বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫

‘হাওয়া’র ‘উরকেস’ চরিত্রটিও আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল : সোহেল মণ্ডল

0

২৯ জুলাই ২০২২, আজ মুক্তি পাচ্ছে মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। সেন্টমার্টিন থেকে আরও গভীর সমুদ্রে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শুট হওয়া এই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মনে রয়েছে বাড়তি উত্তেজনা। মাছ ধরা বিশালাকার নৌকার নয়জন সদস্য ও সেখানে অনভিপ্রেত উপস্থিত হওয়া এক নারীকে ঘিরেই ‘হাওয়া’র গল্প। চঞ্চল চৌধুরী, সুমন আনোয়ার, শরীফুল রাজ, নাজিফা তুষি, নাসিরউদ্দিন খান, শিবলুসহ আরও অনেকের সাথে সিনেমায় ‘উরকেস’ চরিত্রে দেখা যাবে সোহেল মণ্ডলকেও। এই সিনেমার পেছনের কথা ও প্রবল জনপ্রিয় গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ নিয়ে কথা হলো তাঁর সাথে। এই নিয়ে সাক্ষাৎকারটির দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব থাকছে ‘শ্রী’ তে। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন মারুফ ইমন


Shohel Mondol

সোহেল মণ্ডল | ছবি : সংগৃহীত


প্রশ্ন: ‘হাওয়া’র শুটিংয়ের জন্য সেন্টমার্টিনে একটানা ৪০ দিনের বেশি থাকতে হয়েছে আপনাদের। এর মাঝে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানে, দেখানো হয় ৯নং বিপদসংকেতও। সবমিলিয়ে শুরু থেকে এই সিনেমার জন্য যে পরিশ্রম করতে হয়েছে তা কেমন ছিল? মানসিকভাবে তা কতটা প্রভাব ফেলেছে?

সোহেল : প্রতিটি আলাদা চরিত্রের মতো ‘হাওয়া’র ‘উরকেস’ চরিত্রটিও আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি একেবারে শেষমুহূর্তে যোগ দিয়েছিলাম সিনেমার টিমে। সিনেমার শুটে যাবার আগে দুই থেকে তিন মাস আমাদের তৈরি হতে হয়েছে। অনেকে সাঁতার জানতেন না, তাদের সাঁতার শিখতে হয়েছে। আবার যারা সাঁতার জানতেন যেহেতু গভীর সমুদ্রে নামতে হবে, তাই তাঁরাও দীর্ঘদিন প্র্যাক্টিস করেছেন। একইসাথে অভিনয়ের রিহার্সেলও করেছেন। এটা তো গেল শারীরিক একটা পরিশ্রম।
এছাড়া ভাষাগত জায়গা থেকেও আমাদের কিছু ব্যাপার মানিয়ে নিতে হয়েছে। চল্লিশ দিন সেন্টমার্টিন একটানা থেকে আমরা ‘হাওয়া’র শুট করি। এর মাঝে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বয়ে যায়। আমাদের কিছুদিন শুটিং বন্ধও ছিল। সবমিলিয়ে আমার ছোটো ক্যারিয়ারে ‘হাওয়া’য় কাজ করাটা অনেক বড়ো অভিজ্ঞতা ছিল। ‘হাওয়া’র সকল পারফর্মারই আসলে অসম্ভব পরিশ্রম করেছেন। শুধু পারফর্মাররাই না, ক্যামেরার পেছনের মানুষেরাও অমানুষিক পরিশ্রম করে সিনেমাটা বানানোর চেষ্টা করেছেন।

একটা হলো প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করা, আবার সমুদ্রের মাঝে শুট করা। এমনিতেই নদী বা সমুদ্রের মাঝে নৌকা বা ট্রলারে শুট করা কঠিন। তার উপর ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’! সকল প্রতিকূলতার মধ্যেই আমরা চেষ্টা করেছি সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে ভালো একটা সিনেমা বানানোর। একটা সময় সবাই খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। চল্লিশ দিন একই জায়গায় থাকা, লবণাক্ত পানি আর সাগরের হাওয়া— এসবের প্রভাবে এমনটা হতে পারে। যদিও ওরকম গুরুতরভাবে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েনি। তবে  মানসিকভাবে ভীষণ একটা প্রভাব ফেলছিল। খাবার আমরা সাথে যা নিয়ে গিয়েছিলাম, প্রতিদিন সেই একই খাবার খেতে হতো, যেহেতু ওখানে এতকিছু পাওয়া যেত না। তবে স্বস্তি এই যে দিনশেষে আমরা একটা ভালো প্রজেক্ট শেষ করে ফিরতে পেরেছি— এটাই বড়ো কথা।


