শুক্রবার, মে ৩

নির্বাচিত দশ কবিতা : হারিসুল হক

0

যা হারা


যা হারা। বনের ভেতরে হারা অরণ্যের পেটের ভেতরে
মাছের ভেতরে মাছ যেভাবে হারায় সেভাবে গোপনে
হারা অনন্ত আকাশে হারা বুদ্বুদের মতো স্বপ্নের পাখায়
পাখির মতো হারা নক্ষত্রে মেঘে আর জ্যোৎস্না ধারায়

হারা! মাঠের ভেতরে হারা ছায়া হয়ে বাতাসের মতো
ধুলোর ভেতরে হারা মতিচ্ছন্ন বোধের মতো উত্তপ্ত দুপুরে
হারা! বন্দর ছেড়ে যাওয়া পানসির মতো হাওরে হারা
যেখানে কুমিরের মতো ভারি বোয়ালেরা তক্কে তক্কে থাকে শিকারের

হারা পড়ন্ত বিকেলে হারা গাঁয়ের ওপাশে ছায়াপথ ধরে
ফেলে যাওয়া স্মৃতি যেন বিকেলের রোদ
হারা রোদের ছায়াতে হারা সাঁঝের জলসায় হারা
হারা নদীর ঠিকানায় হারা বিমূর্ত বিষাদের প্রায়


নদীর ঘটনা


এ রকম যে ঘটতে পারে আমি জানতাম
আমি জানতাম এ রকম না ঘটে পারে না
আমি তো পুরুত নই যে মন্ত্রপাঠে গণেশ
পাল্টে দেবো কিংবা চরণামৃত বিতরণ করে
মনস্তাপের পরিসমাপ্তি ঘটাবো
এ রকমটা যে ঘটতে যাচ্ছে আমি বেশ আগে
থেকেই ঠাহর করতে পারছিলাম

আমি জানি হ্রদের ভেতরে জল এবং জলের
ভেতরে প্রাণধারণের মতো ন্যূনতম রসায়ন থাকে
প্রবাল আর ছত্রাকের কানামাছি খেলবার মতো
যথেষ্ট সংস্থান থাকে আশপাশে
যেমন জলপাই গাছে থাকে বিশেষায়িত বর্ণ ও স্বাদ
জলের অতল অথই-য়ে থাকে সাপেদের
অধোপহাস অন্যরকম

আমি পাহাড়ের কথা বলছি না
বলছি জল আর জলপাইয়ের কথা

আমি জানতাম ব্যাপারটা এভাবেই ঘটে
এভাবেই ঘটে থাকে আশ্চর্য সংক্রমণ
যেভাবে জল এসে ঝাপটা দেয় চোখে ও মুখে
জ্ঞান ফেরে বেহুঁশ মানুষের

আমি জানতাম প্রাণের উৎসমূলে থাকে প্রেম
প্রেমের অমিয়ধারা
………………..সততই জলময়
………………..চঞ্চল মাংসল
………………..আঁশটে গন্ধ ছড়ায়

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মতো ছোটে মতি
মতিহারা দিকহারা
উদভ্রান্তির সর্বোচ্চ শিখরে

এবং এভাবে শুরু হয় তৃণের বিপত্তি
তখন শরীরে কুয়াশা জাগে
ঝাঁকে ঝাঁকে জন্ম নেয় অন্ধশালিখ
আর দু-গাছা কঙ্কন হাতে গোষ্ঠে অপেক্ষমাণ
থাকে নবীন কানাই

আমি জানতাম এভাবেই ঘটতে থাকে
এভাবেই ঘটে যায় অদলবদল
এবং এভাবেই ঘটে গেছে নদীর ঘটনা

কে না জানে ঘটনা তা
ঘটে যায় যেসব ঘটন অঘটন
নিবিড় নিমন্ত্রণ

আজকে না হয় রাখলে তুমি আমার আমন্ত্রণ
শিশির ভেজা রাতে না হয় হবে আয়োজন
তোমার সঙ্গে দেখা হবার ভীষণ প্রয়োজন
ভুল করো না রাখো এবার শেষের নিমন্ত্রণ
তোমার সঙ্গে ছিল যত হিসেবনিকেশ পাকা
শুধবো এবার সুদেমূলে স্বপ্ন আছে আঁকা

