বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২

ওশেন ভূয়ঙ’র চারটি কবিতা | ভূমিকা ও ভাষান্তর : লায়লা ফারজানা

0

ওশেন ভূয়ঙওশেন ভূয়ঙ একজন ভিয়েতনামী-আমেরিকান কবি, প্রাবন্ধিক এবং ঔপন্যাসিক। ওশেন ভূয়ঙ তাঁর কবিতার জন্য পোয়েট্রি ফাউন্ডেশন থেকে ২০১৪ সালে রুথ লিলি/সার্জেন্ট রোজেনবার্গ ফেলোশিপ, ২০১৬ সালে হোয়াইটিং অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৭ সালে টি এস এলিয়ট পুরস্কার পান। তাঁর প্রথম উপন্যাস, অন আর্থ উই আর ব্রিফলি গর্জিয়াস, ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং সে বছরই তিনি ম্যাক আর্থার গ্রান্ট পান। তিনি বর্তমানে ম্যাসাচুসেটসের নর্থাম্পটনে UMass—Amherst —এ কবি এবং লেখকদের জন্য MFA প্রোগ্রামের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন।

এখানে ওশেন ভূয়ঙ’র চারটি কবিতা অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ‘ইউরিডাইস’ কবিতাটি সম্পর্কে কিছু বলা প্রয়োজন। কবিতাটি ওশেন ভূয়ঙ’র কবিতাগ্রন্থ নাইট স্কাই উইথ এক্সিট ওন্ডস’র/ Night Sky with Exit Wounds’র একুশতম কবিতা।

কবিতাটি গ্রীক মিথে উল্লেখিত বিখ্যাত কবি আর গায়ক Orpheus এবং তার পত্নী Eurydice’র কাহিনিটিকে সমকালীন প্রেক্ষাপটে তুলে আনে। অর্ফিউস ও ইউরিডাইস’র গভীর প্রেমের পরিণতিতে বিয়ের আসরে লম্বা ঘাসে হেঁটে যাওয়ার সময় বিষধর সাপ দংশন করে ইউরিডাইসকে। গোড়ালিতে মারাত্মক কামড়ের শিকার হয় ইউরিডাইস। তাঁর দেহটি খুঁজে পাবার পর প্রবল শোকে কাতর হয়ে অর্ফিউস এমনই কষ্টের গান গেয়েছিলেন যে, সমস্ত শিশু এবং দেবতারা কাঁদতে শুরু করেন। দেবতাদের পরামর্শে অর্ফিউস পাতালভ্রমণ করেন। তাঁর শোকার্ত সংগীত পাতাল দেবতা হেডেস এবং তাঁর স্ত্রী পার্সেফোনের হৃদয়কে বিগলিত করে এবং ইউরিডাইসকে অর্ফিউসের সাথে এক শর্তে মানবজগতে ফিরে যেতে দিতে রাজি হন। শর্তটি ছিল পাতালের সুরঙ্গপথ ধরে অর্ফিউসকে অনুসরণ করে মর্ত্যলোকে যাত্রা করবে ইউরিডাইস, কিন্তু অর্ফিউস তার পিছনে চলতে থাকা ইউরিডাইসের দিকে ফিরে তাকাতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না দু’জনেই মানবজগতে পৌঁছায়। অর্ফিউস সামনে আর ইউরিডাইস তাঁকে অনুসরণ করে যাত্রা করেন।

কিন্তু, মর্ত্যলোকে পা দিয়েই প্রবল উত্তেজনা আর আবেগের বশে অর্ফিউস ফিরে তাকান তাঁর স্ত্রী ইউরিডাইসের দিকে যে কিনা তখনও ইহজগতে পা রাখেনি। এক মুহূর্তের জন্য ভুলে গেলেন সেই কঠিনতম শর্ত যে, ইউরিডাইসের দিকে তাকাতে হলে উভয়কেই মানবজগতে থাকতে হবে! তাঁর এই চরম ভুলের শাস্তিস্বরূপ দ্বিতীয়বারের মতো এবং চিরতরে ইউরিডাইসকে হারালেন অর্ফিউস। পেছন ফিরে তাকানোর এই দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা ও অনুশোচনাময় পরিণতিকে ওশেন ভূয়ঙ তার কবিতায় তুলে ধরেছেন এক ভিন্ন আদলে: তীব্র গ্লানি আর শোকের অনুভূতি আর কবিতার গঠনশৈলীতে। পেছন ফিরে তাকানোকেই করেছেন কবিতার মূল কাঠামো বা ভিত্তি— যেন দেবতার আদেশের এক বিমূর্ত প্রতিবাদ। এই কবিতাটির মূল কাঠামো কতগুলো যুগলের (প্রতি দুই চরণ বা লাইন) সমন্বয়ে গঠিত স্তবক দিয়ে। যুগলের দ্বিতীয় লাইনকে আত্মস্থ করতে পিছন ফিরে তাকাতে হয় প্রথম লাইনে। প্রতিটি স্তবকের শেষ লাইনও স্তবকের প্রথম লাইনেরই কন্টিনিউয়েশন। এমন কি, প্রহেলিকাময় কবিতাটির একদম শেষ লাইনকেও এর অর্থের জন্য পেছন ফিরে তাকাতে হয় কবিতার প্রথম লাইনে।

