তখনও ভালোভাবে ভোর হয়নি। সারারাত বৃষ্টি হয়েছে বলে পথঘাট কাদায় প্যাচপ্যাচে হয়ে আছে। প্রতিদিনের মতো তারেক হাঁটতে বেরিয়েছে। কাদা এড়াতে রেল লাইন ধরে বকুলপুর বরাবর হেঁটে যায় সে, ফিরতে ফিরতে শুরু হয় বৃষ্টি। তাড়াহুড়ো করে তারেক আশ্রয় নেয় রেলস্টেশনে। স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। ছোট্ট মফস্বল বলে সারিসারি অচেনা মুখের মাঝে চেনামুখও চোখে পড়ে যায়, সৌজন্য বিনিময় করে এগোয় তারেক। এক কাপ চা খেতে পেলে মন্দ হয় না। চায়ের দোকানের দিকে এগুতেই চোখ আটকে যায় তার, বৃষ্টিতে ভিজে নাজেহাল হয়ে আছে এক তরুণী। বুকটা ধক করে ওঠে তারেকের, রুনা নয়তো! মেয়েটি আকাশি ওড়নায় আব্রু রক্ষায় ব্যস্ত। আশপাশের মানুষ তাকিয়ে আছে তার দিকে― সব বৃষ্টির সকালে এমন কাকভেজা সুন্দরীর দেখা পাওয়া যায় না। এগিয়ে যায় তারেক, তাকে দেখে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে রুনা; তবে যেন কিছুই হয়নি এমন ভঙ্গিতে বলে, ‘আরে তারেক ভাই, এত সকালে!’
‘তার আগে তুমি বলো, এমন ভিজলা ক্যামনে?’
চায়ের দোকানের দিকে এগুতেই চোখ আটকে যায় তার, বৃষ্টিতে ভিজে নাজেহাল হয়ে আছে এক তরুণী। বুকটা ধক করে ওঠে তারেকের, রুনা নয়তো! মেয়েটি আকাশি ওড়নায় আব্রু রক্ষায় ব্যস্ত। আশপাশের মানুষ তাকিয়ে আছে তার দিকে― সব বৃষ্টির সকালে এমন কাকভেজা সুন্দরীর দেখা পাওয়া যায় না।
‘আর বইলেন না। বাসা থেকে যখন বের হইছি তখন বৃষ্টি ছিল না, রিকশার পর্দা ছিল সিটের নিচে। বৃষ্টি ছিল না বলে পর্দা বের করতে বলি নাই, মাঝপথে এমন বৃষ্টি শুরু হইল! পর্দা বের করতে গিয়ে যতটুকু শুকনা ছিলাম, সেটুকুও ভিজালাম।’
‘আসো, এইখানে এসে বসো। ফ্যান আছে এইখানে, জামা শুকায়ে যাবে দ্রুত। চিটাগাং যাচ্ছ বুঝি, ক্যাম্পাস খুলছে?’
‘হুম’
‘বাহ, আট মাসের লম্বা ছুটি কাটালা। ছাত্রছাত্রীদের রিলাক্সের জন্যই ভার্সিটিতে মাঝেমধ্যে গ্যাঞ্জাম লাগা দরকার।’
‘আপনার মাথা নষ্ট তারেক ভাই।’ মুখ ঝামটা দিয়ে ওঠে রুনা, ‘আটটা মার্ডার হইছিল, ছয়মাসের জন্য বন্ধ ছিল ভার্সিটি।’
‘এই রে কী বলতে কী বলে ফেলল!’ তারেক ভয়েভয়ে ঢোঁক গিলে। কথা ঘুরানোর জন্য বলে ‘তো কোন ট্রেনে যাচ্ছ, মহানগর প্রভাতী?’
‘না তো কী? চিটাং মেইল! আপনার মতো, সারাজীবন লাগাই দিক গন্তব্যে পৌঁছাতে!’
খোঁচাটা গায়ে লাগায় না তারেক। গভীর মনোযোগের সাথে স্টেশনের ভিড় দেখার ভান করে সে। ফ্যানের বাতাসে রুনার পোশাক অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। এদিকে ট্রেনও চলে এসেছে। তড়িঘড়ি কামরায় উঠতে যায় রুনা, তারেক হাত বাড়িয়ে ব্যাগ উঠিয়ে নেয় তার, ব্যাপারটা স্বাভাবিক জেনে আপত্তি করে না রুনা। ব্যাগ নিয়ে তারেক একেবারে রুনার সিটের কাছে চলে আসে। ব্যাগটা উপরে রাখতে গেলে রুনা বলে, ‘আমি পারব, আপনি নেমে যান। এক্ষুনি ট্রেন ছেড়ে দিবে!’
