শুক্রবার, নভেম্বর ৭

‘তিতাস একটি নদীর নাম’: ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্রে ইতিহাস ও অস্তিত্বের অন্বেষা

0

ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ অদ্বৈত মল্লবর্মণের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হলেও, এটি শুধুমাত্র একটি সাহিত্যের রূপ থেকে চলচ্চিত্রে রূপান্তর নয়, বরং একটি দৃশ্যগত পুনর্নির্মাণ—যেখানে ঋত্বিক ঘটকের নিজস্ব দার্শনিক বোধ, ইতিহাসচেতনা ও চলচ্চিত্রভাষার মাধ্যমে উপন্যাসের অন্তর্নিহিত মানসপ্রতিমাকে রূপ দেওয়া হয়েছে। অদ্বৈত মল্লবর্মণ নিজে মালো সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং তাঁর উপন্যাসে গ্রামীণ জীবনের যে জীবনঘনিষ্ঠ চিত্রায়ণ আমরা দেখি, তা নিছক সমাজচিত্র নয়—তা একধরনের অন্তর্দৃষ্টির প্রকাশ, যেখানে নদী হয়ে ওঠে শুধু প্রকৃতি নয়, এক সামষ্টিক সত্তার প্রতীক। ঋত্বিক ঘটক এই সত্তাকেই খুঁজে ফিরেছেন তাঁর চলচ্চিত্রে।


Titas Ekti Nodir Nam

ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার দৃশ্যে কবরী ও রোজী সামাদ


উপন্যাসে নদী যেমন একদিকে জীবন ও জীবিকার উৎস, অন্যদিকে ধ্বংসেরও বাহক, তেমনি ঘটকের চলচ্চিত্রে তিতাস নদী এক বহুমাত্রিক প্রতীক হয়ে ওঠে—সে প্রেম, বেদনা, সংস্কৃতি, ভাঙন, বিচ্ছিন্নতা ও শিকড়ের প্রতি আকুলতার বাহক। ঘটক এখানে উপন্যাসের কাহিনিকে শুধু অনুসরণ করেননি, বরং তা থেকে নির্যাস গ্রহণ করে এক নতুন নির্মাণ করেছেন, যেখানে প্রতিটি চরিত্র, দৃশ্য, এমনকি নিসর্গও হয়ে উঠেছে গভীর অন্তর্বয়ানের বাহক। ঘটকের চলচ্চিত্রে নদী এবং নদী-সংস্কৃতি এক প্রকার স্মৃতিভিত্তিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত ও বিলুপ্তির পথে। এখানেই উপন্যাসের সঙ্গে ঘটকের রূপায়ণের মৌলিক পার্থক্যটি নিহিত—অদ্বৈতের কাছে নদী ও নদীতীরের মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম যেখানে বাস্তবধর্মী, ঘটকের কাছে তা হয়ে ওঠে ঐতিহাসিক চেতনার এক অলংকারিক প্রতিমা।

ঘটকের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল স্পষ্টভাবে ঐতিহাসিক ও শিকড় সন্ধানী। তাঁর অন্যান্য চলচ্চিত্রের মতো, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্রেও তিনি দেশভাগ, সংস্কৃতির ভাঙন এবং ব্যক্তির বিচ্ছিন্নতাকে একটি বৃহত্তর সামষ্টিক সংকটের নির্যাস হিসেবে তুলে ধরেন। উজানের জল যেমন নদীর উৎসস্মৃতিকে বহন করে, তেমনি ঘটকের চলচ্চিত্রে চরিত্ররা তাঁদের অস্তিত্বের উৎস খোঁজে ফেরে। গঙ্গা, বসন্ত, অনন্ত, সুবল—উপন্যাসের এই চরিত্রগুলি চলচ্চিত্রে এসে শুধু কাহিনির চালক নয়, বরং প্রতীকী রূপ ধারণ করে।

গঙ্গার চোখে জলের প্রতিফলন, তার ক্লান্ত হাঁটাচলা, আর দীর্ঘ নিশ্বাস—এসবের মাধ্যমে ঘটক গড়েন সেই চিরন্তন নারীর প্রতিচ্ছবি, যে হারানোর মধ্যেও জন্ম দিয়ে যায় নতুন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা।

ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্রে প্রতিটি চরিত্র যেন নদীর প্রবাহের মতো—চঞ্চল, পরিবর্তনশীল এবং কোনো এক উৎসের খোঁজে নিরন্তর চলমান। গঙ্গা, চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র, শুরু থেকেই একধরনের মৌলিক যন্ত্রণার ধারক। তাঁর মাতৃত্ব শুধু সন্তান জন্মদানের সাথে যুক্ত নয়, বরং সে হয়ে ওঠে একটি সংস্কৃতির ধারক, এক লুপ্তপ্রায় মানবিক সম্পর্কজালের প্রতিনিধিত্বকারী। গঙ্গার চোখে জলের প্রতিফলন, তার ক্লান্ত হাঁটাচলা, আর দীর্ঘ নিশ্বাস—এসবের মাধ্যমে ঘটক গড়েন সেই চিরন্তন নারীর প্রতিচ্ছবি, যে হারানোর মধ্যেও জন্ম দিয়ে যায় নতুন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা।

বসন্ত চরিত্রটি একদিকে যেমন গ্রামীণ সমাজের নৈরাজ্য ও সহিংস বাস্তবতার নিদর্শন, তেমনি তার মধ্যে রয়েছে একধরনের আদর্শবাদিতাও—যা ঘটক বারবার নিম্নবর্গের মধ্যেই খুঁজে পেতে চেয়েছেন। বসন্তের সংলাপ ও দৃশ্যায়নে এমনভাবে আলো ও ছায়ার ব্যবহার রয়েছে, যা তার মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েনকে সামনে আনে। কখনো তার মুখ আলোকিত, আবার কখনো অন্ধকারের গহ্বরে হারিয়ে যায়—এভাবে ঘটক চরিত্রটির বিবর্তনকেই দৃশ্যমান করে তোলেন।

অনন্ত চরিত্রটি যেন একধরনের নীরব দ্রোহ। তার চাওয়াপাওয়ার মধ্য দিয়ে উঠে আসে আত্মপরিচয়ের সংকট। তাকে ঘিরে রাখা নদী, নৌকা, আর জনপদের নীরবতা মিলেমিশে এমন এক চলচ্চিত্রিক ভাষা গড়ে তোলে, যেখানে সংলাপ ছাড়াই চরিত্রের ভেতরের দোলাচল স্পষ্ট হয়। তার প্রতিটি উপস্থিতি যেন এক নতুন অনুরণন তৈরি করে—যেখানে স্মৃতি, শোক এবং প্রতিরোধ মিলেমিশে এক হয়।

সুবল চরিত্রে ফুটে ওঠে প্রান্তিক মানুষের অপরিহার্য ক্ষয়, অথচ তার মাঝেও থাকে একরকম মান্যতা, একরকম চেতনা, যা ঘটকের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সুবলের মুখের ক্লান্তির রেখা, তার বিষণ্ণ হাসি, অথবা নদীপাড়ে বসে থাকা দৃশ্যগুলো এমনভাবে নির্মিত, যাতে করে সে শুধু গল্পের এক চরিত্র নয়—বরং হয়ে ওঠে এক গোটা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি।

ঋত্বিক ঘটক প্রতিটি চরিত্রের অবস্থানকে নির্ধারণ করেন তাদের পারিপার্শ্বিকতা, যাপন এবং তাদের সময় ও ইতিহাসের অভিঘাতে। আলোর নান্দনিক বিন্যাস, ক্যামেরার সুনির্দিষ্ট গতি এবং ছায়ার বিস্তার মিলিয়ে তিনি প্রতিটি চরিত্রকে রূপান্তরিত করেন ইতিহাস ও অস্তিত্বের রূপকে। এই চলচ্চিত্রে চরিত্ররা যেন কেবল মানুষ নয়—তারা এক একটি নদী, সময়ের প্রবাহে গড়া এক একটি চিহ্ন, যাদের ভাঙনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে সভ্যতার বিকারের আখ্যান।


Ritttik_ghttk

ঋত্বিক ঘটক


ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্রে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ শৈলীর প্রতিফলন দেখা যায় অত্যন্ত গভীরভাবে। এখানে প্রতিটি চরিত্রের অবস্থান ও অভিজ্ঞতা নিছক ব্যক্তিগত নয়—তাদের অস্তিত্ব ইতিহাস, পারিপার্শ্বিকতা ও সময়ের অভিঘাতে নির্ধারিত। ঘটক চরিত্রদের কেবল ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেন না, বরং তারা হয়ে ওঠে বৃহত্তর এক সামাজিক ও ঐতিহাসিক বাস্তবতার প্রতীক। এই চলচ্চিত্রে মাধব, বাসন্তী, অনন্ত, কিংবা গ্রামের নাম না-জানা জেলেরা কেবল মানুষ নয়—তারা নদীর মতো, প্রবাহিত এক ইতিহাসের কণ্ঠস্বর।

