শুক্রবার, এপ্রিল ২৬

আমার নিজের কোনো শহর নাই : রিপন আহসান ঋতু

0

আমি মাঝে মাঝেই নিজের একটা শহর খুঁজে বেড়াই। আমার সেই শহরে একটা নদী থাকবে, অসংখ্য গাছ, বৃষ্টিভেজা পাখিরা জানালার কার্ণিশে এসে বসবে, রোদ ঝলমলে দিনে নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে বেড়ানো যাবে আর তৃষ্ণা পেলে ঢেউ খেলানো জলের দিকে মুখ করে বসানো চেয়ারের একটা টং দোকান থেকে নিয়ে নেওয়া যাবে পছন্দের বিস্কুট— আরও অনেক কিছু। আমি মাঝে মাঝেই একটা শহর খুঁজে বেড়াই যে শহর আমাকে নষ্টালজিক করে তুলবে তুমুলভাবে।

সত্যি কথা বলতে আমার তো কোনো শহরই ছিল না কোনোদিন। তাহলে শহর কী করে আমাকে ফিরিয়ে দেবে নষ্টালজিয়া? আমার জন্ম সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায়। সেটা কোনো শহর ছিল না। আমাদের এখানে শহর বলতে জেলা শহরকে বোঝায়। কিন্তু সিরাজগঞ্জ শহর নিয়ে আমার কোনো স্মৃতি নেই। তাহলে সিরাজগঞ্জ শহর নিয়ে কিসের নষ্টালজিয়া? তবে কি প্রকৃত অর্থে আমি জানিই না যে নষ্টালজিয়া কাকে বলে? লোকমুখে শেখা আরও অসংখ্য শব্দের মতো আমিও ব্যবহার করি কিছু শব্দবন্ধ; গভীরে না ঢুকেই? আমি কি গভীরে ঢুকতে ভয় পাই? অনেকে বলে গভীরে ঢুকতে হলে নাকি আবেগ চাই! আমি যদি নিজের শহর খুঁজে নিয়ে সেই গভীরে ঢুকে যাই তাহলে কি সেই শহর আমাকে পরিমাণ মতো আবেগ ফিরে দেবে? আবেগ কিভাবে উদ্ভাবন করা যায়? নাকি কবিতার মতো, ভালোবাসার মতো, অঙ্কের মতো— আবেগও অন্তরে থাকা চাই!

লোকমুখে শেখা আরও অসংখ্য শব্দের মতো আমিও ব্যবহার করি কিছু শব্দবন্ধ; গভীরে না ঢুকেই? আমি কি গভীরে ঢুকতে ভয় পাই? অনেকে বলে গভীরে ঢুকতে হলে নাকি আবেগ চাই! আমি যদি নিজের শহর খুঁজে নিয়ে সেই গভীরে ঢুকে যাই তাহলে কি সেই শহর আমাকে পরিমাণ মতো আবেগ ফিরে দেবে?

আমার এক বন্ধু আছে অদ্রি আরিফ, সে একদিন বলল অপরিমিত আবেগের প্রকাশ যেকোনো আর্টকে নষ্ট করে। তাকে প্রশ্ন করেছিলাম তাহলে আর্ট কী রে? সে আমাকে আর্ট বোঝালো। তাকে বললাম, আমি তো শুনেছি ভালোবাসাও একধরণের আর্ট, তাহলে ভালোবাসাতেও কি আবেগের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে? ও তখন বলল পরিমিত আবেগের প্রকাশও নাকি আর্টকে নষ্ট করে। সাথে সাথে আমার প্রিয় শিক্ষক ড. বেলাল স্যারের কথা মনে পড়ল। স্যার একদিন ক্লাসে বলেছিলেন; শোন, ভালোবাসার ক্ষেত্রে পরিমিত আবেগের প্রকাশ ভালোবাসাকে বার বার চ্যালঞ্জের সামনে ফেলে। তাই ভালোবাসায় আবেগ প্রকাশে কোনো মাপ পরিমাপ না থাকাই ভালো। সেই থেকে আবেগ প্রকাশে আমি বেশ বেহিসেবি। এই নিয়েও আমার তেমন কোনো নষ্টালজিয়া কাজ করে না।