‘হাওয়া’ সিনেমায় চাঁনমাঝি চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী | ছবি : চঞ্চল চৌধুরীর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া


প্রশ্ন : চঞ্চল চৌধুরী ‘হাওয়া’র অন্যতম প্রধান চরিত্র ‘চাঁনমাঝি’। তাঁর সাথে আপনি ‘তাকদীর’ করেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। খুব কাছ থেকে ‘তাকদীর’ ও ‘হাওয়া’র চঞ্চল চৌধুরীর মাঝে কী কী পার্থক্য দেখেছেন?

সোহেল : এই পার্থক্যটা আমার মনে হয়, দর্শক ভালো বলতে পারবেন। আমি যদি বলি, একটা তো চরিত্রগত পরিবর্তন আছেই। কারণ ‘তাকদীর’ আর ‘চাঁনমাঝি’ দুজনেই ভিন্ন জায়গা, পেশা ও সামাজিক অবস্থানের মানুষ। ‘তাকদীর’ এ যে ফ্রিজিং ভ্যানের ড্রাইভার, এখানে সে উত্তাল দরিয়ার মাঝি। চঞ্চল ভাই তাঁর চরিত্রের জন্য যে পরিশ্রমটা করেন তা এই প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় এবং সৌভাগ্যক্রমে সেটা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। এটা আমারও বেশ অনুপ্রেরণার জায়গা। কাজের ক্ষেত্রে আমিও সেই পরিশ্রমটা করতে চাই। চঞ্চল ভাইয়ের এই পরিশ্রমের প্রভাব আমার কাজেও আছে। আশা করি সিনেমাটি দেখে দর্শক আবিষ্কার করবেন তাঁরা কতটা ভিন্ন চঞ্চল চৌধুরীকে পেয়েছেন।


Hawa

‘হাওয়া’ সিনেমার সেট থেকে | ছবি : আনিকা জাহীন


প্রশ্ন : মেজবাউর রহমান সুমনকে আমরা চিনি নিভৃতচারী এক আধুনিক নির্মাতা হিসাবে। ফিকশন তিনি খুব কম বানিয়েছেন। ব্যান্ড ‘মেঘদল’ আর ‘ফেসকার্ড’ এর বিজ্ঞাপন নির্মাতা বাদে সুমনকে মিডিয়াপাড়ায় খুব একটা দেখা যায় না। তাঁর নির্মান স্টাইলে অন্যদের থেকে কী কী ব্যতিক্রমী দিক পেয়েছেন?

সোহেল : সুমন ভাইয়ের কাজের পদ্ধতিটা হচ্ছে খুব ভালোভাবে কনটেন্টটা লেখা থাকতে হবে। ঠিকঠাক স্ক্রিপ্ট না করা পর্যন্ত তিনি একটা প্রজেক্টে ঢোকেন না। এটা তাঁর সবচেয়ে বড়ো পদ্ধতিগত জায়গা। এর পরের ব্যাপার হচ্ছে নির্মাতার পাশাপাশি তিনি একজন ভালো প্রডাকশন ডিজাইনার; যেটা অনেকেই হয় তো জানেন না। দেশের কয়েকজন সেরা প্রডাকশন ডিজাইনারের কথা বললে সুমন ভাই তাঁদের মধ্যে অন্যতম হবেন। সিনেমাটোগ্রাফির জায়গাতেও তিনি ‘হাওয়া’ তে ভালোভাবে যুক্ত ছিলেন। সুমন ভাই খুব পরিশ্রমী একজন নির্মাতা। উনার শুটের সময় সবাইকে দৌড়ের ওপর থাকতে হয়। তিনি নিজে যেহেতু ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে যেতেন তাই শিল্পীদেরও তখনই উঠতে হতো। ভীষণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজটা করেন তিনি। আরেকটা দিক হচ্ছে সুমন ভাই খুব ভালো করে চরিত্রগুলোকে বুঝতে পারেন। কোন চরিত্রে কাকে ম্যাচ করবে সেটা তিনি ভালো বোঝেন। নির্মাতা হিসাবে সুমন ভাই যোগ্য ‘ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ’। তিনি একটা মেধাবী মানসিকতা ধারণ করেন। ফিল্মমেকিংয়ে এই ‘থট প্রসেস’টা খুব জরুরি। আপনি কতটা বুদ্ধিমত্তার সাথে নির্মাণ করছেন, আপনি সমসাময়িক বিষয়গুলোর সাথে কতটা পরিচিত, আপনার দর্শনের জায়গাটা কেমন… আর একটা বিষয় হলো, সুমন ভাই নিজে যেহেতু পেইন্টার তাই তাঁর নির্মাণের জায়গাতেও আর্টের একটা প্রভাব আছে। তিনি নিজে লেখেন তাই অন্য নির্মাতা থেকে তাঁর কাজে আলাদা ছাপ পাওয়া যায়।