কবিতার প্রথম স্তবকটি দেখা যাক :

গোঙানির শব্দ—যেন কোনো আহত হরিণীর
ক্রমরোদনের প্রতিউত্তরে—
তীক্ষ্ণ তীরের মুখ যখন প্রতিস্থাপিত
পাঁজর খালি করা বিদীর্ণ হাহাকার।

কবিতার দ্বিতীয় লাইন

ক্রমরোদনের প্রতিউত্তরে”র উত্তর পাওয়া যায় প্রথম লাইনে :
গোঙানির শব্দ—যেন কোনো আহত হরিণীর

তেমনভাবেই—

পাঁজর খালি করা বিদীর্ণ হাহাকার।—এর কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে এর আগের লাইনে —
তীক্ষ্ন তীরের মুখ যখন প্রতিস্থাপিত

আবার স্তবক ’র প্রথম লাইন এবং শেষ লাইনও সৃষ্টি করে আরেক যুগল—

গোঙানির শব্দ—যেন কোন আহত হরিণীর
পাঁজর খালি করা বিদীর্ণ হাহাকার।

আবার কবিতার একদম শেষের লাইনের যোগসূত্রও পেছন ফিরে কবিতার সেই প্রথম লাইনেই—

প্রিয়তমার খুরের নিচে হিমায়িত ঘাসের মর্‌মরানি যেন কোনো আহত হরিণীর গোঙানির শব্দ।

‘Seventh Circle of Earth’ আরেকটি উল্লেখযোগ্য কবিতা। এপ্রিল ২৭, ২০১১ – ডালাস, TX- এ এক সমকামী দম্পত্তিকে বাড়িসুদ্ধ জ্বালিয়ে হত্যার খবরে ভারাক্রান্ত হয়ে তিনি ‘Seventh Circle of Earth’ (পৃথিবীর সপ্তম বৃত্ত) লিখেছিলেন। LGBT সমাজ যে আমেরিকাতেও আজও কতটা স্বীকৃতিহীন তারই প্রতিবাদী প্রকাশ এই কবিতায়।


ইউরিডাইস (Eurydice)


গোঙানির শব্দ—
যেন কোনো আহত হরিণীর ক্রমরোদনের প্রতিউত্তরে—
তীক্ষ্ণ তীরের মুখ যখন প্রতিস্থাপিত
পাঁজর খালি করা বিদীর্ণ হাহাকার।

 

আমরা দেখছিলাম ধেয়ে আসছে।
তবুও পাতালের সুরঙ্গপথ ধরে হাঁটা শুরু করলাম বাগানের দিকে ।
কারণ, সেখানে পাতাগুলো ছিল উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর সবুজ আর
দূর থেকে ঐ আগুনের গোলা যেন শুধুই নরম তুলির গোলাপী আঁচড়।

 

আলো নয়—
প্রসঙ্গ কতটা অন্ধকারাচ্ছন্ন তুমি সেই আলোয় তোমার অবস্থানে।
তোমার অবস্থানে হয়তো তার নাম চাঁদের আলোর মতো উদ্ভাসিত
মৃত কুকুরের বিক্ষিপ্ত পশমে।

 

বদলে গেছে সে মাধ্যাকর্ষণের স্পর্শে।
মাধ্যাকর্ষণকে উপেক্ষা করে হাঁটু ভেঙে আকাশ দেখতে
আমরাও তো দিয়েছিলাম সায়—এমনকি সেই সব পাখিদের সাথেও।
হায়, কে আর আমাদের বিশ্বাস করবে এখন!

