্ষুধার জন্যে এখানে একটু জায়গাও
নেই, কেবল পুরুষের অভাবে নদীগুলি ক্ষীণ হয়ে
আসে, মেঘ পানশালার দুয়ারে চলে এসেছে, ধীরে ডাকে—
বাবা, এবার বাড়ি চলো, রাত্রির কপালে তখন
দু’একটা সাদা চুল দেখা গেলো। বাবা
তাহলে বাড়ি চলো।


একটি সাপের স্বপ্ন


মেঘ-বৃষ্টির মন আজ খুব খারাপ হয়ে আছে, অথচ তেমন কোনো
কারণ তো ঘটেনি, তবু তার মনের অন্ধকারের মধ্যে
এক ভয়াবহ গোখরো সাপ ফণা তুলে রয়েছে, এই তুমি আসলে
কে বলো তো? সাপ কোনো উত্তর দেয় না, খস খস শব্দে
শুধু একটু নড়ে আর স্বপ্ন দেখে, সাপের স্বপ্নে
টাকা-পয়সার বিষয় থাকবার কথা নয়, গানের কোনো সুরের
গল্পও নেই, তাহলে সাপ কী স্বপ্ন দেখে? তাল-সুপুরির
বন? জরির-চুমকি বসানো কালো শাড়ির মতো
রাত্রির চুপ-আকাশ? না তাও নয়, কেবল তার মনে পড়ছে
গতজন্মে পড়ে আসা একটি কবিতা-কে, সে
কবিতার সফেদ, ফেনার স্রোত যেন নদীর মতো বহে চলেছে
পরমার্থের খোঁজে, তার উপর ছায়া পড়েছে
মহাবিশ্বের চিরন্তনের, কিন্তু ক্রমে সে কবিতা তার মন থেকে ধীরে
মুছে যাচ্ছে, বদলে জেগে উঠছে দুটি ভয়াল, ধারালো
দাঁত, যেন হিংসা ও ক্রোধ, সাপ-টি
এবার সেই কবিতা-কে দংশন করবে, মেঘ-বৃষ্টি কেঁপে
ওঠে, কবিতা মুছে গিয়ে বিদ্যুৎ ঝলসে উঠলো।


মোছার দাগটুকু থেকে যাবে


এসো, তোমাকে আজ একটু আদর করি, চলে যাবার সময়
অগ্নি, আমার ছাই-ভস্মের লেখা, তোমার পিঠে
নরম করে একটু হাত রাখবো? ব্যথা যা দেবার সে তো সাধ্যমত
যত পারো দিয়েছো, তোমার ভারি পাছায় অগণিত তারার
আলো, কী অবাক করা সৌন্দর্য এই পৃথিবীর, এটুকু তো
মিথ্যা ছিলো না একেবারেই, শৃঙ্খলা
সেটাই আমাকে যা বেঁধে রাখবার, রেখেছিলো হাওয়ায়, বৃষ্টিতে দিনের
পতনে ও নিশার উপহাসের ভিতর, আমি তখন কী বলেছি—
অন্যায় হচ্ছে, আমার উপর অনেক অবিচার করা হলো, আজ
সে কথা ভেবে উল্টে মিটিমিটি হাসছি, বলি—
এত কি সময় আছে পুরনো কথায়, সংসারে কত কাজ, সূর্য
ওঠে, লোকেরা ভ্রমণে যায়, বৃক্ষের কাছে, নদীর
পাশে, সেখানে কাশবন দুঃখের গান
শোনাবে, অতিবৃদ্ধ পাহাড় যেন বসে বসে মহাভারত থেকে পাঠ
করছে, উদাসীন কবি বলে একলব্যের প্রেম-কাহিনি, সমুদ্র শাসন করে
বাজারের তরিতরকারি রঙ, মূল্য ও ওজন, সে
সময় কবির পালক ছিঁড়ে ছিঁড়ে মাংস বিক্রি করছে নিষ্ঠুর
সময়, ভীড় হয়ে গেছে, কেউ বলছে সাড়ে সাতশো, কেউবা
আবার দেড় কিলো, সঙ্গে ফ্রি মেটে, আমি উঁকি দিয়ে দেখে
ফিরে আসি লেখার খাতায়, না পৃথিবীর কোথাও কিছু কম পড়েনি
ষাট পাওয়ারের আলো ষাট পাওয়ারের আলোই দিচ্ছে।
শুধু আমি আর থাকছি না এখানে। তাতে
ক্ষতি কি? যেটুকু রইলাম তা অনন্ত রয়ে গেলো, রবার
দিয়ে ঘষলেও এবার মোছার দাগটুকু থেকে যাবে।


