বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮

আমার বিরহ তবে কাকে দেবো আমি! : রুহুল মাহফুজ জয়

0

তোমাকে লেখা আমার সকল চিঠিই অনন্তকালের; কোনো তারিখ নেই।

 

চুদির ভাইদের ছোটোবোন,
প্রিয়তমা আমার! নন্দনের বন্ধনে আমরা যতটুকু গোপন হতে পারি, তার সিকিভাগ নির্ভরতা কোথাও খুঁজে পাইনি। তুমি নাই বলো, আমি বলি তুমিহীন আমার কোনো নন্দন নাই, বন্ধন নাই, ক্রন্দন নাই। যদি কখনও এমন দিন আসে বাতাস তোমার শ্বাস বয়ে আনছে না সমান্তরাল কোনো পৃথিবীতেই, আমার বাক্যগুলি জ্যোৎস্নাতাড়িত প্রান্তরে নিদ্রাহীন হরিণীর চোখের পলক ফেলার মতো সুন্দর হতে পারছে না, সিনেমার উষ্ণতা আমার হৃদয়ে জমাট কঠিন স্তরের বরফ গলাতে পারছে না, কোনো কবিতাই আমাকে আর বিহ্বল করতে পারছে না, তুমিও নাই—নাই মানে নাই, তখনও কী আমি বেঁচে রবো না এই ধরণীর বুকে? এমন কিছুই কী থাকবে না, যার নন্দন আমার বুকে মোচড় দেবে, উত্তাল আবেগের ঢেউ ছড়িয়ে আবেশে ভরে রাখবে দুঃখী দিনগুলি? শোনো, ফুটবল খেলাটার নন্দন রয়ে গেলে আমার বাঁচার প্রতি ফোঁটা তৃষ্ণা কলরব করবে।


Pele

বল নিয়ে একটি রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে


আমি পাপের সঙ্গে ঘর করি, আমার আরোগ্যের ক্ষীণকায় বাতি হয়ে জ্বলো তুমি। তুমি নিভে থাকলে জ্বলে ওঠে লিওনেল মেসির ড্রিবলিং, ব্রাজিলিয়ান জিঙ্গা—ডিফেন্ডারকে হতভম্ব করে দেওয়া নেইমারের ব্যাকহিল পাস কিংবা শরীরের মোচড়, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জেদ আর দৃঢ়তা। পেনাল্টিতে একটা পানেনকা চিপ আমাকে বিহ্বল করে রাখে বহুকাল।

এত আর্ট এই একটা খেলায়! নয়নাভিরাম মানে কী? আমাকে কেউ এই প্রশ্ন করলে উত্তর দেবো, বল পায়ে দিয়েগো, নেইমার কিংবা মেসির ছুটে চলার দৃশ্য, প্রতিপক্ষের গোলকিপার আর পক্ষ-বিপক্ষ দুই দলের সমর্থকদের বুঁদ করে দেওয়া বাঁ পায়ের একটামাত্র স্পর্শ। চোখের চিকিৎসা বলতেও আমি ফুটবলের নন্দনকেই বুঝি, প্রিয়তমা। মনোচিকিৎসার জন্যেও আমি ফুটবল ম্যাচ দেখতে বসে যাই।

বল নিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের স্প্রিন্টারের দৌড় আমার রক্তে প্লাবন আনে, গোলকিপারের একটা সেইভ কিংবা বল নিয়ে আগোয়ান ফরোয়ার্ডের পা থেকে বাজপাখির ক্ষিপ্রতায় থিয়াগো সিলভা যখন বলটা ছিনিয়ে নেন, আমি বিস্ময়ে চেয়ে থাকি। এত আর্ট এই একটা খেলায়! নয়নাভিরাম মানে কী? আমাকে কেউ এই প্রশ্ন করলে উত্তর দেবো, বল পায়ে দিয়েগো, নেইমার কিংবা মেসির ছুটে চলার দৃশ্য, প্রতিপক্ষের গোলকিপার আর পক্ষ-বিপক্ষ দুই দলের সমর্থকদের বুঁদ করে দেওয়া বাঁ পায়ের একটামাত্র স্পর্শ। চোখের চিকিৎসা বলতেও আমি ফুটবলের নন্দনকেই বুঝি, প্রিয়তমা। মনোচিকিৎসার জন্যেও আমি ফুটবল ম্যাচ দেখতে বসে যাই। আমায় তুমি, চুদির ভাইয়েরা পাগল বলতেই পারো! সহসা মৃত্যুপথ থেকে আমাকে ফিরিয়ে আনতে পারে একটা ওভারহেড বাইসাইকেল কিকে দেওয়া গোল। বহু-বহুবার বহুবিধ রসাতল থেকে আমাকে উদ্ধার করেছে রোনালদো নাজারিওর চোট-জর্জরিত পা থেকে আসা মন্ত্রমুগ্ধ গোল, ছেলেখেলার মতো রোনালদিনিয়োর প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙা, ডেভিড বেকহামের ফ্রিকিক। শৈশবে আমাকে কাঁদিয়েছে জিনেদিন জিদানের দুটি হেডার, যৌবনে কাঁদিয়েছে মাতেরাজ্জির বুকে ষাঁড়ের ক্ষিপ্রতায় জিজুর টাকমাথার একটা গোঁতা। প্রথমবার নিজের দলের হারে কেঁদেছি, দ্বিতীয়বার কেঁদেছি জিদানের হারে। এমন বিপরীত আবেগের কান্না তুমি ফুটবল ছাড়া কাঁদতে পারবে না, প্রিয়তমা। গৌতম বসুর গঙ্গানারায়ণপুরে কখনও যদি আমাদের দেখা হয়ে যায়, যদি বাঁশবনের ধারে তোমার ললাট স্পর্শ করে কেঁদে ফেলি—আমার ফুটবলপ্রেম কী তোমাকে ঈর্ষা করবে? জানি না! আমার বিরহ তবে কাকে দেব আমি!