একদিন জানালা খুলে সামনের বাড়ির রোদ পোহানো মেয়েটিকে দেখতে দেখতে নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম, নষ্টালজিয়ার সাথে আবেগের কোন ধরণের গাণিতিক সম্পর্ক থাকা উচিত। ঠিক তিন মাস আগেও ছাদের ওই মেয়েটি অবিবাহিত ছিল। অবশ্যই মেয়েটি আমার নষ্টালজিক শহর বগুড়ার কোনো ঘটনাবহুল ছবিতে ছিল না। বরং ঢাকা শহরে টিউশনি করানোর সুবাদে সাইকেল রাখতে গিয়ে তার চাহনি বহুপুরাতন একজনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল মাত্র।

আমার একটা পছন্দের আর কৃতজ্ঞতার শহর আছে। সেই শহরের নাম বগুড়া। বাবার হাত ধরে প্রথম এই শহরে যাওয়া, এরপর থেকেছি সুদীর্ঘ সময়। আমার হাতে সময় থাকলেই খুঁজি সেই প্রিয় শহরকে। যদিও এই খোঁজার সাথে ভাবনার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। এ শহরে নানা জিনিস প্রতিস্থাপন করেছি ইচ্ছে মতো। কেমন দেখতে চাই এই শহরকে তাও পরিবর্তন করেছি অনেকবার। আমার ইচ্ছের শহরে কখনো কোনো উঁচু বাড়ি কিংবা উচ্চ ক্ষমতার মানুষ দেখতে চাইতাম না। ছোটোবেলা থেকেই উচ্চতার সাথে আমার কোনো বিশেষ প্রেম নেই। বাবা প্রায় বলতেন সূর্যের কাছাকাছি না যেতে। মাটির মানুষকে মাটির কাছাকাছি নাকি থাকতে হয়। কিন্তু উচ্চতার প্রতি প্রেম ছিল আমার পছন্দের মানুষটির। ওদের বাড়ির ছাদে কখনো দেখা করতে গেলেই ও মৃদু স্বরে বলে উঠত, ‘আই লাভ টল বিল্ডিং, ঋতু’। আমি তখন ভয় পেতাম। তার সে কথা শুনেও না শোনার ভান করতাম। ওর সাথে প্রতি সাক্ষাতে বধির হতে চেয়েছি অথচ কানের কাছে সেই বাক্য গুন গুন করত সব সময়। ‘আই লাভ টল বিল্ডিং, ঋতু, আই লাভ টল বিল্ডিং’। অথচ এই শহরের সব কিছুকেই তুচ্ছ করে আমি শুধু তাকেই ভালোবাসতাম। আমাকে প্রায়ই বলত মিথ্যে হলেও তুমি আমাকে একটি বার শুধু বলো এই শহরে আমাদের একদিন অনেক উঁচু একটা বাড়ি হবে। ভীষণ আকুতি-মিনতি করত। আমি কিন্তু তা সত্ত্বেও কখনো উচ্চতা ভালোবাসতে পারিনি। অতএব তাকে ছেড়ে দিতে হলো।

কিন্তু একি এ শহরে তো শুধু যোগ্যতায় চাকরি হয় না। যোগ্যতার সাথে লাগে শক্তিশালী যোগাযোগ। এখানে যোগাযোগ তৈরি করতে গিয়ে দেখলাম এই শহরকে ভালবাসা যায় না, মায়ায় বাঁধা যায় না, আবার শহরের ঘোর থেকে বের হওয়াও যায় না। এ শহরে আসা যায়, যাওয়া যায় না।