 

খসখসে আমার ভাঙা কণ্ঠস্বর—
যেন বেতারের ভিতরে অনভিপ্রেত এক হাড়।
বোকা আমি! ভেবেছিলাম প্রেম সত্যি; মিথ্যা এ দেহ!
কিন্তু দেখো— আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে—
তুষারিত শীতল মাঠে, ডুকরে ডাকে সে তার প্রিয়তমাকে।
প্রেয়সীর নিথর দেহের পাশে।
প্রিয়তমার খুরের নিচে হিমায়িত ঘাসের মর্‌মরানি।


একদিন আমি ওশেনকে ভালোবাসবো (Someday I’ll Love Ocean Vuong)


রাস্তার শেষটা অনেক দূরে
তবু তুমি সে রাস্তা পিছনে ফেলে এসেছ।
ভেবো না। তোমাদের বাবা তোমাদেরই
যতক্ষণ না তুমি বা তোমরা কেউ ভুলে না যাও।
মেরুদণ্ড কি কখনও পারে ভুলতে তার ডানা—
যতই না হাঁটু স্পর্শ করুক মাটি?

ওশেন, তুমি কি শুনছ?
তোমার শরীরের সবচেয়ে সুন্দর অংশ সেখানেই
যেখানে পড়েছে তোমার মায়ের ছায়া।
এখানে তোমার শৈশবের ঘর
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যেন লাল ট্রিপওয়্যারের ক্ষীণরেখা।
অস্থির হয়ো না । একে দিগন্তরেখা ভেবে নাও।
দিগন্তে কেউ পৌঁছতে পারে না।

এখানেই বর্তমান।
ঝাঁপ দাও। কথা দিচ্ছি এ লাইফবোট নয়।
এখানেই আছে সে।
যার প্রশস্ত বাহু তোমার সমগ্র প্রস্থানকে
জড়ো করার জন্য যথেষ্ট ।
এবং এই সেই মুহূর্ত,
আলো নিভে যাওয়ার ঠিক পরে—
যখন তুমি দেখতে পাও তার পায়ের মাঝে
ম্লান মশাল।
বার বার যে মশালে
তুমি খুঁজে ফের নিজের হাত।

তুমি চেয়েছিলে দ্বিতীয় সুযোগ
দেয়া হলো নিজেকে ভারমুক্ত উজার করার জন্য একটি মুখ!
ভয় পেয়ো না, গুলির শব্দে—
ও কেবলই কিছু মানুষের
আরেকটু বেঁচে থাকার চেষ্টা।—

ওশেন, ওশেন,
জেগে ওঠ.
তোমার শরীরের সবচেয়ে সুন্দর অংশ
যেখানে সে জাগ্রত।
আর মনে রেখো,
একাকিত্বেও তুমি যুক্ত এই বিশ্বজগতে।
যে ঘরে তুমি আছো সবার সাথে।
ঘিরে আছে তোমার মৃত বন্ধুরা
তোমার মধ্যে বাতাসের মতো প্রবিষ্ট—
বাতাসের আওয়াজে।

এখানে ইটে ভর দেয়া একটি খোঁড়া ডেস্ক
হ্যাঁ, এখানেই সেই ঘর—
কত উষ্ণ আর রক্তের মতো আপন!
আমি জানি, তুমি জেগে উঠবে—
উষ্ণ দেয়ালগুলোকে জীবন্ত ত্বক ভেবে
ভুল করবে।


লুটেরা( Home Wrecker)


আর এইভাবেই আমরা নেচেছিলাম: আমাদের মায়েদের সুদীর্ঘ সাদা পা ছাড়িয়ে যাওয়া পোশাকে, শেষ অগাষ্টে রাঙা করে আমাদের হাত। এবং এইভাবে আমরা ভালোবেসেছিলাম: পাঁচ নম্বর ভদকা আর অ্যাটিকের মধ্যে একটি বিকেলে, তোমার আঙুল বিলি কাটছিল আমার চুলে, যদিও আমার একেকটি চুল একেকটি অগ্নিশিখা। আমরা আমাদের কান ঢাকলাম এবং তোমার বাবার রাগ বদলে গেল হৃদস্পন্দনে। যখন আমাদের ঠোঁট স্পর্শ করল কফিনের মধ্যে বন্দী কোনো দিন। হৃদয়ের জাদুঘরে দু’জন মাথাবিহীন মানুষ একটি জ্বলন্ত ঘর তৈরি করেছিল। ফায়ারপ্লেসের উপরে ছিল একটি শটগান সব সময়। আরেকটি ঘন্টাকে হত্যা করে— কিছু দেবতার কাছে সেই ঘন্টাটিকে ভিক্ষা চাওয়ার জন্য। অ্যাটিক না হলে গাড়ি। গাড়ি না হলে স্বপ্ন। ছেলে না হলে তার কাপড়। বেঁচে না থাকলে, ফোন রেখে দাও। কারণ বছর একটি দূরত্ব, যা আমরা বৃত্তকারে ঘুরে এসেছি। যা বলতে হয়: এইভাবে আমরা নাচলাম: ঘুমন্ত শরীরে একা। যা বলতে হয়: এইভাবে আমরা ভালোবাসতাম: জিহ্বার উপর রেখে একটি ছুরি—ছুরিটি জিহ্বায় পরিণত হচ্ছে।


