বৃহস্পতিবার, মে ২

জঁ-মিশেল মোলপোয়ার দশটি কবিতা : ভাষান্তর ও ভূমিকা: গৌরাঙ্গ মোহান্ত

0

Motif-01জঁ-মিশেল মোলপোয়া ফ্রান্সের মঁবেলিয়ারে ১৯৫২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কাব্য রচনায় ফরাসি গদ্য কবিতার ঐতিহ্যকে যেমন সমুন্নত রাখেন তেমনি কাব্যালোচনার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেন। ফরাসি কবি অঁরি মিশো, জাক রেদা ও রনে শারের কাব্য নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ পাঠকের দিগন্তকে বিস্তৃত করে। এ ছাড়া শুধুমাত্র কবিতার বৈভব নিয়েও তিনি মূল্যবান প্রবন্ধ রচনা করেছেন; এ জাতীয় কাজের ভেতর La Poésie malgré tout (1996), La Poésie comme l’amour (1998), Du Lyrisme (2000) উল্লেখযোগ্য। তিনি ২৫টির অধিক কাব্য রচনা করেছেন—Une histoire de bleu (1992), L’Instinct de ciel (2000) ও Pas sur la neige (2004) প্রভৃতি কাব্যের চিত্রকল্প বিস্ময়কর। Une histoire de bleu (নীলের উপাখ্যান) কাব্যে কবি নীলবর্ণের গভীরতর অর্থের অন্বেষণে ব্যাপৃত থেকেছেন। অ্যামেরিকান গবেষক ডন কর্নেলিয়ো Exploring Lyrical Circulation: Reading and Translating Jean-Michel Maulpoix and ‘Une histoire de bleu’ শিরোনামবিশিষ্ট একটি গবেষণাপত্র প্রস্তুত করে পিএইচডি অর্জন করেন।

জঁ-মিশেল মোলপোয়া

জঁ-মিশেল মোলপোয়া

জঁ-মিশেল মোলপোয়া Le Nouvean Recueil নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং প্যারিস এক্স-ননতের বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ও সমকালীন কবিতার পাঠদানে কর্মনিরত রয়েছেন। অনূদিত কবিতাগুলো Une histoire de bleu কাব্যের অন্তর্গত। যে-কোথাও বসে রহস্য চেতনায় মগ্ন থেকে অপ্রাপনীয়কে উপলব্ধি করবার অভিজ্ঞতা, মানুষের বিচিত্র অভিজ্ঞতার ওপর নীলের প্রভাব, ভাষার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রাকৃতিক জগতের অসীমতাকে উপলব্ধির প্রয়াস, যুগপৎ নীলবর্ণ ও সমুদ্রের ভেতর আনন্দ-বেদনার প্রতীক অন্বেষণ, স্মৃতিকে স্বপ্নজালে আচ্ছন্ন রাখবার ক্ষেত্রে নীলের ভূমিকা, সৃজনশীলতা ও সুস্থিতির ভারসাম্যের গুরুত্ব, নাবিকের সমুদ্রপ্রেম ও স্বপ্নদ্রষ্টার অনুধ্যানের ঐকতান, পৃথিবীর ভৌতিক ও অভীষ্ট প্রান্তের অভিজ্ঞতা, মর্ত্যলোকের সৌন্দর্য ও রহস্যময়তা, জীবন-মৃত্যু চক্রের স্বরূপের উপলব্ধি প্রভৃতি থিম উপস্থাপিত কবিতাগুলোকে বিশিষ্টতা দিয়েছে।