‘ছাড়লেই কী! আমিও তো এই ট্রেনেই যাচ্ছি।’
‘তাই নাকি’ অবাক হয় রুনা, ‘আপনার ব্যাগ কই?’
‘ব্যাগ থাকা লাগবে কেন? আপার বাসায় যাচ্ছি, জমির কাগজ নিয়ে। আপার সাইন নিয়ে মহানগর গোধূলিতে ফিরে আসব আজই।’
সন্দিগ্ধ চোখে তাকায় রুনা, ‘কই, কোনো কাগজপত্রও তো দেখছি না।’
‘কাগজ কি দিস্তাদিস্তা নাকি? প্যান্টের পকেটেই আছে।’
‘কিন্তু আপনি তো ট্রাউজার পরা।’
‘ওই হইল! ট্রাউজারেও পকেট থাকে।’
বলে তারেক রুনার পাশে জায়গা করে বসতে যায়। রুনা অবাক হয়ে বলল, ‘আপনার সিটে গিয়া বসেন!’
‘সিট পাই নাই, স্ট্যান্ডিং।’ তারেকের সোজাসাপটা জবাব।
কিন্তু টিকেট চেকারকে দেখে সে তড়াক করে ওঠে, ‘আমার জায়গাটা কাউকে দিয়ো না যেন, একটু টয়লেট থেকে ঘুরে আসি।’ বলে টিটি থাকার পুরো সময়টা যাত্রীদের শত গালিগালাজ সত্ত্বেও টয়লেটের দরজা খোলে না তারেক।
রুনা আর কিছু বলে না, সরে গিয়ে জায়গা করে দেয়। ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। বৃষ্টির ছাঁট আসছে বলে পাশের যাত্রী জানালা বন্ধ করে দিলো। ঘণ্টাখানেক নির্বিঘ্নে কেটে যায়, ট্রেনে উঠলে রুনার সাথে অনেক গল্প হবে, ভাবনাটা ভুল প্রমাণ করে দিয়ে রুনা পাশের মহিলার সাথে গল্প জুড়ে দিয়েছে। তারেকের ঘুম পায়। কিন্তু টিকেট চেকারকে দেখে সে তড়াক করে ওঠে, ‘আমার জায়গাটা কাউকে দিয়ো না যেন, একটু টয়লেট থেকে ঘুরে আসি।’ বলে টিটি থাকার পুরো সময়টা যাত্রীদের শত গালিগালাজ সত্ত্বেও টয়লেটের দরজা খোলে না তারেক। ফিরে এলে রুনা টিপ্পনী কাটে, ‘ডায়রিয়া হইছে নাকি আপনার!’
ট্রেন বাড়বকুণ্ড পাড় হলে কেমন ইতস্তত করতে থাকে তারেক। অস্বস্তি নিয়ে নিচুগলায় বলে, ‘রুনা, দুইশটা টাকা ধার দিতে পারবা?’
পার্স থেকে চকচকে দুইটা একশ টাকার নোট বের করে দেয় রুনা। টাকা পকেটে রাখার পর একটু উৎফুল্ল দেখা দেয় তারেকের মাঝে। বটতলি স্টেশনে নেমে পড়ে দুজনে। বলার আগেই তারেক তুলে নেয় রুনার ব্যাগ। সিএনজি ঠিক করতে যাবে রুনা এমন সময় তারেক বলে, ‘চলো নতুন স্টেশনের টি-স্টলটায় বসি। তাড়াহুড়োয় সকালের নাস্তা খাওয়া হয় নাই।’
আপত্তি করে না রুনা। তারা ফিস কাটলেট আর ডিমচপ খেল। এই দোকানের চালু খাবার ফিস কাটলেট আর ডিমচপ। খিদে মেটেনি বলে তারেক দুইপিস বোম্বাই টোস্টও খেল। তারপর আয়েস করে দুধ চা। বেচারা; ভালোই ক্ষুধার্ত ছিল, মায়া হয় রুনার। রেস্টুরেন্ট থেকে উঠতে ইচ্ছা হয় না তারেকের। গল্প করেই যায় সে; একই স্কুলে পড়ত তারা। তারেক ভাই এখন স্কুলের রি-ইউনিয়ন গ্রুপের সেক্রেটারি। গ্রুপের দলাদলির নানান সংবাদের ডালি খুলে বসেছে। রুনা যত বলে ‘চলেন উঠি’ সে ততই বলে, ‘আরেকটু বসি।’
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে রুনা সিএনজি খুঁজবে জেনে দরদাম করে তারেকই সিএনজি ঠিক করে দেয়। সিএনজিতে উঠে তারেককে ধন্যবাদ দিতে যাবে রুনা, অমনি তারেক উঠে বসল সিএনজিতে। ‘সেকি!’ আঁতকে উঠে রুনা।
নাম ‘টি-স্টল’ হলেও এটা একটা বারোয়ারী রেস্তোরাঁ। কে কখন আসছে, যাচ্ছে কারো কোনো খবর নাই। সেটা জানে বলেই তারেক প্রায় বেহুঁশের মতো দুই ঘণ্টা গল্প করল বসে বসে। এরমধ্যে আরেকপ্রস্থ ডিমচপ আর চা খেল। রুনার ধমক না খেলে সে বোধ হয় বাকিটা জীবন এই রেস্টুরেন্টেই কাটিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিল। রুনা বিল দিতে যাচ্ছে দেখে তারেক হাঁচড়েপাঁচড়ে আটকাল তাকে, যেন বিশাল পাপ হয়ে যাচ্ছে এমনভাবে মাথা নেড়ে বলল, ‘তুমি আমার এলাকার ছোটোবোন, তুমি দিবা বিল, ছি! ছি!’