Shohel Mondol (2)

‘হাওয়া’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু এবং এরফান মৃধা শিবলু | ছবি : সংগৃহীত


প্রশ্ন : ‘হাওয়া’র ‘উরকেস’ চরিত্র করতে গিয়ে মঞ্চে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে?

সোহেল : মঞ্চে চরিত্র তৈরির একটা পদ্ধতি আছে। সেটাতে আমি অনেকদিন থেকেই যুক্ত। আমার সব কাজেই মঞ্চের একটা প্রভাব থাকে। সিনেমায় যে বিষয়গুলো লাগে যেমন— চরিত্র তৈরি করা, ডিসিপ্লিন শেখানো, পরিশ্রম করা— এগুলো আমার সবই মঞ্চ থেকে শিখে আসা। যখন আপনিও একটা ভিজ্যুয়াল প্রডাকশন করতে যাবেন, মঞ্চ আর সিনেমায় ধরনটা কিন্তু একই। নিয়মের মধ্যে থেকে পরিশ্রম না করলে কাজ এগোয় না, এসব আমাকে মঞ্চই শিখিয়েছে। তো ‘হাওয়া’র ক্ষেত্রেও এমনই হয়েছে; যেহেতু এর মাঝেই বড়ো হয়েছি।

 

প্রশ্ন : ‘হাওয়া’র ‘উরকেস’ থেকে বাস্তবের সোহেল কোন কোন দিক থেকে আলাদা?

সোহেল : সবচেয়ে বড়ো পার্থক্যটা তো হচ্ছে পেশাগত জায়াগায়। ‘উরকেস’ একজন জেলে আর আমি অভিনেতা, ভিন্ন সমাজের মানুষ। তাঁর জীবন আমি কখনই যাপন করিনি বা সংস্পর্শেও কখনও ওইভাবে আসা হয়নি। উরকেস আর সোহেল দুজন দুই মেরুর মানুষ। অভিনেতা হিসাবে আমি তাঁর মনস্তত্ত্ব আর সামাজিক অবস্থানগত জায়গাটা ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের যিনি চিত্রনাট্যকার ছিলেন তাঁর যে ভিশন সেটার মাধ্যমে চরিত্রটায় ঢুকতে চেষ্টা করেছি। তাঁদের পরিবেশে থেকে তাঁদের বোঝার চেষ্টা করেছি; উরকেস হয়ে উঠতে চেষ্টা করেছি।


Hawa 2

শুটিংয়ের সময় ‘হাওয়া’ সিনেমার শিল্পীরা | ছবি : আনিকা জাহীন


প্রশ্ন : নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলছেন, ‘হাওয়া’ একটা আঞ্চলিক সিনেমা, মিস্ট্রি ড্রামা জনরার সিনেমা। এটা বর্তমানের রূপকথা, তবে দর্শক এটার মিথকে সিনেমা হলেই ধরতে পারবেন। এখানে ‘হাওয়া’য় যে মেটাফর বা বর্তমানের রূপকথা বলছেন নির্মাতা। সেটা আপনি কাজ করতে গিয়ে কতটা অনুধাবন করতে পেরেছেন?

