বৃহস্পতিবার, মে ২

পাখিরোষ : মৌন বিদ্রোহের প্রতিলিপি : আদনান সৈয়দ

0

গল্পকার আশরাফ জুয়েলের গল্পের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটেছিল তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘রাষ্ট্রধারণার বিরুদ্ধে মামলা ও বিবিধ গল্প’ এর মাধ্যমে। পরবর্তীতে দুঃসহ করোনাকালে ঢাকায় যখন বন্দি জীবন যাপন করছিলাম তখন তাঁর সঙ্গে অভিনবভাবেই আমার পরিচয় ঘটে। করোনার বন্দিত্ব থেকে মুক্তির জন্য আমরা কয়েকজন শিল্প-সংস্কৃতিমনা বন্ধু হোয়াটসঅ্যাপকে কেন্দ্র করে একটি শিল্প-সাহিত্য গ্রুপ খুলে সেখানে তুমুল আড্ডার আয়োজন করেছিলাম। আশরাফ জুয়েল সেই গ্রুপের সদস্য ছিলেন। সেই গ্রুপে প্রায় সময়ই তিনি তাঁর গল্প পোষ্ট করতেন এবং তখন থেকেই ওঁর গল্পের আরও কাছাকাছির আসার সুযোগ ঘটেছিল।

তখনই লক্ষ করেছিলাম আশরাফ জুয়েলের গল্প পড়তে হলে চোখ টান টান করে রাখতে হয়, মনটাকে রাখতে হয় শান্ত আর যথাসম্ভব সামাজিক এবং পারিবারিক নানা রকম দায়-দায়িত্ব থেকে ভারমুক্ত করে। কারণ ওঁর গল্পের প্রতিটি শব্দই পড়তে হয় খুব খুটিয়ে খুটিয়ে। কোনো একটা শব্দ অথবা একটা বাক্য যদি কোনো অসাবধনাতার কারণে বাদ পড়ে যায় তখন সেই গল্পটার পুরোপুরি স্বাদ আর থাকে না। আরেকটা কারণ হলো ওর গল্পে প্রচুর মেটাফর বা চিত্রকল্পের ব্যবহার। এসব তাঁর গল্পের অলংকার। এই অলংকারগুলোকে মস্তিস্কে তুলে নিয়ে গল্পের জলে ডুব দিতে পারার আনন্দই আলাদা!

Pakhirosh

পাখিরোষ | আশরাফ জুয়েল | প্রকরণ : ছোটোগল্প | প্রচ্ছদ : তাইফ আদনান | প্রকাশক: ঐতিহ্য | মুদ্রিত মূল্য ১৮০ টাকা | বইটি সংগ্রহ করতে এখানে ক্লিক করুন

তাঁর গ্রন্থ আলোচনা করার আগে আরেকটি বিষয় পরিস্কার করে নিতে চাই। লেখক আশরাফ জুয়েল মাথা থেকে পা পর্যন্ত একজন কবি। মনে রাখতে হবে কবিসত্তাকে বুকে ধারণ করে তিনি যখন গল্প লিখবেন তখন সেই গল্পের শরীর জুড়ে ম্যাজিক রিয়েলিজম, মেটাফর, চিত্রকল্প বাসা বাঁধতে বাধ্য। ওঁর গল্পগুলোর দিকে তাকলে দেখা যায় তিনি নীরিক্ষাধর্মী গল্প লিখতে বেশি উৎসাহী। তাঁর বিশেষ এক ভাষারীতি আছে। এ ক্ষেত্রে তিনি গতানুগতিক গল্পকারদের থেকে একটু আলাদা। এসব কারণে অনেকেই মনে করতে পারেন ওঁর গল্পে প্রচুর পরিমান জাদু বাস্তবতা আর মেটাফর প্রয়োগের কারণে গল্পের ফ্লো বুঝি খানিক ঝিমিয়ে পরেছে অথবা থমকে গেছে। আমি কিন্তু তা মনে করি না। আমার ধারণা গল্পকার আশরাফ জুয়েল তাঁর গল্পে মেটাফরকে খুব যথাযথভাবেই ব্যাবহার করেন। একজন শিল্পী যেমন জানেন শিল্প নির্মাণে কোথায় কোন রংটা ঠিকমতো লাগাতে হবে তেমনি জুয়েলও তাঁর গল্পে সেই কাজটি বেশ মুন্সিয়ানার সঙ্গেই করেন।