হিজল একা দাঁড়িয়ে দেখো হাতে নিয়ে পাখা
পাথর গড়া আসন তোমার বাঁধানো ঘাট রাখা

এবার যেন ভুল না হয় এসো বনমালী
আমন্ত্রণের রাতে দুজন শুনবো সাঁওতালি
দুইয়ে দুইয়ে এক হয়ে ফের হারাবো নির্জনে
ভাববে সবাই গেছে ওরা নিবিড় নিমন্ত্রণে


শুয়ে আছি মাতাল সাপ


ডুগডুগি বাজে
বাঁদর নাচের সেই পরিচিত গৎ-এ ডুগডুগি বাজে
গোপনে ভেতরে অন্তরঙ্গ পাতারা আবেশে কাঁপে

অন্তরীক্ষে ওঠে ঝড়
বোধের ভেতরে নড়ে দিশাহীন মাস্তুল
ঝুঁকে ঝুঁকে
ভেঙে পড়ে নাওয়ের বাতায়
ডুগডুগি বাজে
বাঁদর নাচের সেই চেনা সঙ্গতে
মাটিরা ধসে

বনমন পুড়ে পুড়ে খাক
বানজলে সব সয়লাব

ডুগডুগি বাজে
বাঁদর নাচের সেই পুরোনো দ্বিতালে
ধমনি লাফায়
অলস তিমির মতো তাকায় যে চোখ
সেও নাচে নিষেধের আঙিনায়

বাজুক ডুগি বেহেড ডুগডুগি
আমি তবু বাজবো না
মাতাল সাপের মতো চিৎ হয়ে
থাকবো শুয়ে নেউলের আস্তানায়


জাগে স্বপ্ন মাদকতায়


যেখানে পদক্ষেপ সেখানেই খাদ। গভীর নিখাদ
যেন বিপাকে ফেলার জন্যেই এসব ব্যবস্থা
যেন পাঁকে আটকে রাখার জন্য শক্ত গেরো

পথ কখনোই আমার ছিলো না

পথ কেবল সিংহাসনের কথাই শোনে
সিংহেরা সিংহাসনে সমাসীন
ফলে সিংহাসনেরও এক ধরনের গর্জন থাকে

আমি নগণ্য প্রজা
প্রজাদের কোনো গর্জন থাকে না
তোড়জোর থাকে না
রাজসিক হুংকার থাকে না
আর্তি থাকে—
…………….রক্তক্ষরা

সিংহেরা সিংহাসনের মালিক
প্রজারা নগণ্য মূষিক

আমি জানি কষ্টেরও এক ধরনের তাপমাত্রা আছে
—দহন
দহনের পারদ কখনো নামেনা; সর্বদা ঊর্ধ্বগামী
কেবলই বাড়ে। লতানো গুল্মের মতো বাড়ে
গুটাতে জানে না। শুধু বাড়ে

কষ্ট এসে ভর করেছিলো তালসোনাপুরের
সেই যৌবনী মেয়েটির উপর
যৌবন যার দায়। জীবন যার কষ্টসংকুল
কষ্টেরও জবান আছে
কান্না—
দৃশ্য। অদৃশ্য।
ফাঁসরজ্জুতে আটকে পড়া কণ্ঠনালী
উপায়হীন। সকম্প অথচ রুদ্ধবাক।
কষ্টরা বরাবরই দুস্তর। কণ্টকাকীর্ণ ও সঙ্গিন

আমি রাত্রি জাগরণ অথবা স্বপ্নচ্ছেদের ঘটনা বলছি না
বরং উদ্ভট সন্দেহের দিকে অঙুলি তুলছি