সোহেল : এটার মেটাফরিক ভিউ আমাদের গল্পেই আছে। আমরা যখন একটা স্ক্রিপ্ট পাই, তখন ডিরেক্টর তাঁর ঠিকঠাক ভিশনটা; মানে তিনি কী চান সেটা অভিনয় শিল্পীদের বোঝান। স্ক্রিপ্ট পড়ার পর নির্মাতা আমাদের কাছে কী চান সেটা জানান। আমরা সেটা থেকে বোঝার চেষ্টা করি তিনি আসলে কী বলতে চাইছেন, কোথায় পৌঁছাতে চান, গল্প কোথায় শেষ করছেন, তার দর্শন কী, তার এখানকার জীবনবোধটা কী। সুমন ভাই সারাক্ষণই আমাদের সাথে তাঁর এই গল্পের দর্শন নিয়ে কথা বলেছেন, আমরাও বলেছি। আলোচনার মাধ্যমেই একটা জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ‘রূপকথা’র বিষয়টা এখনো বলতে পারছি না। সিনেমা মুক্তির পর এগুলো নিয়ে কথা বলা যাবে। আপনি চরিত্রটা যখন পর্দায় দেখবেন তখন পুরো গল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমার চরিত্রটা মেলাতে পারবেন।


Shohel Mondol

‘উরকেস’ চরিত্রে সোহেল মণ্ডল | ছবি : সংগৃহীত


সোহেল মণ্ডলের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব পাঠ করুন : রিফিউজি, মানুষ আর মানবতার গল্প এবং একজন সোহেল মণ্ডল

 


প্রশ্ন : হাশিম মাহমুদের লেখা ও সুরে আরফান মৃধা শিবলুর গাওয়া ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটা তো এখন মানুষের মুখে মুখে। গানটার আয়োজন ও আপনাদের প্রস্তুতি নিয়ে কিছু বলেন।

সোহেল : ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটা আমরা যখন রিহার্সেল করি তখন থেকেই এটার কম্পোজিশন তৈরি করা ছিল। তাই আমরা ফ্লোরেও গুনগুন করে গাইতাম। যখন শুটে গেছি তখনও আমাদের ঠোঁটস্থ ছিল। গানটা এমনই হৃদয়ছোঁয়া, এত সুন্দর কথা আর সুরে তৈরি যে আমরা নিজেরাও যুক্ত হয়ে গেছি । সেটেও মনে হচ্ছিল গানটা এত সহজে আমার কানে লাগছে, মনে লাগছে— দর্শকের সাথেও খুব সহজে যুক্ত করা যাবে। এই অনুমান করাটা খুব একটা কঠিন ছিল না যে মানুষ পছন্দ করবে। একবার শুনলে যে কেউ হয়তো গানটা গুনগুন করবে— এমন ব্যাপার ছিল। এই গানের শুট করার আলাদা প্ল্যান ছিল। আমরা সবাই সমুদ্রে অনেকগুলো নৌকা যুক্ত করেছিলাম। আপনারা ভিজ্যুয়ালে দেখলে বুঝবেন সারাদিন অন্যকিছু শুট করিনি সেদিন, শুধু সেট ডিজাইনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো মাছ ধরার ট্রলার— যেগুলো আগে থেকে এনে রাখা; আর আমাদের শুটিং ট্রলার— সেটার সাথে আরও প্রায় ১৫-২০টা নৌকা একসাথে করে সাজানো হয়েছিল যেন কোন খামতি না থাকে। এই গানের দৃশ্যায়ন আর আবহ সৃষ্টির জন্য সাজানোটা ভালো হওয়া দরকার ছিল। এটা মাঝিদের অবসর আড্ডার সময়টাকে তুলে ধরার জন্য করা। সুমন ভাই তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে মুহূর্তটা জীবন্ত করতে চেয়েছেন। তিনি নিজেই এটার প্রডাকশন ডিজাইনার ছিলেন। তাঁর পরিশ্রমের ফসলই এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। কোটি কোটি মানুষ এখন গানটা নিয়ে আনন্দ করছে। সবকিছু মিলে গানটা করতে গিয়ে আমরা যে আনন্দ পেয়েছি দর্শক এখন সেটা পাচ্ছে।

 

প্রশ্ন : আমাদের সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

সোহেল : আপনাকেও ধন্যবাদ। শ্রী-কে ধন্যবাদ। সবশেষে বলব, সামনে আরও কনটেন্ট আসছে। সেগুলো দেখেও আশা করি আলোচনা-সমালোচনা করবেন। ধন্যবাদ আমাকে বলতে দেওয়ার জন্য।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

দীপ্ত টিভিতে স্ক্রিপ্টরাইটার হিসাবে কর্মরত। একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। জন্ম ময়মনসিংহে। এখন বসবাস ঢাকায়। ফিল্ম নিয়ে লেখালেখি করেন। এছাড়া ২০২১ সালে ঘাসফুল প্রকাশন থেকে ‘খেয়াবতী’ নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।