
মিছিল খন্দকারের কবিতা
আ-মরি কবিতা কী যে সমীরণ, বাঁকা বায়ু বয়, আহা! যাহাই কুহেলি, কুয়াশাও নাকি তাহা! সতত…
আ-মরি কবিতা কী যে সমীরণ, বাঁকা বায়ু বয়, আহা! যাহাই কুহেলি, কুয়াশাও নাকি তাহা! সতত…
বুদ্ধিজীবী দুই হাত আকাশের দিকে তুলে, উত্তপ্ত বালির মরীচিকা সম্বল ক’রে নিষ্ফল হবার একশোভাগ রিস্ক…
ন হন্যতে দুঃখের ছবি দেখবো না আর এই না দেখার হাত ধরে বেড়াতে যাবো পাহাড়…
তাহলে বসন্ত এলো রক্ত-কুসুমিত,
সন্তের ক্রূরতা আর খুনীর সন্ন্যাসে
দিগন্ত পেরিয়ে—
দল বেঁধে রক্তমুখা ইঁদুরেরা আসে
তাহলে বসন্ত ভালো, হিম-কুসুমিয়া?
শেষবার জ্বলে উঠে শ্বেত ফসফরাস
নিভে গেলো জীবনের আশ্চর্য কিমিয়া!
নিদালি প্রান্তরে কারা হয়েছে মুখর,
সাপ আর শয়তানের উদগ্র সঙ্গম;
লম্বা মানুষের গল্প ১ লম্বা মানুষের ছায়া যে লম্বা হবে— এমনটা ব্যাপার না ছায়া দীর্ঘ…
যৌথ ভ্রামরী প্রাণায়ামের মতো তোমার সুগন্ধ নাকে টেনে মুখ দিয়ে বের করে দিই। গুঞ্জনের এই…
নিজের প্রতি ০১. আমরা দুজন অপরিচিত, পরস্পরে প্রবেশ করি। কী আসে যায় পরিচয়ে? এই যে…
উনুনের রক্তরঙে লাল হয়ে ঘেমে ওঠে মুখ
চিড়-ধরা দেওয়ালে সঞ্চিত থাকে হিমঘ্ন অতীত
নিদ্রিত শিশুর মতো আধোলীন স্নেহের দাপটও
ক্ষয়ে যায়, জন্ম তার ছেঁড়ে— থাকে দাগ, চিদাকাশে
প্রাণের সমস্ত কড়া নেড়ে নেড়ে খসে পড়ে যায়
কে রয়েছে? আছে কেউ, পথ রুখে দাঁড়ায় সম্মুখে?
হয়তো দাঁড়ায় কেউ, ধুলোপাশে ছেঁড়া ছাতা ধরে
সহজ জলের ঢঙে অভ্যাসে গড়ায় অবনত
শীতকাল জাঁকিয়ে বসেছে, গরুগুলো স্যুয়েটার পড়ে সকালের
রোদে চিবুচ্ছে খড়। গরুর মালিক লোকটি গেঁয়ো আর
গোবেচারা। তাই চাইছি, শহরের কফিশপ থেকে কেউ ধোঁয়া
ওঠা কয়েক মগ গরম কফি এনে গরুদের দিক।
মর্মের মন্দির থেকে তুলে আনা
রক্তাভ যতো ধ্বনি—তুমি,
তাকে নৈঃশব্দে পৌঁছাও
তবু, ঠেকাতে পারো অই চির অমেয় রুধির প্রবাহ?
ঝড়ের অলিন্দ থেকে; যে কোনো গভীর আড়াল থেকে
জেগেছে যে মায়াবী মর্মর—
যেন যতো ভারি পাথরের ছিল, সেসব—