বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫

আমি পৃথিবীর দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে শুরু করি ব্যক্তিগত কেন্দ্র থেকে : গহর দাশতি

0
Gohar-Dashti

গহর দাশতি


গহর দাশতি একজন ইরানি ফটোগ্রাফার। তার ফটোগ্রাফিতে ফুটে ওঠে ইরানের আর্থ-সাংস্কৃতিক দৃশ্য এবং কিভাবে সেগুলো ইরানের জনগণের ওপর প্রভাব ফেলে পুরো একটা প্রজন্মের প্রাত্যহিক জীবনকে ছাঁচে ঢেলে ফেলেছে। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত সমাজ, কলহ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে দিশেহারা, তার ফটোগ্রাফির কাহিনিতে যোগান দেয় এক মারাত্মক পটভূমির।

কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। এবং যেমনটা দেখানো হয়েছে ‘টুডে’জ লাইফ অ্যান্ড ওয়্যার’ সিরিজে, উদ্যম এবং সংকল্পেরই শেষে জিত হয়। এটা এমন একজন তরুণ প্রতিভার গল্প যার অস্বাভাবিকতাকে অস্বীকার করার শক্তি তার প্রজন্মের অন্য অনেকের মনে আশার সঞ্চার করে। তাদের উজ্জীবিত করে, ‘চেষ্টা করতে, অনুসন্ধান করতে, খুঁজে নিতে এবং হার না মানতে।’

গহর দাশতির জন্ম ১৯৮০ সালে, তেহরানের আহভাজে। তিনি বর্তমানে বসবাস এবং কর্মসূত্রে তেহরানে আছেন। গহর ফটোগ্রাফিতে তেহরান আর্ট ইউনিভার্সিটি থেকে এমএ শেষ করেন ২০০৫ সালে। তার কাজের জন্য তিনি DAAD, বার্লিন থেকে ফেলোশিপ লাভ করেন (২০০৯-২০১১)। তার কাজ বিশ্বজুড়ে প্রদর্শিত হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য : হোয়াইট প্রজেক্ট গ্যালারি, প্যারিস, ফ্রান্স, ২০১২; গ্রিমিউজিয়াম, বার্লিন, জার্মানি, ২০১২; সেন্টার ডি’আর্ট পাসেরেলে, ব্রেস্ট, ফ্রান্স, ২০১০; হিলিয়ার আর্ট স্পেস, ওয়াশিংটন ডিসি, ২০০৮ এবং ঘরের কাছের তেহরানের সিল্ক রোড গ্যালারি, ২০১১। তার কিছু উল্লেখযোগ্য ফটোগ্রাফির সিরিজ হলো : স্টেটলেস (২০১৬), ইরান আনটাইটেলড (২০১৩), টুডে’জ লাইফ এন্ড ওয়ার (২০০৮), মি, শী এন্ড আদারস (২০০৯)।

‘ব্লাইন্ডফোল্ড ম্যাগ ডট কম’ এবং ‘লাকি কম্পাইলার’-এ প্রকাশিত দুটি সাক্ষাৎকার থেকে শ্রী-র জন্য এই অনুবাদটি তৈরি করেছেন দিলশাদ চৌধুরী


আপনার শৈশবের সেই ব্যাপারগুলো সম্পর্কে আমাদের বলুন যেগুলো আপনার চিরজিজ্ঞাসু সৃজনীসত্তার বিকাশে সহায়ক হয়েছিল। কখন আপনি প্রথম একজন আলোকচিত্রী হবার ইচ্ছা অনুভব করেন আর এভাবে ফটোগ্রাফির সূক্ষ্ম দিকগুলি শেখেন?

আমি স্কুলে পড়াকালীন ছবি তুলতে শুরু করি। কলেজে উঠে গ্রাফিক ডিজাইন পড়ার সময় আমি ফটোগ্রাফির কিছু কোর্স করি। তখনই সিদ্ধান্ত নেই যে হয় চলচ্চিত্র নির্মাণ নয় ফটোগ্রাফি, দুটোর একটি নিয়েই আমি এগিয়ে যাব। তাই আমি আমার মূখ্য বিষয় পরিবর্তন করে ফটোগ্রাফিতে আমার ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করি তেহরান আর্ট ইউনিভার্সিটি থেকে।