অশ্রু, অশ্ব, অগ্নিরথ


হাতে কুঠ, তাই লিখতে পারি না আজ, যদি তুমি এসে দেখা দাও
সোম, এক চুমুকে তোমাকে পান করে নেবো
নিঃসঙ্গতা, তারও ছায়া আছে, তবে কোথায় যে শুরু আর কোথায় বা তার শেষ
বর্ষা, মনে করতেও পারছি না ভগবান, আছো না
নেই রুমালের উপরে, যেভাবে চাঁদ
ওঠে, যেন এক তরুণ কবি
কবিতা পড়ছে, ঈর্ষা করি, তোমার উপমা, অভিনব বাক, এ তো
নদীর পাড়ের হাওয়ায় সন্ধ্যা নেমেছে, আমি
এ কে চিনতে পারিনি সারা জীবন, বাসনার ভিতর আমার বিশ্বাস ধীরে ধীরে
কাদায় নেমে কি খুঁজেছে, পরী? অহংকার, সোনার
স্বপ্নের মধ্যে ক্ষুধা থাকে না, মাংস, রক্ত কি
পাণীয়ের পিছনে টাকা-পয়সা খরচ করলেই কি পৃথিবীকে ভালো করে
দেখা যায়? সুন্দর খুব হিংস্র, নিষ্ঠুর, অপমান
করে, অশ্রুর, নিশিজাগরণের চোখের নিচে
কালো তিল হয়, সুর, অশ্ব—
অগ্নিরথে করে ভেসে যাবে নিঃশ্বাস, কুহক ডাকছে, ইশারা করি
লেখার ভিতরে ঘুম নেমে আসছে।


মজঝিম পথ ও করুণার আলো


অনন্য যে পথে হাঁটে সে পথ বুদ্ধের, অহিংসার, করুণায়
ভরা, আমি কি করে সে পথ দিয়ে হেঁটে যাবো, সারীপুত্র-মৌদগল্যায়ণ
বলো? আমার কামনার রিপু আমাকে যে মশার মতো
রোজ কামড়াচ্ছে। বৈষ্ণব সাহিত্যে আছে—
বিশ্বজয়ী এক তার্কিক-কে শ্রীজীব গোস্বামী একবার বলেছিলেন:
আমি সন্ধ্যা-আহ্নিক করবো কিভাবে, আমার যে
স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে
সেই তার্কিক তখন জানতে চান— তুমি তো আজন্ম
ব্রহ্মচারি, তোমার আবার স্ত্রী এলো কোথা থেকে? শ্রীজীবের
উত্তর— আমার কাম-ই হলো আমার স্ত্রী, আর
এখন সে মৃত।
কিন্তু আমার কামনা যে গুছিয়ে সংসার করছে, কপালে
দিব্যি সিন্দুর, ধক ধক করে জ্বলে
ওঠে, পিঠের আঁচলে নানা চাবির গোছা, কতরকমের বিষয়ে
যে তালা খোলা যায় আমারই তা জানা
নেই, এদিকে আবার সন্ধ্যা-আহ্নিক বলতে রোজ মদ্যপান
আমার তাহলে কি হবে? মৌদগল্যায়ণ
আমাকে তোমার প্রভুর মজঝিম পথের কথা একটু ভাবে
ভাবে বুঝিয়ে দাও, যেন
সে করুণার জ্যোৎস্নার আলোয় আমিও পুষ্প হয়ে ফুটতে পারি


ক্ষুধার কণ্ঠে গান শোনা যায়


তুমি হলে সন্ধ্যার তরবারি, লহমা মাত্র, ক্ষীণ
কোটি, সহস্র, লক্ষ মুদ্রা। অন্তরে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বলছে, অঙ্গার
কল্লোল করে, নাভির উপরে রাত হয়ে যায়, দাঁড়কাক
ডাকে, যেন হাসি নিভে গেল ঘৃণার
বাতাসে, কাকে এত ঘৃণা করো, কত লক্ষ, কোটি ঘৃণা করো
কলম আমাকে লিখে দাও, ভালোবেসে সে
আমার গালের মাংস কামড়ে নিয়েছে, থুতু ফেলেছে লেখায়
করতলে জ্বলজ্বল করছে তার আণৃতভাষণ, তবু
তাকে পুজো দিই, স্বশীষ
ডাব পাঠাই উপহারে, ধেণু অর্ঘ দিই, দূর্বা ও তুলসি, চন্দনসহ
মন্ত্র পড়ি, হে বাসব তুমি যাও অন্তরীক্ষে
আমি এসে পাতালে প্রবেশ করবো
খণ্ড-ত, ঈর্ষা করো না—
অল্প জলে অনেকটা হুয়িস্কি মেশালে খুব শীত করবে, ভয়
প্রণাম করছে ভিক্ষা-কে, অদৃশ্য থেকে ক্ষুধার
কণ্ঠে গান শোনা যায়, সে আসে…


