বুধবার, এপ্রিল ২৪

বিরিক্ষ : সাদিয়া সুলতানা

0

সবুজ বিরিক্ষ যাহার
সবুজ সবুজ পাতা
সাইঞ্জাকালে পক্ষী ডাকে
শোনায় মায়ের কথা

এই বৃক্ষ ‘দোষ লাগা’ বৃক্ষ। এই বৃক্ষে ফুল আসে না, ফল ধরে না। একটা পাখিও বসে না এর ডালে। প্রকাণ্ড দেহবিশিষ্ট এই বৃক্ষের শাখায় শাখায় ঘাড় গুজে থাকে শুধু বড়ো বড়ো পাতা। পালোয়ানের মস্ত পাঞ্জার আকৃতির এইসব পাতার রং কচকচে সবুজ। শ্যাওলা রঙা বৃক্ষকাণ্ডে দ্রুত শাখা গজালেও কুঁড়ির দেখা মেলে না। অবিন্যস্ত শাখা-প্রশাখা মেলে বৃহৎ এক দৈত্যের মতো কেবল নিঃসঙ্গ বৃক্ষটি দাঁড়িয়ে থাকে। আদতে বৃক্ষটি সঙ্গীহীন নয়। এর আবাল্য সঙ্গী একজন। সে হলো ‘আবাগীর ব্যাটা।’

‘আবাগীর ব্যাটা বিরিক্ষডা কাটে না, ছাটেও না।’

আবাগীর ব্যাটাকে গালমন্দ করতে করতে জিকরুলের মা কল চাপে। বেউড় বাঁশে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ফাতেমা মুচকি মুচকি হাসে আর জিভে চকাস চকাস শব্দ তুলে তেঁতুল ভর্তা খায়। মতিভ্রষ্ট নাতনির অসঙ্গত আচরণে জিকরুলের মায়ের ক্রোধ বাড়ে। দাদী রোষে তাকালে বৃক্ষের পাতায় মোড়ানো ভর্তা মেলে ধরে তাকে খেতে সাধে ফাতেমা। নাতনির আদেখলাপনায় জিকরুলের মায়ের ঝাঁ ঝাঁ ক্রোধানল লাফিয়ে লাফিয়ে বৃক্ষের অগ্রভাগে ওঠে।

আবাগীর ব্যাটাকে গালমন্দ করতে করতে জিকরুলের মা কল চাপে। বেউড় বাঁশে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ফাতেমা মুচকি মুচকি হাসে আর জিভে চকাস চকাস শব্দ তুলে তেঁতুল ভর্তা খায়। মতিভ্রষ্ট নাতনির অসঙ্গত আচরণে জিকরুলের মায়ের ক্রোধ বাড়ে। দাদী রোষে তাকালে বৃক্ষের পাতায় মোড়ানো ভর্তা মেলে ধরে তাকে খেতে সাধে ফাতেমা।

বৃক্ষের আগায় চকমকি রোদ লেগে সবুজ পাতা ঝকমকায়। বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না ঐদিকে। চোখে ধান্দা লেগে যায়। মোহবিষ্ট আবাগীর ব্যাটা হাতের কাজ ফেলে তবু তাকিয়ে থাকে বৃক্ষের শিখরে।

নতমুখে জিকরুলের মা কল চাপে আর আবাগীর ব্যাটাকে গালমন্দ করে। কলপাড় বৃক্ষের চওড়া চওড়া পাতায় সয়লাব। পাতা জমে পানি যাওয়ার রাস্তাও সরু হয়ে এসেছে। পরিষ্কার করানোর নাম নেই, ওদিকে আবাগীর ব্যাটা দোকানে বসে পানের খিলি সাজাচ্ছে আর ডাক দিচ্ছে, ‘ও কাকী, যাওয়ার সময় এক গাল ভইরা যাইও। পঞ্চগড়ের গুয়া আনছি। দাঁড়ের নিচে পড়লে এক্কেরে গইলা যাইবো গো কাকী।’

আবাগীর ব্যাটার উদাত্ত আহ্বানে জিকরুলের মা ধন্দে পড়ে যায়। ধন্দে পড়ে যায় ফাতেমাও।

‘ও কাকা, এত পান কেডা খাইব?’

‘আবাগীর ব্যাটা নিজেই কত খায়!’