সময়ের জটিলতার সাথে খেলতে খেলতে, অতীত এবং বর্তমান দুটোই যেহেতু আমায় গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে, সেগুলো তাই আমার ফটোগ্রাফিতে কিছুমাত্রায় স্নায়বিক অনুভূতি যোগ করতে সাহায্য করেছে।

ফটোগ্রাফি, আমার মতে, চিত্রশিল্প বা চলচ্চিত্রের মতোই একটা ভাব প্রকাশের মাধ্যম। আপনি কোন মাধ্যমটা বেছে নিচ্ছেন তা জরুরি নয়, জরুরি হলো কিভাবে আপনি সেই মাধ্যমটা ব্যবহার করে আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে আপনার পারিপার্শ্বিকের সাথে মেলাচ্ছেন।

Gohar-Dashti-pic 1

গহর দাশতির আলোকচিত্র


আপনার ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলুন, কীভাবে সেটা আপনার আলোকচিত্র সিরিজ ‘টুডে’জ লাইফ অ্যান্ড ওয়্যার’কে প্রভাবিত করেছে?

আমার জন্ম হয়েছিল ইসলামিক বিপ্লবের শুরুর দিকে আর আমি হাঁটতে শুরু করি রক্তাক্ত ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময়। আমি আর আমার পরিবার আহভাজে থাকতাম যেটা কিনা যুদ্ধের সময় ইরাকের একদম নিকটবর্তী ছিল। যুদ্ধ নিয়েই আমার বেড়ে ওঠা। যুদ্ধের সময়ে বড়ো হওয়া আমি আর আমার প্রজন্ম শিখেছি যে আমরা উপর্যুপরি বিপদের মধ্যে বাস করছি। সবকিছুই যেন যুদ্ধকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যে গভীর প্রভাব যুদ্ধের কারণে আমার এবং আমার প্রজন্মের জীবনের ওপর পড়েছিল, তা এখনও বর্তমান। যুদ্ধ এবং জীবন অবিচ্ছেদ্য; তারা একে অন্যের সাথে চলে, একসাথে একত্রিত বাস করে, সমান্তরালে। আমি স্কুলে যাওয়া ছোট্ট একটা মেয়ে ছিলাম, জন্মদিনে, বিয়েতে আর অন্যান্য অনুষ্ঠানে যেতাম। একদিক থেকে সব স্বাভাবিক মনে হতো, কিন্তু অলক্ষ্যে যুদ্ধ সবসময় উপস্থিত থাকত, এমন এক উপস্থিতি যেটাকে আমি কখনোই পুরোপুরি মেনে নিতে পারতাম না। যুদ্ধের ভয়াবহতা যখন স্বাভাবিক হয়ে আসে, তখন যেন পরাবাস্তব হয়ে ওঠে। আমার ভাই আর আমি, স্কুলে যাবার বয়সের আগে, বাড়ির ছাদ থেকে বুলেট সংগ্রহ করতাম। যে বেশি পেত এই খেলায় সেই জয়ী হতো। আমার চেনা সব শিশুরাই এই খেলা খেলত। আমার শৈশবের স্মৃতিতে আমার মনে পড়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানগুলো যেখানে দূরবর্তী যুদ্ধের শব্দ শোনা যেত। সেইসব দিনে লোকেরা মিসাইল ছাওয়া আকাশের নিচে বিয়ের আয়োজন করত। ‘টুডে’জ লাইফ অ্যান্ড ওয়্যার’ সেসব দিনেরই আখ্যানদৃশ্য।

 

যেহেতু আপনি নিজেই এমন একজন যে কিনা যুদ্ধের নৃশংসতা নিজের জীবনে সরাসরি উপলব্ধি করেছেন, ‘টুডে’জ লাইফ অ্যান্ড ওয়্যার’ এর তৈরিতে আপনার নিজের করুণ অনুভবের প্রবেশকে কীভাবে দেখছেন?