আমি জানি আঙুল এবং লাঙুল দুই-ই প্রচণ্ড পরাক্রমশীল
তারা উভয়েই শক্তিমান এবং সম্পন্ন

শক্তিমান যারা তারা আঙুল এবং লাঙুলের
যথেচ্ছ ব্যবহারে পারঙ্গম।
যিনি আঙুল দেখান বস্তুত তিনিই লাঙুল নাড়ান
আর দীর্ঘ লাঙুলের যথেচ্ছ পরিক্রমণ কার না জানা

লাঙুল সর্বগামী আঙুল সর্বনাশা

লাঙুলবিহীন প্রজাসাধারণ সঙ্গতকারণেই তর্জনিহীন

সবজি কিনতে গিয়ে মাঠের পাশটায় দাঁড়ালাম—
অদ্ভুত আয়তাকার। ঘাসহীন।
ক’জন শিশু খেলা খেলা ক্রিকেট খেলছে
এক কোণে ক’টি খাসি বাঁধা—
…………গলায় ইয়া লম্বা রজ্জু
কাল জবাই হবে। কাল

সকাল সকাল

আজ গলায় বাঁধা
পা ঝুলিয়ে চামড়া ছিলা হবে কাল
যে রজ্জুতে বেঁধে রাখা যায়
সে রজ্জুতে ফাঁসানোও সম্ভব

আজ যারা ক্রিকেট খেলছে
কাল তারা বোল্ড আউট হয়ে ধাঙর পাড়ার নর্দমায়

মানুষেরা ছিটকে পড়ে অনন্যোপায়

মানুষেরা কেবল স্বপ্নেই সামর্থ্যবান
কিন্তু সে স্বপ্নও টেকে না
কঠিন মাকুর ঘায়ে স্বপ্নতন্তু ছিঁড়েখুঁড়ে যায়

মানুষের স্বপ্ন থাকে না
তারা জাগে স্বপ্ন মাদকতায়


জায়গা বদল


জায়গা বদলালেই কি মানুষ বদলে যায়

অনেকটা রাতের মতো
দিনের পোশাক পাল্টানোর পর থেকেই
হয়ে ওঠে কুণ্ঠাপ্রবণ

জায়গা বদলালেই কি মানুষ হয়ে যায় ঘুড়ি


মুগ্ধ পাখির নাচ


এসো সোনার ডিম ভাজি আজ রাতে
তানপুরাটা না হয় ঝরালো সুর
দুজনই ভিজি মেঘচাঁদরাঙা জটিল বারান্দায়

কপাট জানালা কিছুই রাখিনি খোলা
চনমন করা বাতাসে সময় বোবা
মুঠি খুলে দেখি মুগ্ধ পাখির নাচ
এসো ভাঙি আজ দ্বিধার গ্রাম্যকাচ

চোখ মেলতেই কষ্টসমুদ্দুর
ভুল করে হাত এঁকে দেয় সিঁথি বাঁকা
সড়ক বাতি জ্বলে ওঠে নিবু নিবু
স্বপ্নরা ফেরে বিরুদ্ধ চন্দ্রিমায়

পাখিরা যা বোঝে বন্য অভিজ্ঞতায়
মুসাফির মন তুচ্ছ ভাবেনি তাকে
আঁজলা ভরেছি গুগলি শামুক ঠাসা
শুরু হউক তবে নদীতে যুগলভাসা

চল্টে ওঠা আশ্বিনের আকাশে
ঘরছাড়া মন চতুরাশ্রম খোঁজে
ভাবনার বট বরাবরই থাকে বাঁকা
হোক না তবুও পৃথক-একক খেলা