পড়াশোনাও শেষ হলো, আমি চলে এলাম চাকরির খোঁজে নতুন আরেক শহর। এই শহরের নাম ঢাকা। আর তো মাত্র কয়েক মাস তারপর হাভাতে ছেলেটা মুক্ত হবে, আকাশে ওড়ার মতো মুক্ত। কিন্তু একি এ শহরে তো শুধু যোগ্যতায় চাকরি হয় না। যোগ্যতার সাথে লাগে শক্তিশালী যোগাযোগ। এখানে যোগাযোগ তৈরি করতে গিয়ে দেখলাম এই শহরকে ভালবাসা যায় না, মায়ায় বাঁধা যায় না, আবার শহরের ঘোর থেকে বের হওয়াও যায় না। এ শহরে আসা যায়, যাওয়া যায় না। পুরনো চেনা জগতকে হারানো যায়, ফেরানো যায় না। তবুও কলমের কালিকে আবদ্ধ রাখি, অনুভূতিকে বিষিয়ে লিখতে থাকি চাকরির দরখাস্তের মতো তিতকুটে সব চিঠি। অপেক্ষায় থাকি সুদিনের।

এক সময় এই শহরে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হই। খুঁজতে থাকি বর্তমানের আর হারিয়ে যাওয়া সব বন্ধুদের। কিন্তু হায়! এই শহরে বন্ধুত্ব দমবন্ধের। হারিয়ে যাওয়া মানুষকে খোঁজে না এই শহর। এখানে বন্ধুত্বের পরিচয়ে এগিয়ে আসা মানে মেসে বা হোস্টলে থাকতে দেওয়া। কিন্তু সেটাও অসম্ভব এই শহরে। তবুও হাল ছাড়ি না একটা চাকরি তো, পেয়ে যাব হয়তো। কিন্তু চাকরি হওয়ার আগেই হাওয়াই চপ্পলের পুরুত্বের সাথে সাথে জীর্ণ হতে লাগল আমার শার্টের বোতামও। সরকারি চাকরির পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও একের পর এক ভাইভা দিতে থাকি। অবশেষে চাকরি হলো, দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হলো আরও এক নতুন শহরে।

আমাকে যখন সেই নতুন শহরে গিয়ে অফিসের লোকদের সাথে প্রথম আলাপ করতে বলল, আমি তখনো অফিসের লোকজনের চেয়ে বেশি চিন্তিত ছিলাম উঁচু বাড়ি আর উচ্চ ক্ষমতার মানুষদের নিয়ে। আমাকে বার বার বলে দেওয়া হয়েছিল লঞ্চ থেকে নেমে শহরে ঢোকার আগে হুলারহাট ফেরিঘাটে নেমে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি বেটারি চালিত রিক্সার যেকোনো একটা নিয়ে শহরের উল্টোদিকে আমাদের অফিসে যেতে। আমি হুলারহাট লঞ্চঘাটে নেমে কোনোকিছু খোঁজার প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেলে উঁচু বাড়ি খুঁজতে শুরু করলাম। প্রথম দেখায় কেবল আমাদের অফিসের কম্পাউন্ডে নবনির্মিত একটা দোতলা বিল্ডিং ছাড়া আর কিছু পেলাম না। সেটাও ইগনোর করা শিখতে হবে মনে মনে স্থির করলাম।

অফিসের সাথে প্রথম আলাপ হয়ে গেল। পরের দিন আমি স্কুল পরিদর্শনে বের হলাম। একের পর এক নদী পার হলাম কিন্তু একটাও উঁচু বাড়ি চোখে পড়ল না। মসৃণ পথ দিয়ে, নদীর পার ধরে হেঁটে যাওয়া যায় স্কুলগুলোতে। নদী, খাল আর বিল— চারপাশে শুধু পানি আর পানি। সেই স্বচ্ছ পানির উপর অসংখ্য ছিপছিপে ডিঙ্গি নৌকা ভাসছে। আর সেই নৌকাগুলো থেকে মাঝে মাঝেই উঁকি দিচ্ছে আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা যাদের সাথে একটু পরেই ক্লাসে দেখা হবে। আড্ডা হবে বই পড়া নিয়ে।