দশটি কবিতা



আমরা জানি জনশ্রুতির ভেতর দিয়ে প্রেম টিকে থাকে।

পাথরের ওপর বা লাল ছাতার নিচে বসে, পতঙ্গ গুঞ্জরিত মাঠে শুয়ে, আমাদের ঘাড়ের পেছনে হাত দৃঢ়বদ্ধ রেখে, গির্জার শীতল অন্ধকারে নতজানু হয়ে অথবা ঘরের চার দেওয়ালের সাথে নলখাগড়ার চেয়ারে গুটিশুটি মেরে, নিচু হয়ে, সাদা কাগজের আয়তক্ষেত্রে স্থিরদৃষ্টি, আমরা মোহনা, প্রবল সমুদ্রতরঙ্গ, পরিষ্কার আবহাওয়া আর জোয়ারের স্বপ্ন দেখি। আমাদের ভেতর আমরা সমুদ্রের অনিঃশেষ বন্দনাগান শুনি, আকাশের জন্য, প্রেমের জন্য, এবং হাত দিয়ে স্পর্শ-অযোগ্য বিষয়ের জন্য আমাদের অদ্ভুত আকাঙ্ক্ষার প্রবাহ ও ভাটার মতো সে গান আমাদের মাথায় উঠে আসে আর ঝরে পড়ে।

 


কালো চোখের রমণীদের নীল দৃষ্টি রয়েছে।

নীল হলো দৃষ্টির, আত্মার অন্তর্দেশের, এবং চিন্তার, প্রতীক্ষার, স্বপ্ন দেখবার ও নিদ্রার রং।

আমরা একটিতে সব রং মেশাতে আনন্দ পাই। বাতাস, সমুদ্র, তুষার, ত্বকের অতি কোমল গোলাপি, সহাস্য ঠোঁটের লাল, চোখের সবুজ বেষ্টিত অনিদ্রার শুভ্র অঙ্গুরি, এবং পত্ররাজির টুকরো, ম্লান কনকপ্রভা থেকে আমরা নীল প্রস্তুত করি।

আমরা একটি নীল ভূমির স্বপ্ন দেখি, একটি বৃত্তাকার-বর্ণিল ভূমি, প্রথম দিনের মতো নতুন, এবং নারীর শরীরের মতো বঙ্কিম।

আমরা অনন্তকে স্পষ্টভাবে দেখতে না পেরে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি এবং অদৃশ্যের প্রান্তে প্রতীক্ষা করি। আমরা আমাদের জীবনের অসঙ্গতিকে সংগীতে রূপান্তরিত করি। এ নীল যা আমাদের হৃদয়কে আচ্ছন্ন রাখে আমাদের পঙ্গুত্ব থেকে রক্ষা করে। দুঃখের সময় এটিকে আমরা আমাদের সসীমতার ওপর মলমের মতো ছড়িয়ে দিই। এ জন্য আমরা চেলো ও গ্রীষ্মের সন্ধ্যার শব্দ ভালোবাসি: যা আমাদের দোলায় ও ঘুম পাড়িয়ে দেয়। যখন দিন আসে প্রেমের প্রপঞ্চ আমাদের চোখ বন্ধ করে দেবে।

 


তারা নীলের দিকে তাকায় কিন্তু কীভাবে এটিকে বলতে হয় তা তারা কখনো জানবে না।

পৃথিবী বিশাল অজ্ঞাত দেশ যা আমরা গৃহাঙ্গন থেকে পর্যবেক্ষণ করি। সমুদ্রের দৃশ্য উপস্থাপন করতে পারে এমন দৃশ্যযুক্ত কক্ষগুলো আমরা নির্বাচন করি, এমনকি যখন আমরা জানি সমুদ্র নিজেকে সমর্পিত করে না। আমরা শাটারের ওপারে এর চিৎকার শুনতে পাই: এটি রাতের কণ্ঠ যার স্বর কথা বলে না, নিঃশব্দ আবৃত্তির দূরত্ব, নৈঃশব্দ্যের রুদ্ধ খোশগল্প, জিহ্বার শূন্যতায় প্লাস্টারের মতো সংস্থিত শব্দাবলির সুন্দর মিশ্রণ… এটি কিছুই বলে না, কিছুই ব্যাখ্যা করে না, কোনো শিক্ষাও দেয় না। এবং তবুও এটি মনোযোগ দিয়ে শোনার সুন্দর ধারণা। শূন্য কোলাহল শ্রবণের অর্থ বেঁচে থাকা, নিজেদের মধ্যে স্থিত থাকা ছাড়া আর কিছুই নয়: আমাদের নিজস্ব বিবর্ণতায় বাস করা, বর্ণরাজির জন্য এ পুরোনো আকাঙ্ক্ষা আমাদের যন্ত্রণা দেয়। কতগুলো শব্দের মাধ্যমে চিনির স্বাদ থেকে যায় আমাদের মুখে। আমাদের অক্ষিপল্লবে অসীমতা দৃঢ়সংলগ্ন থাকে এবং ভাঁড়ের মতো আমাদের মুখমণ্ডলকে গুঁড়ো করে।