এই সিরিজের মূল ভাবনা আমার শৈশব থেকে অনুপ্রাণিত। আমার জন্ম ইরাকের সীমান্তবর্তী শহর আহভাজে। আমার পরিবারের সাথে আমি ইরাক-ইরান যুদ্ধের পুরোটা সময় আহভাজে বাস করেছি। আমার কাছে ওই সময়ের অনেক স্মৃতি রয়েছে যেগুলো, বলা যায়, এক পুরো প্রজন্মের ভাগ করে নেয়া যৌথ স্মৃতি আর আমি এই সর্বজনীন অভিজ্ঞতাটাকে ফুটিয়ে তুলতে চাইতাম। তাই আমি একটি গবেষণা প্রকল্প শুরু করি, তরুণ প্রজন্মের ওপর যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে জানতে। এই গবেষণাই পরিণতি পায়, ‘টুডে’জ লাইফ অ্যান্ড ওয়্যার’-এ।


Gohar-Dashti-pic 2

গহর দাশতির আলোকচিত্র ২


উইলিয়াম শেকসপিয়ারের হ্যামলেট থেকে উদ্ধৃত করে আমরা বলতে পারি, ‘Clothes maketh the man.’ ‘মি, শি অ্যান্ড আদারস’ সিরিজে আপনার কাজের পরিপ্রেক্ষিতে কিভাবে পোশাকের বদলের সাথে সাথে ভেতরের মানুষটিরও পরিবর্তন ঘটে?

‘মি, শি অ্যান্ড আদারস’ নামের প্রজেক্টটি একটি প্রামাণ্যচিত্র সেসব পোশাক নিয়ে যেগুলো ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের পর জন্মানো আমি এবং অন্যান্য মহিলারা পড়তাম।

আমার উদ্দেশ্য ছিল প্রজন্মান্তরে ইরানি মহিলাদের জীবনের বিভিন্ন দিক এবং শৈলী তুলে ধরা। তিনটি অবস্থায় আমি মহিলাদের ছবি তুলেছি (বা থেকে ডানেঃ কর্মক্ষেত্রে, ঘরে এবং সমাজে)। এই মহিলাদের জোর করা হয় সামাজিক পরিবেশের প্রেক্ষিতে তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্যে বদল আনতে, সেই সমাজ যার অংশ হয়ে উঠতে তারা প্রতিনিয়ত সেখানে বাস করছে। তারপরও, সমাজে তাদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে।

আমি অনেকগুলো মহিলাকে দেখিয়েছি যারা প্রতিদিন নিজেদের আয়নায় দেখে, অনেকটা আমার মতই, যেভাবে আমি নিজেকে প্রতিদিন আয়নায় দেখি ঘর ছেড়ে বাজার, কাজ বা অন্য কোথায় যাবার আগে।

যখনই আমি কোনো জনবহুল জায়গায় যাবার জন্য নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্যে পরিবর্তন আনি, তখনই আমার মাথায় এই চিন্তাটা আছড়ে পড়ে যে এই পুরো ব্যাপারটার ওপর আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।


Gohar-Dashti-pic 3

গহর দাশতির আলোকচিত্র ৩


Gohar-Dashti-pic 4

গহর দাশতির আলোকচিত্র ৪


আপনার প্রজেক্ট ‘স্লো ডিকেই’ এর সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের বলুন।

‘স্লো ডিকেই’ কোনো সহজ সাধারণ উদ্দেশ্য বহন করে না। যেমন ধরুন, এই সিরিজটা কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার দিকে আঙুল তোলে না, আলাদা আলাদা স্তর মিলিয়ে কাজ করে। হয়তো নির্দেশ করে এক স্লো ডিকেই সেসব যন্ত্রণার যা হয়তো নিঃশব্দে বেড়ে উঠেছে জীবনের চারিদিকে, জীবনের ওপর কোনো প্রভাব না ফেলেই। এমনকি এটা সময়ের ক্ষেত্রেও কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বহন করেনা। রক্তের দাগেরও অনেক প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে। প্রতিটি ছবি আলাদা অর্থ ফুটিয়ে তোলে আর আমি কিছুটা দর্শকের ওপরে ছেড়ে দিয়েছি। তারা ভাবুক আর নিজেদের যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা থেকে এই ছবিগুলোর প্রতি নিজেদের মতামত স্থির করুক।


Gohar-Dashti-pic 5

গহর দাশতির আলোকচিত্র ৫


এখন আপনি নিজের কাজের প্রদর্শনী করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন আয়োজনে অংশগ্রহণ করছেন। আপনি একজন শিল্পী হিসেবে নিজের বিকাশ এবং আপনার দেশের তরুণ প্রতিভাদের উৎসাহের ক্ষেত্রে এসব সাংস্কৃতিক বিনিময়মূলক আয়োজনগুলোকে কতটা প্রয়োজনীয় মনে করেন?