আমি ভিতরে ভিতরে শান্তি অনুভব করি। আমার চোখের সামনে কি তাহলে এখন কাঙ্ক্ষিত শহরের নষ্টালজিয়া ভেসে ওঠা উচিত? এটাই কি তবে আমার শহর? পিরোজপুর শহরেই কি তবে আমি ঠিক মানিয়ে যাব? পিরোজপুর শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে বল্বেশর নদী। সেই শহরে গিয়েই আমি লিখি,

 

বলেশ্বরের বুকে

বলেশ্বর নদীতে ভাসতে থাকি, আমি আর কবি।
কবির দৃষ্টি যখন একাকিত্বের বাক্যজালে আটকে পড়ে,
তখন আমার চোখের কোণায়
জমে ওঠে বহুদিনের পুরনো মেঘ।

সূর্যের বামপন্থী আলো যখন
কবির মুখে আনে গাড়ো অন্ধকার,
তখন শ্যাওলা ভরা এই যৌবনহীনা বলেশ্বর নদী
আমার কাছে হয়ে ওঠে অর্থহীন কল্লোলিনী।

আমি তখন ভাবনায় বৃষ্টি নামাই
বালিকার কোলবালিশ শরীরে,
বালিকার চোখে চোখ রেখে
উচ্চারণ করি দেহ ও দ্রোহের পদাবলী!

তখনো কবি নির্বিকার,
একইরকম ভাবে আটকে থাকে তার নিরীহ বাক্যজালে!
কবির মস্তিষ্কে সময় ক্ষরণের
এমন তীব্র নিস্তব্ধতা গ্রাস করে আমাকে,
নদীকে আর আমাদের নৌকাকে।
অতএব জলীয় আমন্ত্রণে উপচে পড়ে
আমাদের গৃহমুখী অভিজাত আকাশ
আর কলসির জলে ভরে ওঠে বালিকার সংসার।

 

যদিও জীবিকা অর্জন করতে এসে এই শহরে এমন অনেক বালিকা আমার রোমান্টিকতার সাথে হোঁচট খেয়েছে বহুবার। অতএব শহরের পাশাপাশি তাদের নিয়েও আমার নষ্টালজিয়া গড়ে ওঠে। আসলে বালিকাদের সাথে যে নষ্টালজিয়ার দাবী তুলছি তা কিন্তু জাস্ট অণুক্ষণ মাত্র। নষ্টালজিয়ার সাথে কিভাবে এই অণুক্ষণ জড়িত তা জানার জন্য আরও ভিতরে প্রবেশ করতে হবে।

নতুন শহরে নিজেকে মানিয়ে নিতে হলে কেমন ভাবে জড়িয়ে নিতে হবে তাকে, সেই সব ভাবতে ভাবতে সকাল সকাল মাধ্যমিক পর্যায়ের মাদ্রাসাগুলো পরিদর্শন করি। এরপর স্কুল দেখতে বের হই। স্কুলগুলোর কোনোটা খালপাড়ে, কোনো কোনোটা আবার নদীর ধারে। তবে অবাক করার বিষয় হলো এখানে জলের পাশ দিয়ে হাঁটতে শুরু করলেও জলের শব্দ পাই না আমি। এখানে জলের কোনো শব্দ নেই। তবে নাজিরপুর উপজেলায় কালীগঙ্গা নদীর ধারে ডাকবাংলোয় শুয়ে থাকলে গভীর রাতে জল থেকে ভেসে আসে অর্থপূর্ণ সব আওয়াজ। সেখান থেকে চিনে নিই সব শহরের ঘটনাপ্রবাহ। বুঝে নিই নষ্টালজিয়া কি জিনিস। সকাল যেমন রাতের কথা বলে তেমনি নষ্টালজিয়াও দুর্বলতার কথা বলে। কিন্ত জলের ব্যাপার সম্পূর্ণ আলাদা। জলের শব্দ যা কিছু বলে সব কিছু নতুন। কেননা জল আসলে কোনো কিছু মনে রাখতে পারে না, জল কিছু ধরেও রাখে না। জল নিজে কেবল কোথাও কোথাও আটকে থেকে সবুজ করে তোলে নিজেকে। মানুষ সেই সবুজ ধ্বংস করে শহর গড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমরা সবাই সেই জলকে এড়িয়ে চলি যে জল শহর গড়ার ভিত তৈরি করে দিয়েছিল একদিন। সুতরাং আমার নিজের শহরের গল্প বহতা জলের মতো। যেখানে গল্পের রাত শেষ হলে, নতুন সকালের জন্য প্রস্তুত করে নিজেকে।