এসো না
সোনার ডিম ভেজে খাই আজ রাতে


বিপ্রতীপ


আপনি যখন ছিলেন না
আমি অপেক্ষায় ছিলাম
আপনি যখন যাচ্ছিলেন
আমি অন্য পথে

আপনি যখন বাসে
তখন আমি ফিরছিলাম

আপনি যখন হ্রদে
তখন আমি শয্যায়
আপনি যখন মাঠে
আমি তখন স্নানে

আপনি যখন এলেন
আমি তখন ছিলাম না


সমাচ্ছন্ন কয়েকটি প্রবোধ


কেননা ভুলের ভেতর ডুবে থাকা পবিত্র কুসুম
বরাবরই থাকে ছদ্মবেশে। যা তার স্বরূপ নয়
সে রকম বুক খোলা শার্টে নিজেকে জড়িয়ে
হদ্দ রাতের বেলায় পথে নামে সে;
সড়কে পদ্ম ফোটে আর অলিগলি সাইনবোর্ডে
বাজতে থাকে দূরায়ত কান্নার ধ্বনি

তবে কি সে আধবোজা চোখে
শ্রবণরহিত এক প্রাজ্ঞ চাষা এলিয়ে ক্লান্তদেহ
প্রান্তরের শেষ আলটিতে আশ্বাসের
লগি ঠেলছে? হায়, জানি আমি—
নিঃশ্বাসের তলদেশ থাকে অতল অতলে।
মরুতে জলসত্রের অবস্থান আসলেই দুর্জ্ঞেয়।

ভুলের ভেতরে ডুবে থাকা সমাচ্ছন্ন কয়েকটি প্রবোধ
দু-পা এগিয়ে গিয়ে পিছু হটে আসে
যেন বিব্রত, পোড়খাওয়া পাখির ছানা
দাঁড়িয়ে সিথানে স্পন্দনহীন, প্রার্থনারত অপয়া তিথিতে।

এ কি কোনো সাগরের মহাকলরোল? অরণ্যের প্রান্তসীমায়
উঁচুমাথা বিশাল মহীরুহ থির বসা অধোবদনে।
আমি জানি, ঝর্নার গায়ে কোনো কাঁটা থাকে না
পুষ্পবৃন্তে কিছু রোদ থাকে সংগোপনে; অনেকটা বিজলির
মতো প্রচ্ছন্ন উদ্বেল—ক্রমায়ত মেঘের আড়ালে।

সংকটের বালুচরে কিছু ঘাস অপার প্রতীক্ষায় থাকে
যেন রুদ্ধবাক জলহাঁস নিজেই ওঠেছে ডাঙায়
ঐকান্তিক চেষ্টায়, হালে তবু জল মেলেনি।

বোধ কি জান্তব কিছু স্বপ্নময় ইচ্ছে সমাহার?
অনন্য বিন্যাসে জাগা ক্ষুরধার জলপ্রবাহ যেন
নিদ্রা ছেড়ে ওঠে আসা দুরন্ত মোষ, অমিত তেজি।
আমি সেরাসিন শিল্পীদের কথা ভাবছি—
যারা একটা ডুমুরকে টুকরো টুকরো করে কেটে
জলে ভাসিয়েছিলো নিছক প্রমাদে

হায় শৈবালের কানুন কেবল ক্ষুদ্রকায় শক্তিহীন
মৎস্যের বেলায় খাটে। অনেকটা সাধারণ মানুষের
জীবনের মতো যাদের আকাশে শুধু রাহুগ্রাস থাকে
চাঁদ ওঠে না। খন্ডিত বাসনার হ্রদে বর্ণময় কিছু নুড়ি
চিরকালই থাকে তলানিতে—পাড় পায় না।

আয়নায় প্রতিবিম্বই শেষ কথা নয়। তার চেয়ে
অধিক বড় অন্তর্লীন যোগাযোগ—নিজের সঙ্গে
সাক্ষাৎ বোঝাপড়া। খুব কম লোকই আছে
যারা অধিকক্ষণ নিজের চেহারা সহ্য করতে
পারে—পালিয়ে বেড়ায় এবং বাঁচতে চায় অজানা প্রতিপক্ষের
ক্রুর থাবা থেকে। যেমন করে যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত
সৈনিক নিজেকে লুকোতে চায় পাতার আড়ালে।

যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুতিই আসল। বিষয়টা অনেকাংশে
জাল নিয়ে মৎস্য-শিকারের উদ্যোগ। আর যুদ্ধ
শুরু হলে ‘ব্ল্যাক-আউট’ কেবল বাইরেই
নয়, ভেতরেও শুরু হয়ে যায়—
লণ্ঠন ভেঙে খানখান ঝনাৎঝনাৎ

শরীরের যতটুকু বিস্তার। বোধ বোধকরি
তারচে’ দশগুণ বিশাল। চেতনা ঘুমুতে
গেলে বোধ জাগে অতন্দ্র প্রহরায়।
আর ছোট্ট সে পাখি, যার চোখ আছে
কি নেইÑঠিক বোঝা যায় না; সেও নামে
নিরীহ অভিযানে চাঁদনি রাতে।

প্রাণীরা মূর্খ থাকতে চায় সুখি থাকতে চায়
শিকারীরাই প্রকারান্তরে চোখ খুলে দ্যায়


স্বপ্নে সৈকতে


এক.
কেউ আমাকে ঝাঁকাচ্ছিল। আর আমি স্বপ্নবৃক্ষকে
ঝাঁকাচ্ছিলাম। তখন বৃন্তচ্যুত হতে থাকলো কয়েকটি ডালিম
—স্বপ্নতরলপূর্ণ। আমি চূর্ণ ঘুমের দিকে হাত বাড়ালাম
—শুধুই প্রচ্ছায়া। জানলাম বৃন্তচ্যুত স্বপ্ন সর্বদাই
পলায়নপর হয়

মুষ্টিমুক্ত ফড়িং যেভাবে আকাশে দৌড়ুয়

 

খ.
সেন্টমার্টিনে একটি কাছিম দেখেছিলাম
আকাশের দিকে পিঠ করে তীরের বালুতে শুয়ে।
আমি ওর কাছাকাছি থাকছিলাম।
শক্তপিঠে ছ-টি টোকা দিতেই—বন্দুকের নলের মতো
গলা বাড়িয়ে দিলো।

ঠিকমতো টোকা পড়লে দরজা খুলবেই

জানলাম।

 

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

জন্ম ২০ জানুয়ারি, ১৯৬২, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ। পড়ালেখা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল থেকে হৃদরোগে এমডি ডিগ্রি অর্জন করেন কবি হারিসুল হক। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার নানান দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাঁর কবিতা সুইডিশ ও ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৪টি কাব্যগ্রন্থ, ২টি গবেষণাগ্রন্থ ও অন্যান্য বিষয়ে আরও ২টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে হারিসুল হকের 'নির্বাচিত কবিতা।' বাংলাদেশ ছাড়াও  কলকাতা ও জার্মানি থেকে তাঁর গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমানে হারিসুল হক ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনিক্যাল কার্ডিওলজির অধ্যাপক ও প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

বোধের বিমূর্ততা ও পাঠের আনন্দ আসে হারিসুল হকের কবিতায়। সৃজনের উন্মাদনা থাকলেও কোনো উলম্ফন নেই হারিসুল হকের মধ্যে। তাঁর কাব্যযাত্রা স্বতস্ফুর্ত ও সাবলীল। হৃদয়ের দাবিতেই কবিতা লেখেন কবি। একই সঙ্গে অন্য মানুষের হৃদয়ের ক্ষত বা অসুখ সারাতেও হয় তাঁকে। এই গুণ ও যোগ্যতা সচরাচর নয়, কবিতা পাঠকের জন্যও এ এক বাড়তি প্রাপ্তি। অত্যন্ত সজ্জন হাসিমাখা মুখের কবি হারিসুল হকের কবিতা পড়তে পড়তে তাঁকে আবিষ্কার করবেন পাঠক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।