অন্তরীক্ষে ক’মাত্রা হবে এখানে


এই ক্ষত অগ্নিবর্ণ লালসার, এই স্মৃতি গোপন আঙুর-বেদনার, এই
মোহ মেঘ ও বিদ্যুৎ, তৃপ্ত হয়নি
শরীরের কলঙ্ক-রেখা, প্রকোষ্ঠের ভিতরে লুক্কায়িত শুভ্র ময়ূর, সে কেবল
চোখের মণি খাবে, সর্বনাশ বসে পড়েছে
ঘরের দেওয়াল ধরে, যৌন ও যৌবনরে, তুই-ই আমার একমাত্র সখা
এবারের মতো সব ঠিক করে দে, ভালো হয়ে জঙ্গলে
চলে যাবো কেবল দুজনায়, সেখানে
প্রচুর মাংস খাবো, হিংস্র প্রেমেরা যেকোনো সময়ই ঝাঁপিয়ে
পড়তে পারে, প্রীতি ও সৌজন্যগুলির আড়াল থেকে
ব্যর্থতা এসেছিলো দ্বারে, অনিদ্রার
পথে কিছু শিহরণ, কিছুটা কষ্টের ছায়া, দুরাশার পাপ
এসেছে, মনে উঁকি দিতো শুধু অদ্ভুত কিছু
রেখা, ফুলের পাপড়ি, ব্যাস—
তুমি আমাকে থামতে বললে, বন আলো করে তোমার মহিম
হলো, রাজাধীরাজ, ধন্য
হয়ে আমি এখন ছবি আঁকছি তোমার, অন্তরীক্ষে
বলতো ক’মাত্রা হবে এখানে?


শ্রীফল ও মৃত্যুর গ্রহ


অলকানন্দা-কে যখন বিস্বাদ লাগে, কালো-পতাকা ও কুয়াশা এসে পড়ে, চক্রাকারে
ফুলের কটূ-গন্ধে দমবন্ধ হয়ে আসে, বিষাদ, আমাকে কি
একটুও মনে পড়ে? বুকের রোমের নিচে জগৎবন্ধু হাইস্কুলের ইতিহাস
রয়ে গেছে, ইংলিশ, বাংলা মোদের গরব
ভাষা, মাইল মাইল জুড়ে সন, তারিখের ভিতর নিঃশব্দ শিকড়
মন খুঁজে বেড়ায়, রঙ, গন্ধ, মধু ও চৈতন্যের পুষ্প
সৌন্দর্যে আন্দোলিত ঈর্ষা
মেঘ, শোষণ ও কামপোকা, উড-পেন্সিল আসলে
মায়া জানে শ্রীফল, পূর্বজন্মের
পথে শুদ্ধ প্রণয়, দু’পাশে অতলান্ত সবুজ তৃণভূমি, অকস্মাৎ, দুধ-গঙ্গা
জলে বিষধর স্তন, মার্জনা চায়, মৃত্যুর গ্রহ, সিঁড়ি
নেমে গেছে নিচে অক্ষরের পতিতগৃহে, পরিত্যক্ত স্বপ্ন-বাতায়ন
হঠাৎ হরিৎ আসবে পূর্ণ পেয়ালা, মুগ্ধ
করো, রক্তে চিনি মিশে
থাকে কুটিল শ্রম, ঘি-রঙের কোমরে চাবি ঝুলেছে—
চারঘোড়ার গাড়ি ছুটে যায়, বিকালে পার্কের
মাঠে ক্রিকেট খেলতে এসে একটা, দু’টো করে রান নিই, পরাজয়—
হতাশা, অপমান আউট করবার চেষ্টা করছে, নানা
কু-মন্তব্য করে, আমি কথাটিও কই না, শ্যাডো
করি, স্ট্যান্স বদলাই, খুঁটে খুঁটে রান কুড়িয়ে আনি, এখনই মাল
আউট করে ফেললে খেলাটা নষ্ট হয়ে যাবে।