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে রুনা সিএনজি খুঁজবে জেনে দরদাম করে তারেকই সিএনজি ঠিক করে দেয়। সিএনজিতে উঠে তারেককে ধন্যবাদ দিতে যাবে রুনা, অমনি তারেক উঠে বসল সিএনজিতে।
‘সেকি!’ আঁতকে উঠে রুনা।
‘আমি দুই নাম্বার গেইট নয়তো ষোলোশহর নেমে যাব, আপার বাসা তো ষোলোশহরে।’ আর কিছু বলে না রুনা, তারেক ভাইয়ের সুবিধা হবে ভেবে সে ড্রাইভারকে ষোলোশহর দিয়েই যেতে বলে। ষোলোশহর এলেও তারেকের নড়চড় দেখা না গেলে রুনা বলে, ‘আপনার না দলিল সাইন করানোর কথা!’
‘ভাবছি তোমারে নামায়ে দিয়া একবারেই আপার বাসায় যাব।’
‘আপনি আজকের গোধূলি ধরবেন বলছিলেন, ক্যাম্পাস গেলে কিন্তু সেইটা পারবেন না।’
‘আরে ধুর! না ধরতে পারলে নাই। আমার কী এমন মহান কাজ পড়ে আছে!’
পাগল ঘাঁটিয়ে কাজ নেই। আর কিছু বলে না রুনা। অক্সিজেন পাড় হয়ে সিএনজি এখন বালুচড়া। তারেক ভাই কেমন চুপ মেরে আছে, কী একটা দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে যেন তাকে। মদনহাট এলে তারেক কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে বলে, ‘রুনা, তোমার কাছে আর দুইশটা টাকা হবে?’
ব্যাগ খুলে টাকা বের করতে যাওয়ার আগে রুনা একবার তাকায় তারেকের দিকে, একটা হাসি লেগে আছে সেখানে, সেটা কতটা অস্বস্তির, কতটা সঙ্কোচের, ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। আবার স্কুলের গ্রুপের গল্প জুড়ে দেয় তারেক। বাবা এইবার চকচকে একশ টাকার নোট দিয়েছিল হাজারখানেক। সেগুলো এইভাবে চলে যাচ্ছে দেখে মন কেমন খচখচ করছে রুনার। বাবার চাকরির সুবাদে রুনার স্কুলজীবনের অধিকাংশই কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরেঘুরে। তারেক ভাই যেই স্কুলের ছাত্র সেই স্কুলে এসএসসির আগে মাত্র দুই বছর পড়েছে রুনা। সেই কারণে স্কুল নিয়ে তেমন আহ্লাদ নেই তার, তাই যত আগ্রহ নিয়ে তারেক গল্প বলে যায়, ছিঁটেফোঁটা আগ্রহ নিয়েও সেইসব শোনে না সে। কিন্তু তারেক ভাই সেটা বুঝলে তো!
সিনএনজি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে। এক নাম্বার গেইটে ঢুকতেই মন চঞ্চল হয়ে ওঠে রুনার। এই রোডটা অবিকল যশোহর রোডের মতো। তাদের এলাকায়ও এমন একটা রাস্তা আছে। রাস্তাটা প্রগাঢ় একটা প্রশান্তির স্পর্শ বুলিয়ে দেয় রুনার মাঝে। এই প্রশান্তিতে অবগাহন করতে করতে তারেকের গল্প ঘুম পাড়ানি গানের মতো কানে বাজে তার। সিএনজি এসে হলের গেটে থামলে তারেকের গান শেষ হয়। ভাড়া দিতে গেলে হৈহৈ করে ওঠে তারেক ভাই, ‘তুমি আমার এলাকার ছোটোবোন, তুমি দিবা ভাড়া, ছি! ছি! ছি!’