সকাল যেমন রাতের কথা বলে তেমনি নষ্টালজিয়াও দুর্বলতার কথা বলে। কিন্ত জলের ব্যাপার সম্পূর্ণ আলাদা। জলের শব্দ যা কিছু বলে সব কিছু নতুন। কেননা জল আসলে কোনো কিছু মনে রাখতে পারে না, জল কিছু ধরেও রাখে না। জল নিজে কেবল কোথাও কোথাও আটকে থেকে সবুজ করে তোলে নিজেকে।

ডাকবাংলোর সামনের বাড়ির মেয়েটি মনে হয় নষ্টালজিক হতে ভালোবসত, অন্তত বিশ্ব সুন্দরী হবার আগে পর্যন্ত। আমি ওকে ছাদের ওপরে সবুজ শাড়ি পরে রোদ শুষে নিতে দেখতাম, আবার শাড়ি না পরেও দেখেছি বহুবার। ছাদের কার্ণিশে দুই কুনুইয়ে ভর দিয়ে নিচের রাস্তায় মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে কথা বলছে, আর আমি দেখছি রৌদ্রের রং খয়েরি হয়ে ঢেউ খেলে নিচে নেমে যাচ্ছে। আমি কবিতার ভাষায় মায়াবী শব্দ খুঁজতে খুঁজতে নষ্টালজিক হয়ে পড়তাম। ভাবতাম যে এই শহরে হয়তো আমি মানানসই হয়ে উঠছি।

গত চার বছর ধরে মেয়েটি আর শহরের ছাদে রোদ শুষে নেয় না, এখন সে বিকেলের রোদে গুলশান ক্লাবে সিনেমা সাইন করে। ধীরে ধীরে মেয়েটির গল্প আমার ব্রেন থেকে গুটিয়ে আসছিল। তার পাঁচতলার ফ্ল্যাট আর গুলশান ক্লাব আমাকে স্থিতিশীলতার আশ্রয় দিচ্ছিল। এভাবে আমাকে আমার খুঁজে পাওয়া শহর থেকে এক পা এক পা করে বের করে দিল! তাহলে আমার কি কোনো নিজস্ব কোনো শহর নেই? আসলেই আমার নিজের কোনো শহরই নেই। অথবা আমাদের কারো কারো নিজের শহর থাকতে নেই।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

কবি ও কথাসাহিত্যিক। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একজন সাহিত্যপ্রাণ হিসেবেই পরিচিত। জন্ম ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৭ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার, কাজিপুর উপজেলার ছালাভরা গ্রামে। স্কুলের দেয়াল পত্রিকায় হাত পাকিয়ে, লিটল ম্যাগাজিনের পাতা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বাণিজ্যিক পত্রিকায় পৌঁছানো। এখন নানা বিষয়ে লিখছেন নিয়মিত। প্রকাশিত বই চারটি। গল্প ‘যাদুর নীল বেলুন’, প্রবন্ধ: ‘অতঃপর প্রহসন’, উপন্যাস: ‘গল্পের মোড়কে মানুষ’, কাব্যগ্রন্থ: ‘ভাঙনের উৎসব’। সম্পাদনা: ‘ঠোঁট’ একটি আদুরে ভাঁজপত্র। পুরস্কার ও সম্মাননা: লেখালেখির জন্য পেয়েছেন ‘ফ্রেন্ডস্ পদক-২০১৯,’।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।