এই চলচ্চিত্রে নদী কেবল প্রাকৃতিক উপাদান নয়, এটি একটি চলমান চরিত্র, যেটি ধ্বংস, গঠন, বিভাজন ও সংহতির প্রতীক। বাসন্তীর সন্তান হারানোর পর তার একাকিত্ব, কিংবা মাধবের উন্মাদনার দৃশ্যগুলোতে যে নিঃসঙ্গতা ফুটে ওঠে, তার সঙ্গে নদীর প্রবাহের চিত্রায়ণ একান্তভাবে যুক্ত।

ঋত্বিক ঘটকের ক্যামেরা কখনো স্থির নয়, কখনো বিক্ষিপ্ত, আবার কখনো ছায়ার বিস্তারে চরিত্রদের মধ্যে একধরনের বিমূর্ততা তৈরি করে। নদীর ধারে বসে থাকা চরিত্রদের ওপর যেভাবে আলো ফেলে, তা কেবল সৌন্দর্যের জন্য নয়—বরং তার মধ্য দিয়ে চরিত্রদের যাপন ও বেদনার নান্দনিক প্রতিফলন ঘটে। মাধব যখন বাসন্তীর সঙ্গে প্রথম দেখা করতে যায়, তখন নদীর পাড়ে আলো-ছায়ার খেলা ও ক্যামেরার ধীর গতি সেই মুহূর্তকে কেবল একটি রোমান্টিক মুহূর্তে রূপান্তর করে না; বরং তা হয়ে ওঠে দুটি ভিন্ন জগতের মিলনের প্রতীক, যেখানে গ্রামীণ জীবনের সরলতা আর সময়ের অদৃশ্য রূপান্তর পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়ায়।

এই চলচ্চিত্রে নদী কেবল প্রাকৃতিক উপাদান নয়, এটি একটি চলমান চরিত্র, যেটি ধ্বংস, গঠন, বিভাজন ও সংহতির প্রতীক। বাসন্তীর সন্তান হারানোর পর তার একাকিত্ব, কিংবা মাধবের উন্মাদনার দৃশ্যগুলোতে যে নিঃসঙ্গতা ফুটে ওঠে, তার সঙ্গে নদীর প্রবাহের চিত্রায়ণ একান্তভাবে যুক্ত। চরিত্ররা যেন নদীর স্রোতের মতোই নিজেদের নিয়তি দ্বারা পরিচালিত, কখনো ভাঙে, কখনো গড়ে ওঠে, আবার কখনো হারিয়ে যায়।

ঋত্বিক ঘটক এখানে ইতিহাসকে উপস্থাপন করেন ব্যক্তি জীবনের টুকরো অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। পূর্ববাংলার যে মাছজীবী সমাজকে কেন্দ্র করে এই কাহিনি এগোয়, তার মধ্য দিয়ে দেশভাগ, আধুনিকতার আগ্রাসন, এবং এক বিস্মৃতপ্রায় সংস্কৃতির অন্তর্ধান ধরা পড়ে। চরিত্রগুলো কেবল আত্মপরিচয় নিয়ে সংগ্রাম করে না, বরং তারা এক বৃহত্তর সভ্যতা-চ্যুতি ও ভাঙনের ধারক হয়ে ওঠে। বাসন্তীর ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থানে, কিংবা অনন্তের নিঃসঙ্গ প্রস্থানে দর্শক কেবল ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি দেখতে পায় না—তা হয়ে ওঠে একটি জাতির হারিয়ে যাওয়ার আখ্যান।

আলো ও ছায়ার ব্যবহার, ধ্বনি-নির্বাচন, ও দৃশ্যকাঠামোর মাধ্যমে ঋত্বিক ঘটক এই চলচ্চিত্রে যে ইতিহাসবোধ নির্মাণ করেন, তা সরাসরি দর্শকের বোধ ও অভিজ্ঞতায় অভিঘাত হানে। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’–এ চরিত্ররা যেন অস্তিত্বের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে, সময় ও ইতিহাসের মুখোমুখি হয়ে এক রূপক হয়ে ওঠে। তারা ব্যক্তি নয়, তারা কালচিহ্ন। তারা সভ্যতার বিকারের এক জীবন্ত দলিল, যার প্রতিটি মুখ নদীর স্রোতের মতোই সময়ের বুক চিরে এগিয়ে যায়—মুছে যায়—আবার ফিরে আসে স্মৃতির আবরণে।