গেটে নামতেই শুরু হয় আবার বৃষ্টি। তড়িঘড়ি তারেককে গেস্টরুমে বসায় রুনা।
তারেককে ফিরতি পথ ধরতে না দেখে, হলের ভেতর ঢুকে যাওয়াটা অভদ্রতা বলে সেও বাধ্য হয় গেস্টরুমে বসতে। তাই বৃষ্টি ধরে আসার আগ অব্দি উঠতে পারবে না বলে মেজাজ কিছুটা খারাপ হয় তার। তারেক বিপুল উদ্যোমে এইবার গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আর সেক্রেটারির অন্তর্কোন্দল নিয়ে কথা বলছে। প্রেসিডেন্ট রানা ভাই নাকি ভোটাভুটির ধার ধারতে চায় না। রুনার হাই ওঠে। কী হবে এইসব আগড়ম বাগড়ম শুনে! এতক্ষণে গল্পের বিষয়ে রুনার অনাগ্রহ টের পায় তারেক। প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘সামনে নাকি তোমাদের সমাবর্তন?’
‘হুম’ সংক্ষেপে উত্তর দেয় রুনা।
‘কত বছর পর হচ্ছে?’
‘আপনি এত খবর রাখেন, এইটা জানেন না।’
রুনার কাটকাট জবাবে একটু দমে যায় তারেক। কিছুক্ষণ চুপ থেকে এবার জিজ্ঞেস করে, ‘আংকেলের পোস্টিং এখন কই?’
‘যশোহর’
যশোহরের কথায় নড়েচড়ে বসল তারেক, উৎসাহ নিয়ে প্রশ্ন করল—‘তুমি কি যশোহর গেছিলা কখনো? সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড?’
‘যশোহর গেছি, কিন্তু সেপ্টেম্বরে না।’ উত্তর দেয় রুনা।
‘আচ্ছ যাই’ বলে ফেরার পথ ধরে তারেক। পেছন ফিরে রুনার দিকে তাকিয়ে হাত নেড়ে বিদায় জানায়। রুনাও হাত নাড়ে। দু-কদম আগায় তারেক। চলার ভঙ্গিতে কেমন দোনামোনা ভাব। আরও দু-কদম আগায়, তারপর কী মনে করে চকিতে পেছন ফিরে। হালকা পায়ে এগিয়ে আসে রুনার দিকে।
বৃষ্টি ধরে এসেছে। এর মাঝে অবশ্য হলের ক্যান্টিন থেকে ডিম-খিচুড়ি এনে তারেককে খাইয়েছে রুনা। নিজেও খেয়ে নিয়েছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এলো, কিন্তু ওঠার নাম নাই তারেক ভাইয়ের। বিদায় জানাতে নিজেই উঠে দাঁড়াল রুনা। বিব্রত হয়ে তারেকও উঠে দাঁড়ায়, কিন্তু কেমন বিমর্ষ দেখায় তাকে।
‘আচ্ছ যাই’ বলে ফেরার পথ ধরে তারেক। পেছন ফিরে রুনার দিকে তাকিয়ে হাত নেড়ে বিদায় জানায়। রুনাও হাত নাড়ে। দু-কদম আগায় তারেক। চলার ভঙ্গিতে কেমন দোনামোনা ভাব। আরও দু-কদম আগায়, তারপর কী মনে করে চকিতে পেছন ফিরে। হালকা পায়ে এগিয়ে আসে রুনার দিকে। কেমন উশখুশ করতে থাকে সে, একটা বোকাসোকা ভাব দেখা যায় তার মধ্যে। খুকখুক করে একবার কেশে গলা পরিষ্কার করে নেয় সে, তারপর সলজ্জ আর সংকুচিত ভঙ্গিতে বলতে যায়, ‘রুনা…
কথাটা শেষ করতে দেয় না, রুনা। ঠোট চেপে হাসে সে, চোখে একরাশ কৌতুক আর ঠাট্টা নিয়ে বলে, ‘দুইশ টাকা ধার লাগবে, এই তো!’

জন্ম ২৯ জুন ১৯৮১, সোনাগাজী, ফেনী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাহমুদুল হকের উপন্যাস নিয়ে এমফিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর গল্প উপর পিএইচডি। বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: গল্প: লালবেজি (২০১৯), জলভ্রমি (২০২২), বুমেরাং (২০২৫)। সম্পাদিত গ্রন্থ: শালবনের গান (২০১৯)। সম্পাদিত ছোটোকাগজ: কথাশিল্প (প্রথম প্রকাশ ২০২৫)। পুরস্কার : ‘কালি ও কলম তরুণ লেখক পুরস্কার’ ২০১৯।