Messi

দুর্দান্ত ড্রিবলের মুহূর্তে লিওনেল মেসি


অই অন্ধ কিশোরের কথা ভাবি, যে কোনোদিন মেসিকে বল পায়ে দৌড়াতে দেখেনি, কোপার ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে বল পোস্টের বাইরে মারার পর মেসির বিষণ্ণ মুখ দেখেনি, কেবল টেলিভিশনে আওয়াজ শুনে মেসিকে ভালোবেসেছে; বাবার হাত যার দু’হাত ধরে ফুটবল মাঠে মেসির অবস্থান, নড়াচড়া, পাস, গোলের ধরন বুঝিয়ে দেয় আর আনন্দে চিৎকার করে ওঠার আবেগ তৈরি করে—তেমন ভালোবাসার নন্দন কী আমি সৃষ্টি করতে পারব কখনও? সংশয় দানা বাঁধে। আফগানিস্তানের শিশুটির কথা ভাবি, জার্সি কেনার পয়সা বাবা-মা যোগাতে অক্ষম—তাই আর্হেন্তিনার পতাকার মতো ডোরাকাটা পলিথিন পরে যে মেসি হতে চেয়েছিল—অই শিশুটির প্রেমের মতো নির্মল প্রেম আমি কী কখনও দিতে পারব কোনো মানবীকে? ঢাকার রাস্তায় বেড়ে ওঠা সেই ছেলেটির কথা মনে পড়ে, যার ছেঁড়া-ময়লা টিশার্টের পেছনে লেখা ‘মেছি 10’— ওর ভালোবাসাকে কী দশটা জার্সি কিনে ফেলা পুঁজিপতির সন্তানের শোঅফ ম্লান করে দিতে পারবে? মেসি নামের কেউ ফুটবল পায়ে জাদু না দেখালে এই বিদ্বেষমুখি সময়ে এমন নান্দনিক ভালোবাসার সাক্ষী আমরা হতে পারতাম না। জানো তো, ফুটবল আমাদের ভালোবাসতে শেখায়, ভালোবাসার নন্দন শেখায়।

দল ম্যাচের পর ম্যাচ হারে, বছরের পর বছর কোনো শিরোপা জিতে না, তবু ওরা সপ্তাহান্তে মাঠে আসে; গ্যালারি ভরিয়ে ফেলে। একটা গোল শরীরে বিদ্যুতের ঢেউ দুলিয়ে যায়, একটা ট্যাকল একতাবদ্ধ হাততালি উৎসারিত করে। জিতলে মাথার ওপর দলের লোগো আঁকা মাফলার ঘোরাতে ঘোরাতে পানশালায় ঢোকে—হারলেও পানশালাতেই যায়, মুখে হাসি থাকে না, কিন্তু গায়ে জার্সিটা থাকে।