 


ভেবো না এ সমস্ত নীল বেদনা বর্জিত।

খেলনা প্রাণী ও সস্তা গয়নার দোকানে রক্ষিত বিছানার ওপরে দেওয়ালে আটকানো সরল চিত্র নয় সমুদ্র।

যখন আমাদের হৃৎপিণ্ড আর স্পন্দিত হয় না, আমরা তখন রাস্তার জল-ভরতি খানাখন্দের দিকে তাকিয়ে মুক্ত সমুদ্রের জন্য অপেক্ষা করি যেখানে আমাদের দুর্দশাকে মেনে নিতে পারি এবং আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে দিতে পারি আকাশের একটি আপাত রূপ। কখনো কখনো আমাদের ভাইদের চোখের দিকে আবেগতাড়িত হয়ে তাকাই, সমুদ্র খুঁজে পেতে আর ক্ষণকালের জন্য নিমজ্জিত হতে।

আমরা শোবার ঘরে অন্য কারো ত্বকে ত্বক ঘষি, নীল বিদ্যুৎ এবং এর রমণীয় বজ্রপাত অন্বেষণ করি।

মাঝে মাঝে, আমাদের ভাইদের সাথে আমরা ধোঁয়ার সংকেত বিনিময় করি। হাত ঝুলন্ত, নাচের মেঝেতে আমরা একা দাঁড়াই এবং অদৃশ্য অশ্রুতে সিক্ত ধুলো চিবোই। এখানে আমাদের অবস্থান স্বল্পকালের জন্য: কিছু শব্দ, কিছু বাগ্‌ধারা, তারকারাজির নিচে খুবই তুচ্ছ, বাকি সব কিছুর ভেতর এটি ছাড়া কিছুই নেই। একেবারে অন্তিমকাল পর্যন্ত তোমার মুখে নীল। ভাবলেষহীন কণ্ঠস্বর, খাপছাড়া কণ্ঠস্বর, মৃত্যুর মোকাবিলা, মরণকে আলিঙ্গন, ভীতিমুক্ত হয়ে আকাশ ও সমুদ্রের হাড়গোড়ের চিড়-ধ্বনি শ্রবণ।

 


মাঝে মাঝে তার শৈশবের কথা মনে পড়ে।

এ সমস্ত চেরি নীল। ফিসফিসিয়ে গল্প বলার সময় বাগান সদৃশ এর ভেতর দিয়ে আপনি হেঁটে যেতে পারতেন। এমন জায়গায় আপনি আপনার আঙুল দিয়ে আকাশ স্পর্শ করতে পারতেন। আপনি আপনার মুখমণ্ডলে এর প্রলেপ লাগাতে পারতেন। আপনি অবাধে চলতে পারতেন। আপনি কখনো নিঃসঙ্গ ছিলেন না। আপনি প্রেমের ছবি তুলেছেন।

তখনো ধূম্রবিস্তারী নগরী ছিল না, না কোনো বাঁধ, না বাণিজ্যপোত, না ছিল বিচ্ছেদ বা ঘড়ি। জলের গভীরে হৃৎপিণ্ড ধীরে স্পন্দিত হয়েছিল।উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর নারীগণ পা আড়াআড়িভাবে রেখে বসে থাকতে পারতেন। গ্রীষ্মের সন্ধ্যা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী থাকতে পারত।