শিল্পের কাজ কী? শিল্প কি শুধুই মুক্তির পথ বাতলে দেয়? সমাজ এবং রাষ্ট্রের চলমান অসংগতিগুলোর দিকে আঙুল উঁচু করে ধরে? আমি মনে করি না। যদি তাই হতো তাহলে শিল্প-সাহিত্য হয়ে উঠবে শ্লোগান। কিন্তু শ্লোগন তো আর শিল্প নয়। আমার ধারণা আশরাফ জুয়েল তাঁর গল্পে এই দুটো কাজ খুব আন্তরিকতার সঙ্গেই সংযোগ ঘটিয়েছেন। তাঁর গল্পে যেমন শিল্প সাহিত্যের উপাদান থাকে পাশাপাশি তিনি গল্পের বয়ানে একটি সমাজ- রাষ্ট্রকে নির্মাণ করেন এবং পাঠককে সেই সমাজ-রাষ্ট্রকে দেখিয়ে দেন। গল্পগুলো তখন পাঠকের কাছে অন্যভাষায় ধরা দেয়। যে ভাষা দ্রোহের, যে ভাষা বিপ্লবের এবং আবার যে ভাষা কখনো কখনো নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার।

এবার তাঁর গল্পগ্রন্থ ‘পাখিরোষ’ এ খানিক বিচরণ করা যাক। গ্রন্থটি ২০২২ সালে একুশের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল। মোট ১০টি গল্প এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। গল্পগুলো হলো ছায়াসন্দেহ, সুখনিদ্রা পরিত্যাজে, জাগে মৃগরাজতেজে, একটি নোংরামূল্যের গল্প, গর্ভনাশ, ঘন বাতাসের সুলেমা, এত নিশ্চিন্ত হইয়া মানুষ নিজের মৃত্যুরে খায় ক্যামনে?, অপ্রকাশিত ভাবনার কাফকা, বিজ্ঞাপিত সুখ, পাখিরোষ এবং হত্যাখামার। প্রতিটি গল্প নিজস্ব শক্তিতে বিদ্যমান। আবার গল্পগুলোয় রয়েছে অন্তর্নিহিত অসাধারণ কিছু ভাবনাও। সবকটি গল্প দিয়ে একটি মালা গাঁথলে সেখানে ধরা পড়ে লেখকের মৌন দ্রোহ। যে দ্রোহ একজক পাঠকের আত্মায় দোলা দিতে বাধ্য। প্রতিটি গল্প পড়লে এই অসম সমাজের অনেক অনাচার চোখে পড়ে। এই অনাচার জমে আছে রাষ্ট্রে, সমাজে এবং ব্যক্তি মানসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। গল্পকার সুকৌশলে সেই জমে থাকা ধুলোগুলোকে তাঁর গল্পের ভাষায় ঝাট দিতে চেয়েছেন।

সাধারণ একটি বস্তুকে তিনি প্রাণ দিয়েছেন। মানুষ যে কথাটি বলতে পারে না, যে কাজটি করতে পারে না, একটি বোতল, ছেড়া স্যান্ডেল, রাস্তায় ফেলে দেওয়া চুইংগাম সে কথাটি বলতে পারে। এ যেন আমাদের ছেলেবেলায় পড়া ব্যঙ্গমা বেঙ্গমির গল্পের মতো। যে কথাটি মানুষের বলার কথা ছিল সেই কথাটি লেখক প্রতীকী ভাষায় একটি সাধারণ বস্তুর মুখ দিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন।

তাঁর প্রথম গল্পটি ‘ছায়াসন্দেহ’। আমার ধারণা এই গ্রন্থের খুব শক্তিশালী একটি গল্প। সাধারণ একটি বস্তুকে তিনি প্রাণ দিয়েছেন। মানুষ যে কথাটি বলতে পারে না, যে কাজটি করতে পারে না, একটি বোতল, ছেড়া স্যান্ডেল, রাস্তায় ফেলে দেওয়া চুইংগাম সে কথাটি বলতে পারে। এ যেন আমাদের ছেলেবেলায় পড়া ব্যঙ্গমা বেঙ্গমির গল্পের মতো। যে কথাটি মানুষের বলার কথা ছিল সেই কথাটি লেখক প্রতীকী ভাষায় একটি সাধারণ বস্তুর মুখ দিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন। সে কারণেই ফিতাছেঁড়া বাটার স্যান্ডেলও বলে উঠতে পারে, ‘কি বুঝতে পারছেন?’ কিন্তু বাস্তবতা হলো ফিতাছেঁড়া স্যান্ডেল যে কথাটি বুঝতে পারে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ সেই কথাটি বুঝতে পারে না। লেখক এই গল্পটি দিয়ে আমাদের ঘুমিয়ে থাকা আর নেতিয়ে পড়া সমাজকে দুর্দান্ত চপেটাঘাত করেছেন।

কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছিল। একটি পায়ে একটি স্যান্ডেল। সেই কাটা পা নিয়ে আশরাফ জুয়েলের আরেকটি গল্প। কত সুন্দর আর শৈল্পিকভাবেই না সেই একটি পায়ের নিঃসঙ্গতাকে গল্পকার ফুটিয়ে তুলেছেন! একটি পা মানেই একটি অস্বাভাবিক একাকীত্ব। সেই একাকীত্ববোধ নিয়ে আমরা নিত্যই ঘুরে বেড়াই। এই গল্পটি বইয়ে সংকলনের আগেই পড়ার সুযোগ হয়েছিল। দ্বিতীয়বার পড়ার পর গল্পটি যেন আমার সামনে নতুন করে ধরা দিলো। একজন স্বার্থক গল্পকারের মুন্সিয়ানা বুঝি এখানেই। পাঠকের মনে গল্পের ডাইমেনশন নানাভাবে নানা চিন্তায় গেঁথে দেওয়ার ক্ষমতা সব লেখকের থাকে না। তাঁর ‘সুখনিদ্রা পরিত্যাজে, জাগো মৃগরাজতেজে’ গল্প থেকে কয়েকটি লাইন তুলে ধরার লোভ সামলাতে পারছি না।

‘এই শুয়ে বসে থাকা। ভীষণ একা। কোথাও যাবার নেই। কোনো তাড়া নেই। ছোট একটি কেবিন। নাকের ফুটোর মতো একটা জানালা। সেটা দিয়ে নেমে আসা আধুলির সমান এক টুকরো আকাশ— সন্ধে নামলে সেই আকাশে অন্ধকারের সুতোয় ঝুলতে থাকে বেড়ালের চোখের মতো সাতটা তারা, একটি কপাট বন্ধ থাকলে তা নেমে আসে সাড়ে তিনটায়। দু-কপাট বন্ধ থাকলে মরে যায় আকাশটা। একটা ফ্যান নিশ্চিত ফাঁসির আসামির মতো ঝুলে থাকে। দেড় ধাপ সমান না-মাজা দাঁতের মতো একটা বাথরুম। বিছানাটা কবরের সমান।’

‘পাখিরোষ’ গল্পটি দিয়েই এই গ্রন্থের নামকরণ হয়েছে। এবং নামকরণ খুব যথাযথভাবেই হয়েছে। যে সমাজের মানুষ এখন বোবা, মূক এবং যে সমাজে মানুষের কথা বলার কোনো শক্তি নেই সেই সমাজের মানুষ পাখি হয়ে আকাশে উড়বে এটাই তো স্বাভাবিক। গল্পটি আমাদের দেশের অসহায় নারীদের নিয়ে। নারী নির্যাতন, নারীর অধিকার নিয়ে। যে নারীর কথা বলার শক্তি নেই, যে নারী প্রতিনিয়ত পুরুষ-শাষিত সমাজে পণ্য হতে বাধ্য সেই নারীর মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়াই বুঝি অপরাধ। তাই নারীরা পাখি হয়ে যায়। অথবা বলা যায় তারা পাখি হয়ে যেতে বাধ্য হয়। অসাধারণ জাদু বাস্ববতা দিয়ে আশরাফ জুয়েল এই সমাজের একটি বাস্তব চিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন এই গল্পে।

গল্পটি পড়লে আমাদের ক্লেদাক্ত সমাজ আর সেই সমাজের কিছু বিভৎস মানুষের ছবি আমাদের অন্তারাত্মায় ভেসে ওঠে।

‘একটি নোংরামূল্যের গল্প’ আমার আরেকটি সুখপাঠ্য গল্প। আমাদের সমাজের প্রান্তিকদের নিয়ে লেখা এই গল্প। যারা নেশা করে, ভিক্ষা করে, প্রতারণা করে আবার নানান রূপ নিয়ে জীবন বাস্তবাতায় তাদের টিকে থাকতে হয় সেই নিম্নবর্গদের নিয়ে লেখা এই গল্পটিও মূলত আমাদের ক্ষয়ে যাওয়া সমাজকেই চিত্রিত করেছে। গল্পটি পড়লে আমাদের ক্লেদাক্ত সমাজ আর সেই সমাজের কিছু বিভৎস মানুষের ছবি আমাদের অন্তারাত্মায় ভেসে ওঠে। ঠিক এমন অবক্ষয়ের আরেকটি চিত্র দেখতে পাই তাঁর ‘এত নিশ্চিন্ত হইয়া মানুষ নিজের মৃত্যুরে খায় ক্যামনে?’ গল্পে। একদিকে শিল্পপতি পিতা যিনি পুঁজিবাদকে ধারণ করেন অন্যদিকে সেই পিতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা সন্তানের প্রতিবাদ। এভাবে ধরে ধরে তাঁর প্রতিটি গল্পই আলোচনা করা যেতে পারে। প্রতিটি গল্পেই ধরা পড়বে নতুনত্ব আর নতুন নতুন ভাবনার খোরাক।