কিছুদিন আগে, লন্ডনের খুব ব্যস্ত এক বিকালে আমি বিরাট জন-অরণ্যে আটকে গিয়েছিলাম। বলা যায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের খেলা শেষ হয়েছে। আমার মনে ছিল না ওদের হোম ম্যাচ আছে। স্ট্রাটফোর্ড ওয়েস্টফিল্ডে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম। সাইকেল নিয়ে লন্ডন অলিম্পিক স্টেডিয়ামের রাস্তায় ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজার হাজার যুবা, বৃদ্ধ, শিশু নারী-পুরুষের স্রোতে মিশে যাই। দলটা ২-০ গোলে হেরেছে। তবু দলের সমর্থকদের জন্যে বানানো থিম সং গেয়ে গেয়ে ওরা বাড়ি ফিরছে। জিতলে আনন্দ, হারলেও গান থামে না। সারা সপ্তাহের খাটুনির পর উইকেন্ডে প্রিয় দলের ফুটবল খেলা দেখাটাই ওদের বিনোদন। দল ম্যাচের পর ম্যাচ হারে, বছরের পর বছর কোনো শিরোপা জিতে না, তবু ওরা সপ্তাহান্তে মাঠে আসে; গ্যালারি ভরিয়ে ফেলে। একটা গোল শরীরে বিদ্যুতের ঢেউ দুলিয়ে যায়, একটা ট্যাকল একতাবদ্ধ হাততালি উৎসারিত করে। জিতলে মাথার ওপর দলের লোগো আঁকা মাফলার ঘোরাতে ঘোরাতে পানশালায় ঢোকে—হারলেও পানশালাতেই যায়, মুখে হাসি থাকে না, কিন্তু গায়ে জার্সিটা থাকে। ওরা জানে আজ হারলেও আরেক সপ্তাহে ঠিকই জিতবে, টানা হারতে থাকলেও বিশ্বাস হারায় না, ভাবে একদিন ঠিকই জিততে শুরু করবে। ফুটবল সমর্থকরা আমাকে এই দর্শনের শিক্ষা দিয়েছে—কখনও যেন হাল না ছাড়ি, চরমতম দুঃসময়েও যেন ভালোবাসাকে ছেড়ে না যাই। দল যখন হারতে থাকে, গ্যালারিতে প্রেমিকা-স্ত্রী-সন্তানকে পরম মমতায় জড়িয়ে ধরা—জেতার সময়ে উছ্বাসে জড়িয়ে ধরা থেকে বুঝি সময় পক্ষে বা বিপক্ষে—যেরকমই থাকুক, তোমার প্রিয়জনকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকো, অনুভূতিগুলি ভাগ করে নাও। জীবনের এই সহজ বোধের নন্দন ফুটবলের প্রেমে না পড়লে আমি কোথায় পেতাম, বলো!


Maradona 2

প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার মুহূর্তে ম্যারাডোনা


এখন তো কাতার বিশ্বকাপ চলছে। তুমিও নিশ্চয়ই খেলা দেখছো। ইরানের খেলা দেখেছিলে? ইরানের খেলোয়াড়রা যখন বিশ্বকাপে খেলতে আসেন, তখন তাদের দেশ মুক্তিকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত। মুক্তিকামী নারীদের আত্মত্যাগে সারা ইরান প্রকম্পিত। নীতিপুলিশেরা মাহশা আমিনিকে হত্যার পর দাউদাউ করে মুক্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। নারীমুক্তির এই আন্দোলনে একাত্ম হয়ে শত শত মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। ইরানের খেলোয়াড়রা দেশে থাকতে চুপ করে ছিলেন। বিশ্বকাপেও মুখ খোলেননি। কোনো কথা না বলেও যে জুলুমকারীকে বজ্রাঘাত দেওয়া যায়, সেটা এই খেলোয়াড়রা দেখিয়েছেন। প্রথম খেলাতেই জাতীয় সংগীত গাননি। চুপ করে নারীমুক্তির আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। ইরানের খেলার দিনে গ্যালারিতে দর্শকদের হাতে স্বাধীনতার পক্ষে লেখা ফেস্টুন টিভি পর্দার মাধ্যমে সারা দুনিয়ার মানুষ দেখেছে। দুনিয়া জেনেছে ইরানে আসলে কী হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ চলাকালেই ইরানের সরকার সেদেশ থেকে নীতিপুলিশ বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। নারীদের পোশাক-সাজের স্বাধীনতার ব্যাপারটি নিয়েও তারা নমনীয় হচ্ছে। স্পেনের বিপক্ষে মরক্কোর ঐতিহাসিক জয়টা দেখেছ নিশ্চয়ই। সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তির বিপক্ষে মাদ্রিদে জন্ম নেওয়া আশরাফ হাকিমির পানেনকা পেনাল্টিতে স্পেনের দুর্গপতনের রোমান্টিকতা তোমাকেও আবিষ্ট করেনি, বলো? কয়েক শ’ বছর আগে দখল করে নেওয়া গ্রানাদার সর্বশেষ সুলতান আবু আব্দুল্লাহ (বো-আবদেল) স্বর্গে সুখের অট্টহাসিতে নেচে-গেয়ে না উঠলে স্বর্গের ধারণা আমার কাছে মিথ্যা হয়ে যাবে। ম্যাচ শেষে মরক্কোর ছেলেগুলি প্যালেস্টাইনের পতাকা উঁচুতে তুলে ধরেছে, বিপন্ন এই জাতিগোষ্ঠীর স্বাধীনতা চেয়েছে। কোনো রক্তপাত ছাড়া এমন রাজনৈতিক আন্দোলন আর কীভাবে করা যেত, ফুটবল ছাড়া!