 


আমি অসম্ভবের ভেতর বেঁচে থাকতে পারি না।

যে নারী আমাকে ভালোবাসে তার রয়েছে স্বচ্ছ চোখ। তার অঙ্গভঙ্গি শান্ত, তার কথা সর্বদা যুক্তিসম্মত। যে প্রজ্ঞা আমার নেই তার জন্য মাঝেমধ্যে তার ঘাড়ে দোষ চাপাই। আমি তার ওপর প্রচুর বাক্যবাণ ছুড়ে দিই এবং ভিন্নতরভাবে পক্ষল ও কল্পনাপ্রবণ প্রাণীদের জন্য তাকে ছেড়ে দিই, যারা আমার মনোভার-মোচক কলমের আঁচড়ের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। তবে আমি সবসময় তার কাছে ফিরে আসি, তার পরিচ্ছন্ন, সুরভিত বাড়ির দিকে যেখানে আমার শুভ্র পৃষ্ঠার অপরাহ্ণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।

 


সুন্দর দিনে, অবারিত সমুদ্র ঝিকমিক করে।

আকাশ শ্বেত টাইলসে আচ্ছাদিত। সমুদ্রের দিগন্তের গণ্ডস্থলে একটি দীর্ঘ কালিমাখা দাগ খুঁড়ে বের করে পালতোলা নৌকাগুলো প্রশস্ত ও নিঝুম রাস্তার নকশা কাটে এবং তাদের পাখিবিক্রেতার দারুণ নগ্ন শুভ্রতার ভালোবাসা বপন করে।

পুদিনা, ফরগেট-মি-নট ও দোপাটির গন্ধে ভরা প্রয়োজনাতিরিক্ত বাগানগুলো অবারিত সমুদ্রের দিকে আরও বেড়ে ওঠে। লাইলাকের রটনা সমুদ্রের দিকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যখন, চিত্রিত কাঠের ব্যালকনিতে নাবিকদের হৃদয় ছড়িয়ে যায়।

সমুদ্রের প্রতীক্ষালয়ে গ্রীষ্মের রোববার। টেনে দেওয়া পর্দাগুলো একটু হাই তোলে। আলো মিটমিট করে। আসবাবপত্রের চকচকে কাঠ ও কাগজের ওপর স্বচ্ছ জল প্রবাহিত ও শিহরিত হয়। একটি দুর্বল স্কোয়াড্রন বিদায় নিতে চলেছে। এবং কবিতার মন্থর ওঠানামা। একটি আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয় বা ঘুমিয়ে পড়ে। অবারিত সমুদ্রের দরজাগুলো সামান্য খোলে তারপর বন্ধ হয়। স্বপ্নদ্রষ্টা তার আঙুল নীলে ডুবিয়েছে। এখন থেকে তার শরীর বালুকা।

 


পৃথিবীর প্রান্ত বেশ কাছাকাছি, সমুদ্রের পেছনে যেখানে কুক্কুট চিৎকার করে এবং কিছু অতিকায় কুকুর ঘেউ ঘেউ করে, বিচূর্ণ প্রাচীরের অংশ এবং বাঁধাকপি-সবুজ শাকসবজির বাগানের মাঝখানে, কল্পনা করতে পারেন রাতে বাগানের পরিচর্যায় একজন দেবদূত আসেন। কোনো মুখাবয়ব নেই জানালায় যেখানে বিড়ালেরা অবিরামভাবে তাদের থাবা চাটে। চার্চের চূড়ায় ঘাস মুকুলিত হয়।

বাড়িগুলো থেকে এত বেশি পাথর হারিয়ে গেছে যে এখানে বাস করা প্রত্যাশিত বলে মনে হয়। কারণ স্কুলের খড়-মাটির দেওয়ালে সোয়ালো পাখির বাসার গর্ত, অথবা জানালাগুলো আর খোলে না। এবং কোনো রহস্যের ব্যাঘাত ঘটানোর ভয়ে সমুদ্রের নীল সরু পথে আমরা ধীর পায়ে হাঁটি।