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে শেখা এবং শেখানোর প্রয়োজনীয়তা। আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করা হয়েছে আমার কাজের সাথে রাজনৈতিক এবং সামাজিক সমস্যার মেলবন্ধনজনিত সম্পর্কের ব্যাপারে। এসব প্রশ্নের প্রতি সম্মান রেখেই, আমি সাধারণত চেষ্টা করি বিদেশি শিল্পীদের ইরানি শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার। অপরদিকে, আমি অবশ্যই চাইবো অন্যান্য দেশের শিল্প, শিল্পের দৃষ্টিভঙ্গি এবং উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে। আমরা যারা এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেই, তাদের সবার জন্যই এটা সুবর্ণ সুযোগ নিজেদের জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেবার এবং এসব মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে অন্যদের থেকে আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার।

 

আপনি আপনার চিত্রের মধ্য দিয়ে প্রাথমিকভাবে কি ধরনের বার্তা দিতে চান?

একজন শিল্পী হিসেবে, আমি পৃথিবীর দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে শুরু করি ব্যক্তিগত কেন্দ্র থেকে, আমার স্মৃতি থেকে, আমার পারিপার্শ্বিকের বোধ থেকে, আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আমি সমাজ এবং পৃথিবীকে আমার সম্পর্কের জায়গাগুলো বোঝাতে চেষ্টা করি যেহেতু এটা রূপ নেয় আমার জীবনের ঘটনাপ্রবাহ আর নিজস্ব এবং বৈশ্বিক, রাজনৈতিক এবং কাল্পনিক সেতুবন্ধনের মধ্য থেকে।

 

একজন শিল্পী হিসেবে কে বা কি আপনার চিত্রশৈলী এবং প্রামাণ্যচিত্রে উৎসাহ যুগিয়েছে?

বলতে গেলে, অনেক ছবিই প্রচ্ছন্নভাবে আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। একটা ধ্রুপদী চিত্রশিল্প বা একটা চলচ্চিত্র, কিন্তু আমার মতে কিছু পুরনো বই যেমন দান্তে’র ডিভাইন কমেডি আর আরব্য রজনীর গল্প আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে।

 

‘টুডে’জ লাইফ অ্যান্ড ওয়্যার’ সিরিজটি একত্রিত করতে কত সময় লেগেছে আর করেছেনই বা কিভাবে?

কাজের পূর্বপরিকল্পনাতেই অনেকটা সময় ব্যয় হয়। ধারণাগুলো নিয়ে গবেষণা করা আর দৃশ্যায়নের জায়গা বা মডেল খোঁজায় সাধারণত ছয়মাসের বেশি সময় লেগে যায়। অনেকটা চলচ্চিত্র নির্মাণের মতই। ছবি তুলতে আরও একমাস যায়। আমার সব সিরিজেই আমি একটা ছোট্ট দল নিয়ে কাজ করি। আমার জীবনসঙ্গী, হামেদ নূরী, একজন শিল্পী এবং আমার সব কাজের শ্রেষ্ঠ উপদেষ্টা।


Gohar-Dashti-pic 6

গহর দাশতির আলোকচিত্র ৬


আপনার নারীত্ব কিভাবে আপনার শৈল্পিক এবং রাজনৈতিক উদ্ভাসনকে প্রভাবিত করে?

আমার লিঙ্গীয় পরিচয় আমারই একটা অংশ এবং আমি সেটাকে আমার কাজের ক্ষেত্রে অস্বীকার করতে পারিনা। কিন্তু সেটাই সবটা নয়। আমার প্রায় সব কাজেই আপনি নারীদের নিয়ে কিছু না কিছু দেখতে পাবেন।

 

আপনার পরবর্তী কাজ কি হতে চলেছে এবং তার প্রদর্শনী আপনি কোথায় করার ইচ্ছা রাখেন?

বর্তমানে, আমি যে শহরে বাস করি সেই শহর নিয়ে একটা প্রজেক্টে কাজ করছি এবং পাশাপাশি আমার পরবর্তী সিরিজের জন্য গবেষণার কাজ শুরু করেছি।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

জন্ম ১৯৯৯ সালের ২৭ এপ্রিল, বরিশালে। বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বর্তমানে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে পড়াশোনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনুবাদ এবং কথাসাহিত্য নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।