পৃথিবীর সপ্তম বৃত্ত (Seventh Circle of Earth)


১.
যেন আমার আঙুলের/ তোমার কণ্ঠহার ছুঁয়ে যাওয়া/
বন্ধ দরজার আড়ালে,/ যথেষ্ট ছিল /আমাকে মুছে দিতে।/ভুলে যেতে/
আমরা ঘর বেঁধেছিলাম জেনেও/ এ ঘর টিকবে না।
কিভাবে / কেউ থামিয়ে দেয়/ অনুশোচনা/ হাতগুলোকে না কেটেও / আরেকটি মশাল

২.
কিচেনের জানালা দিয়ে/ উড়ে গেল/ আরেকটি ভ্রান্ত ঘুঘু।/
বিষয়টা অদ্ভুত/ আমি সব সময় জানতাম/ আমি উষ্ণ/ আমার মানুষটির পাশে।/
কিন্তু হেসো না।/ আমাকে বুঝো/
যখন আমি বলি সবচেয়ে ভালোভাবে পুড়ি আমি / যখন মুকুট পরি/
তোমার ঘ্রাণের: সেই মাটি—ঘাম/ ওল্ড স্পাইস আমি খুঁজি প্রতি রাতে/ আর দিনে

৩.
আমাকে প্রত্যাখ্যান করো/ আমাদের মুখগুলো পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছে/ দেয়ালের ছবিগুলোতে।/
হেসো না। শুধু আমাকে ঐ গল্পটা বলো/ আবার/
সেই চড়ুই পাখিগুলোর যারা রোমের পতন থেকে উড়ে এসেছে,/তাদের জ্বলন্ত ডানার গল্প।/
কিভাবে ধ্বংস তাদের শতছিন্ন কণ্ঠস্বরে বাসা বেঁধেছে/ গান হয়ে।

৪.
যতক্ষণ না ছন্দগুলোর বুনন হয়/ ধোঁয়া ওঠাও/ নাসারন্ধ্র থেকে।
কথা বলো—/ যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমার কণ্ঠস্বর মিলিয়ে বিলীন হয়/ খন্ডিত কয়লার/ভস্মীভূত ছাইয়ে

৫.
হাড়। কিন্তু হেসো না/
যখন এই দেয়ালগুলি থুবরে পড়ে/ চড়ুই না/ শুধুমাত্র স্ফূলিঙ্গ/ উড়ে যায়।/
যখন তারা আসে / ছাই সরিয়ে আমার জিহ্বাকে ঠোকরায়/
হাতের মুঠোর গোলাপ,/ পোড়া অঙ্গার আর শ্বাসরুদ্ধ/ তোমার প্রস্থানে

৬.
মুখ।/
প্রতিটি পোড়া পাপড়ি/যেন আমাদের হাসির/বিস্ফোরিত/ ধ্বংসাবশেষ।/
হাসিগুলো ছাই হয়ে/ বাতাসে ভাসে/ প্রেমিকের কাছে,সন্তানের কাছে/
প্রিয়তম,/ দেখো, দেখো কত সুখী আমরা/ আমাদের স্বীকৃতিহীনতার জন্য/ পরিচয়হীন এবং তবুও

৭.
আমেরিকান

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

কবি লায়লা ফারজানা পেশায় স্থপতি। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন (আরবান ডিজাইন ও স্থাপত্যবিদ্যায়) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ টরেন্টো থেকে। তিনি নিউ ইয়র্ক সিটি স্কুল কনস্ট্রাকশন অথোরিটিতে স্থপতি হিসাবে কাজ করছেন। এর বাইরেও লায়লা ফারজানা একজন নাট্যশিল্পী এবং শিল্প ও সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখায় রয়েছে তার সাবলীল যাতায়াত। নিউইয়র্ক-এর ডিস্টুডিওডি আর্কিটেক্টস এবং ইঞ্জিনিয়ার্স (দ্য স্টুডিও অফ ডিজাইন) তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান, যেখানে তিনি ‘সাসটেইনেবল-আর্কিটেকচার’ এর চর্চা করেন।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।