আগেই উল্লেখ করেছি আশরাফ জুয়েল মাথা থেকে পা পর্যন্ত একজন কবি। তাঁর গল্পে কবিতার মতো অনেক চিত্রকল্প স্থান পাবে এ-ই স্বাভাবিক। কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি। ‘আধুলির সমান এক টুকরো আকাশ’, ‘নাকের ফুটোর মতো একটা জানালা’, ‘বর্ষার কাঁচামাটির গর্ভবতী চুলোর মতো অবস্থা যেন’, ‘নতুন খুশকির মতো জ্বালাতন করছে ভাবনাটা’, ‘পশ্চিম মানে মাতবর’, ‘এক চোখ ধর্মের তো আরেক চোখ মাতালের। এক চোখ ব্যবসার তো আরেক চোখ ডাকাতের’। এমন অনেক উদাহারণ দেওয়া যাবে। এই মেটাফরগুলো আশরাফ জুয়েলের গল্পের অন্যতম অলংকার বলে আমি মনে করি। সবাই এত গভীরভাবে সমাজকে দেখতে পারেন না। সমাজের অনাচারগুলোকে কাব্যিকভাবে তুলে আনা এত সহজও নয়। গল্পকার আশরাফ জুয়েল সেই কঠিন কাজটি করেছেন। আবার গল্প লেখার জন্য সিগারেট, মশা, স্যান্ডেলের ফিতা, ফুল হাতা শার্টের পকেট, বাদামের খোসা, বৃদ্ধ চশমা, আধপোড়া একটা সিগারেট মতো খুব সাধারণ এই বস্তুগুলো দিয়ে তিনি অসাধারণ চিত্রকল্প তৈরি করেছেন, পাঠককে নানাভাবে গল্পের চরিত্রের সঙ্গে ডুবিয়ে রেখেছেন। একজন জাত লেখক না হলে এই কাজটি করা এত সহজ নয়। গল্পকার আশরাফ জুয়েলকে সাধুবাদ।

‘পাখিরোষ’ গ্রন্থটির নান্দনিক প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী তাইফ আদনান। তাঁকে অভিনন্দন। গ্রন্থটি পাওয়া যাবে ঐতিহ্য প্রকাশনী এবং অনলাইন বইয়ের দোকানগুলিতে।

‘পাখিরোষ’ গল্পগ্রন্থটি পাঠকের হাতে হাতে ঘুড়ে বেড়াক এই প্রার্থনা।

হ্যাপি রিডিং…

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

প্রাবন্ধিক, গল্পকার এবং অনুবাদক। ঢাকায় জন্ম। পড়াশুনা করেছেন বাংলাদেশ এবং উত্তর আমেরিকায়। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্ক অভিবাসী। নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা, নিউ ইয়র্ক ফিল্ম সেন্টার, নিউ ইয়র্ক বাউরি পোয়েট্রি ক্লাবসহ নানা রকম শিল্প-সাহিত্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত। পেশায় আর্থিক বিশ্লেষক এবং পরামর্শক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে উত্তর আমেরিকায় বাঙালির অভিবাসী হওয়ার বিস্ময়কর ইতিহাস আর কৌতূহলোদ্দীপক জীবন নিয়ে তাঁর গবেষনাধর্মী গ্রন্থ  ‘শিপ জাম্পার: বাঙালির আমেরিকা যাত্রা’, ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতী নারীদের বিচিত্র জীবন নিয়ে গবেষনা গ্রন্থ ‘ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরা’ এবং পলাশী যুদ্ধের অন্যতম খলনায়ক রবার্ট ক্লাইভের অজানা কিছু কাহিনি নিয়ে গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘জানা অজানা রবার্ট ক্লাইভ’।  কবি শহীদ কাদরীর জীবন ও সাহিত্য নিয়ে গ্রন্থ ‘চেনা অচেনা শহীদ কাদরী’ এবং ‘শহীদ কাদরী বাড়ি নেই’। আমেরিকার বাঙালি অভিবাসীদের মন ও তাঁদের জীবনের চমকপ্রদ গল্প নিয়ে তাঁর গল্পগ্রন্থ ‘অ্যাকুরিয়ামের মাছ ও হলুদ প্রজাপতির গল্প’, এবং ‘আমেরিকানামা’। দুঃসহ করেনাকালের ছাপ নিয়ে লেখা তাঁর গল্পগ্রন্থ ‘করোনা ও একটি অলকানন্দা ফুল’। ভ্রমণ, বই পড়া এবং সিনেমা দেখা তাঁর নেশা।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।