Titas Ekti Nodir Nam

তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার দৃশ্যে সহশিল্পীর সঙ্গে কবরী


ঘটকের চলচ্চিত্রভাষা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বারবার ব্যবহৃত হয় স্টিল ফ্রেম, ধ্রুপদি সংগীত, আলেখ্যসদৃশ কম্পোজিশন, যা উপন্যাসের বাস্তবতার চিত্রণকে একধরনের মিথ বা প্রতীকমূলক স্তরে উন্নীত করে। ঘটকের এই নির্মাণে উপন্যাসের জীবনঘনিষ্ঠ বর্ণনার থেকে উঠে আসে এক মানসপ্রতিমা—এক হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির রূপকল্প। এখানে বাস্তব আর প্রতীকের ভেদরেখা মুছে যায়, এবং নির্মিত হয় এক অন্তর্লৌকিক জগৎ—যেখানে নদী মানে কেবল জল নয়, নদী মানে সময়, স্মৃতি, সংস্কৃতি ও অস্তিত্বের ছায়াচিত্র।

সবশেষে বলা যায়, অদ্বৈত মল্লবর্মণের উপন্যাসের যে মানবিকতা, যে আঞ্চলিকতা, ঋত্বিক ঘটক তা থেকে এক বিশ্বজনীন বোধ নির্মাণ করেছেন। তাঁর ক্যামেরা কখনো জনপদে ঘুরে বেড়ায়, কখনো নীরব নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে শুনে মানুষের হাহাকার, আবার কখনো আকাশপানে চেয়ে দেখে ঐতিহাসিক দুর্ভাগ্য ও পরিচয়ের সংকট। এই প্রক্রিয়ায় উপন্যাসের ভৌগোলিক ও নৃতাত্ত্বিক বাস্তবতা রূপান্তরিত হয় এক মনস্তাত্ত্বিক ও প্রতীকী জগতে, যা ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্রের মানসচেতনার অনন্য দিক। তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাণ ও নির্মিতির অনন্য নজির।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

মূলত কবি ও কথাসাহিত্যিক; অনুবাদ ও গবেষণায় রয়েছে সমান আগ্রহ। বাংলা একাডেমির রিসার্স-ফেলো হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা থেকে পি-এইচ. ডি সম্পন্ন করেছেন ২০০৪ সালে। বাংলাদেশের সরকারি কলেজে দর্শন বিভাগে অধ্যাপনায় নিয়োজিত। তার কবিতা তাইওয়ানিজ, চীনা, নেপালি, আজারব‌ইজানিজ, তার্কি, রোমানিয়ান, আরবি, ইতালীয়, অসমীয় ও স্পেনীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় বিশ্বের বিখ্যাত জার্নাল ও ব্লগগুলোতে নিয়মিত কবিতা লিখে যাচ্ছেন। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ইংল্যান্ডের ‘THE POET’ পত্রিকা কর্তৃক ‘International Poet of the Week’-‌এ ভূষিত হয়েছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৫টি। বগুড়া লেখক চক্র পুরস্কার (২০১১); চিহ্ন পুরস্কার (২০১৩); দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি গুণীজন সম্মাননা (২০১৪); উপমা সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) অর্জন করেছেন। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : ‘টেনে যাচ্ছি কালের গুণ’, ‘ধ্বনিময় পালক’, ‘ধাঁধাশীল ছায়া’, ‘জন্মান্ধের স্বপ্ন’, ‘সার্কাসের মেয়ে ও অন্যান্য কবিতা’, ‘The shadow of illusion’, ‘Blind Man's Dream’. গল্পগ্রন্থ : ‘তামাকবাড়ি’, ‘আবার কাৎলাহার’, ‘ঢুলকিপুরাণ’, ‘নাবিকের জুতো’। প্রবন্ধ : ‘বাংলাদেশের কবিতার নন্দনতত্ত্ব’, ‘হাজার বছরের বাংলা কবিতা’, ‘জীবনানন্দ দাশ ও অন্যান্য’, ‘বাংলা সাহিত্যে নারী’, ‘বাংলা উপন্যাস অধ্যয়ন’। অনুবাদ : ‘চৌদল ঐকতান’, মূল: টি. এস. এলিয়ট; ‘ধূসর বুধবার’, মূল: টি. এস. এলিয়েট; ‘বালি ও ফেনা’, মূল: কাহলিল জাফরান; ‘হল্লা’, মূল: অ্যালেন গিনসবার্গ।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।