 


নীলের গোঁড়ামি।

নীলের পেছনে তিনি খালি পায়ে হেঁটে যান।

তিনি দিগন্ত এবং এর সত্যাশ্রয়িতার দিকে দীর্ঘক্ষণ হাঁটবেন, আকাশের সুরক্ষিত অপরিসর এলাকার নিচে, সমুদ্রের মহান যাজক এবং তমসাচ্ছন্ন শৈবালের উপাসনা পদ্ধতির জন্য।

প্রবালের প্রশস্ত হলঘরে, অসীমতা কখনো কখনো নতজানু হয়।

এ স্থানটি দেবতাদের অনিশ্চিত আবাসগৃহ, তাদের ঝুপড়ি, তাদের বায়ু কুটির, তাদের লোহার শাস্তি-খাঁচায় তাদের শুভ্র বহির্বাস ঝুলিয়ে রাখা হয়।

আকাশের অনিয়মিত ঘুমে কানের চাপ দিয়ে, সমুদ্র শোনে এবং প্রাচীন প্রার্থনার স্মৃতিকে দোলায় যার শব্দাবলি অনেক আগে দেবদূতের মস্তিষ্কের গভীরতায় সমুদ্রের দূরে কোথাও হারিয়ে গিয়েছিল।

 

১০
আকাশ কি দীর্ণ হৃদয়ের এ অস্ফুট ধ্বনি শ্রবণে আনন্দ পায়? যখন নীল শ্বাসরুদ্ধ হয়, স্পন্দনে অবসন্ন, যিনি চলে যান তিনি কিছুই দেখতে পান না। তিনি আর্তনাদ করেন, তার কাঁধে মাথা ফেলে রাখেন, কিন্তু অকস্মাৎ যে রাতটি নেমে পড়েছিল, এবং যে আলো থেকে তাকে অপসারিত করা হয়েছে তা তিনি বুঝবেন না। তার ক্রন্দন যন্ত্রণার নয়, নতিস্বীকারের: এবার শুধু মানুষ হওয়া, এবং এতে লেগে থাকা। একজন মানুষের ক্ষুদ্রাংশ যা মৃত্তিকা গ্রাস করে, কিছুটা লজ্জা ও আকাঙ্ক্ষা যা বাষ্পীভূত হয়, এ পৃথিবীর নিজের জন্য অনুভূত ভালোবাসায় কোনোভাবেই ব্যাঘাত ঘটায় না।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

গৌরাঙ্গ মোহান্ত অ্যামেরিকান কবি রবার্ট ফ্রস্টের কবিতায় চিত্রকল্প ও প্রতীকের প্রয়োগ সম্পর্কে গবেষণা করে পিএইচডি অর্জন করেন। তাঁর দশটি গ্রন্থের ভেতর ‘Robert Frost : A Critical Study in Major Images and Symbols’ (2009), ‘প্রমগ্ন কবিতাবলি’ (২০১৭, ২০১৮), ‘A Green Dove in Silence : Forty Prose Poems in Translation’ (2018, 2019), ‘ঝলকে ওঠা স্বপ্নডাঙা’ (২০১৬) উল্লেখযোগ্য। দিল্লিস্থ রুব্রিক পাবলিশিং A Green Dove in Silence এবং এর হিন্দি অনুবাদ ‘এক হরা ফাখতা মৌন-সা’ (২০১৮) প্রকাশ করে। গৌরাঙ্গ মোহান্তের কবিতা অন্যান্য পত্রিকার সাথে লন্ডনের Poetry Out Loud পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁর প্রকল্প পরিচালনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ঢাকা ট্রানস্লেশন ফেস্টিভ্যালের তিনি একজন উদ্যোক্তা।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।