কয়েক শ’ বছর আগে দখল করে নেওয়া গ্রানাদার সর্বশেষ সুলতান আবু আব্দুল্লাহ (বো-আবদেল) স্বর্গে সুখের অট্টহাসিতে নেচে-গেয়ে না উঠলে স্বর্গের ধারণা আমার কাছে মিথ্যা হয়ে যাবে। ম্যাচ শেষে মরক্কোর ছেলেগুলি প্যালেস্টাইনের পতাকা উঁচুতে তুলে ধরেছে, বিপন্ন এই জাতিগোষ্ঠীর স্বাধীনতা চেয়েছে। কোনো রক্তপাত ছাড়া এমন রাজনৈতিক আন্দোলন আর কীভাবে করা যেত, ফুটবল ছাড়া!

এতদিনে নিশ্চয়ই জেনেছ ফুটবল আমার কাছে কেবল একটা খেলা নয়—আমার জীবনধারণ, আনন্দ-বিষাদ, বিনোদন সবকিছুরই অংশ। লিভারপুল হেরে গেলে আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না। ঘুম আসে না, খেতে ইচ্ছা করে না, সঙ্গমেচ্ছাও জাগে না। ক্রীড়ালেখক গুরু এদুয়ার্দো গালেয়ানো আর ফরাসি ফুটবলার এরিক ক্যান্টোনার বলা একটা স্মরণীয় কথা দিয়ে শেষ করি। তাঁরা বলেছিলেন, ‘এক জীবনে একজন লোক বউ বদলাতে পারে, রাজনৈতিক মতাদর্শ কিংবা ধর্মও বদলাতে পারে। কিন্তু কখনওই তার প্রিয় ফুটবল দল বদলাতে পারে না।’ আসলে ব্যাপারটা এমন, একবার যে মানুষ ফুটবল খেলাটাকে ভালোবেসেছে, খেলাটার ভেতরের সৌন্দর্য আর দার্শনিক-রাজনৈতিক তাৎপর্যের সন্ধান পেয়েছে, সে কোনোদিনই এই খেলার নন্দন থেকে বেরোতে পারে না। বেরনো অসম্ভব। জীবনের শেষ মুহূর্তটাতেও যেন কোনো ফুটবলীয় উত্তেজনার অংশ হতে পারি। আমার মরণকালের তরণী যেন হয় নান্দনিক ফুটবলের ছোঁয়া। শয্যাপাশে তুমি যেন গেয়ে ওঠো, ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন।’ আহা! মরেও যেন পাশে থাকার নির্ভরতা পাওয়া যাবে।

ভালোবাসা নিও, কোনো বসন্তে আমরা নিশ্চয়ই একসাথে বসে ফুটবল দেখব। পৃথিবী এমন সুন্দর হলে কোনো ক্ষতি নেই, প্রিয়তমা!

ইতি,
তোমার কবি।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

জন্ম  ৩১ মার্চ, ১৯৮৪, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ। প্রকাশিত কবিতার বই : আত্মহত্যাপ্রবণ ক্ষুধাগুলো (২০১৬, ঐতিহ্য) কালো বরফের পিস্তল (২০১৮, জেব্রাক্রসিং) বিদ্যুতের প্রাথমিক ধারণা (২০১৯, তবুও প্রয়াস, ভারত), মান্দার ফুলের সখা (২০২১, ঢাকাপ্রকাশ)। প্রকাশিত গদ্যের বই : এ টু জেড বিশ্বকাপ (২০১৮, ঐতিহ্য)। সম্পাদিত গ্রন্থ : কূটালাপ (২০১৮, ঐতিহ্য)। এছাড়া কবি ফারাহ্ সাঈদের সঙ্গে তিনটি ব্রেইল বই সম্পাদনা করেছেন। শিল্প-সাহিত্যবিষয়ক ওয়েবজিন শিরিষের ডালপালা'র সম্পাদক।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।