অপরাহ্ণ মূর্ধন্য চ


কাষ্ঠের বাড়ি, রাণী-সায়র, জলপাইয়ের সবুজ বনে, এক চিলতে মেঘ
উঠেছে, তালব্য-শ
মায়ের দিব্যি, আজ এইটুকু শুধু মনে পড়লো—
মন, ফর্সা ধুতি-পাঞ্জাবি পরা, দাড়ি কামানো, টাক ও ছড়ি হাতে
মোরামের পথ দিয়ে হেঁটে চলে যায়, অপরাহ্ণ
মূর্ধন্য চ, এটা কিন্তু
বাইরের ভণ্ডামি, ভিতরে খেজুর, আঁঠা, নাভির নিচে বর্গীয়-জ
লিবিডোটা একটু বেশি, কুয়োর জলে শুকনো ছায়া
দেখা যায় মহাকালের উপর
সেফটিপিন দিয়ে ধূর্ত চুল-বাঁধা রাত্রি, অনন্ত, হসন্ত
বিস্তারা, অশ্বঋণ, অগ্নিসম ভাই
ব্রাদারদের লুকিয়ে অনুস্বর-কে খুঁজতে খুঁজতে খড়ের গাদার উপর
কি করেছিলে, ভেবেছো কেউ জানে না, চল্লিশ
বছর আগের ঘটনা বিসর্গে ডিলিট হয়ে গেছে, ভুল, তোমার
অন্তঃস্থ জানে, সমস্ত কামড়ানোর দাগ, বীর্য
পতনের পর লজ্জা, সংকোচ, গন্ধ, সদ্য যৌবনের সেই তেজ, অন্ধকার
মনে হাত দিলেই গোখরোর মতো ফণা তোলে, প্রতিটি
স্টেপ রেকর্ড করে রাখা আছে
চন্দ্রবিন্দু দীর্ঘ-ইকারে।


ধান-সুপুরির গন্ধ


আমার প্রণয় আজ ভিক্ষা করে ট্রেনে, ক্ষুধায়
ফেলে দেওয়া অর্ধভক্ষ কেক তুলে নিয়ে আসে ডাস্টবিন
থেকে, আর আমি প্রাণপণে কবিতা লিখে বেড়াই ‘নব আনন্দে
জাগো হে নাথ’। কারণ কালসর্প যোগ, রাহু
কি চন্ডাল না ব্রাহ্মণ তুমি জানো?

আমাকে বিদেশে যেতে হবে, ডিগ্রি চাই, ডিগ্রি আনবে অধরা
সুখ, বৈভব, মা-বাবা, দেশ-কে নিয়ে পড়ে থাকলে
কাষ্ঠের পুতুল হতে হয়, রোমান্স আসবে না
শরীরে কোনোদিন, দারুচিনি দ্বীপের ভিতর আমার রোম
উদ্গীরণ হচ্ছে, শিশ্ন এখনই উত্তেজিত হচ্ছে।

এদিকে আমি, কবিতা ও প্রণয় যেন ত্রিমূর্তি এক
যক্ষ, তাকে পাকা কলা, আতপ চাউল ও দুগ্ধ
দিয়ে পুজো করতে হবে, কিন্তু মন
খুব ব্যথা করছে, যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে হৃদয়, অন্তর
কিছু বলো, অনন্ত প্লাবিত জ্যোৎস্না হাসে, দারিদ্র
থুতু দিয় ডাকটিকিট লাগাচ্ছে খামে, চিঠিতে
ভালোবাসার সবার কথা, ধান-সুপুরির গন্ধ।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

সত্তরের কবি। সুব্রত সরকার একটি বিশেষ নাম বাংলা কবিতার ভুবনে। যিনি তার অদ্ভুত আত্মজীবনী বারবার তুলে ধরেন তাঁর রচনায়। অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র না-ঘটনা এক বিশ্ব অভিজ্ঞান নিয়ে উঠে আসে তাঁর কলমে। কি কবিতায়, কি গদ্যে! প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ : দেবদারু কলোনী (১৯৭৯), গত জন্মের ঋতু (১৯৮৬), তোমাদের খুব ভালোবেসেছি (১৯৮৬), সহ্য করো, বাংলা ভাষা (১৯৯১), তোমাকে মিথ্যে বলেছি (১৯৯২), ঘন মেঘ বলে ঋ (১৯৯৭), বহুত আঁধিয়ার হো বাবু, হামে কুচ রোশনি চাহিয়ে (১৯৯৯), একাকী মানুষের সৌন্দর্য্য (২০০২), ফারেনহাইট ফোর ফিপটি ওয়ান ডিগ্রি (২০০৪), অন্তঃস্থ বিসর্গ (২০১০), না স্নেহকর স্পর্শ (২০১৩), কবিতাসমগ্র (২০১২)। গদ্যগ্রন্থ: পরিচ্ছন্নতা ও বিষাদের বেদী (২০০৮), রক্তমাংসের পান্ডুলিপি ও শকুনের ডানার কলম  (২০১৮)।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।