জিকরুলের মায়ের তিতে কথা শুনেও মিঠে হাসি দেয় আবাগীর ব্যাটা।

আবাগীর ব্যাটাই তো। যার প্রথম স্বামী বিয়ের মাস না ঘুরতেই অপঘাতে মারা যায়, দ্বিতীয় স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষ হয়ে ভরভরন্ত সংসারে গিয়েও যাকে দুশ্চরিত্রা অপবাদে কোলের শিশু নিয়ে পিতৃগৃহে ফিরতে হয়, সে তো আবাগীই। তার ব্যাটা তো আবাগীর ব্যাটাই।

আবাগীর ব্যাটার স্ত্রীও ফিরানির দিন পরপুরুষের হাত ধরে চলে গেছে, যার তাগড়া জোয়ানকালেও নতুন করে কেউ নিজের বেটির সম্বন্ধ জোড়েনি, তার স্বভাব কী করে অমন শান্ত দিঘির মতো হয়? কেমন করে সে গা এলিয়ে বসে থাকে? বন্ধ চোখেও পটুতার সঙ্গে বাহারি পানের খিলি সাজায়? কেমন করে সে গীত গেয়ে গেয়ে ঠুকুরঠুকুর সুপারি ছ্যাঁচে? এ কেমন মানুষ? কিছুতে ঘামে না, নোয় না; এ যেন বা ঐ বিরিক্ষের মতোন।

জিকরুলের মায়ের ধন্দ কাটে না। আবাগীর ব্যাটার হাত থেকে পানের খিলি নিয়ে সে চিবাতেও ভুলে যায়। প্রতিবেশী কাকীর দিকে ধাঁধাভরা চোখে তাকিয়ে আবাগীর ব্যাটা মুটুরমুটুর হাসে আর গুটুরগুটুর গীত গায়,

সাইঞ্জাকালে পক্ষী ডাকে
শোনায় মায়ের কথা
পক্ষীরে বুঝাই ক্যামনে
পরানে কত ব্যাথা…ও পক্ষীরে

কেউ এই বৃক্ষের ডালে ফল, ফুল বা পক্ষীর ছায়া দেখে না। আহসানুল্লাহ দেখে। দিনের আলো ফুরালে নির্জন বৃক্ষের শাখা-প্রশাখায় বসে বেশুমার পাখি। যেমন দল বেঁধে আসে, তেমন দল বেঁধে ওরা চলেও যায়। ঐ পক্ষীর দলকে আহসানুল্লাহ ভিন্ন কেউ দেখতে পায় না, বিরিক্ষের রহস্যও ভাঙে না। রহস্য ভাঙে না আবাগীর ব্যাটা আহসানুল্লাহরও।

ধোপাডাঙার মানুষ আড়ালে-আবডালে বলে, ঐ বিরিক্ষের নিচের মড়ার হাড়গোড়। যুদ্ধের কালে ঐখানে চোখ বেঁধে দাঁড় করিয়ে মানুষ মেরেছে মিলিটারিরা। রাতের আঁধারে মানুষের লাশ কবরে নামিয়ে মাটিতে চারা বুনেছে আহসানুল্লাহর নানা মোকাররম। কাউকে ভিড়তে দেয়নি আশেপাশে। মানুষের রক্ত-মাংসের সার পেয়েই অত হিলহিল করে বেড়ে উঠেছে অচিন বিরিক্ষ।

ধোপাডাঙার মানুষ আড়ালে-আবডালে বলে, ঐ বিরিক্ষের নিচের মড়ার হাড়গোড়। যুদ্ধের কালে ঐখানে চোখ বেঁধে দাঁড় করিয়ে মানুষ মেরেছে মিলিটারিরা। রাতের আঁধারে মানুষের লাশ কবরে নামিয়ে মাটিতে চারা বুনেছে আহসানুল্লাহর নানা মোকাররম। কাউকে ভিড়তে দেয়নি আশেপাশে। মানুষের রক্ত-মাংসের সার পেয়েই অত হিলহিল করে বেড়ে উঠেছে অচিন বিরিক্ষ। কেউ কেউ বলে আবাগীর ব্যাটার মতো ঐ বৃক্ষেরও দোষ আছে।

ফাতেমা ব্যগ্র ভঙ্গিতে কাকার কাছে এ কথাই যাচাই করতে চায়।

‘ও কাকা ঐ বিরিক্ষে বলে দোষ আছে? সত্যই কি হাড়হাড্ডি আছে ঐ বিরিক্ষের নিচে? মা কয়, আছে। বাপজান কয়, অত বছরকার হাড্ডি পাউডার হইয়া গেছে।’

বলতে বলতে চঞ্চলা ফাতেমা মাটির মেঝেতে ঢলে পড়ে। হাস্যরত ফাতেমাকে কপট রাগে ভর্ৎসনা করে আহসানুল্লাহ।

‘মা যে কী কয়! এই ধোপাডাঙার এ মাথা থেইকা সেই মাথা যদ্দূর যাও মাটির তলে খালি মানুষের হাড়হাড্ডি আর হাড়ের পাউডার। মা…আমার বিরিক্ষের কী দোষ বলো?’

এ গল্পও মিছে, মানতে পারে না জিকরুলের মেয়ে ফাতেমা। কাকা খালি আলাংফালাং করে, কথার গোমর ভাঙে না। রাগে থপথপিয়ে হেঁটে সে এই বাড়ির বাহির সীমানায় দাঁড়ায়, তারপর দাদীর মতো দাঁতমুখ খিঁচিয়ে বলে, ‘আবাগীর ব্যাটা, তোমার পান খাবো না আইজ।’

কিশোরীর মুখভঙ্গি দেখে আহসানুল্লাহ হাসে আর ঠুকুরঠুকুর সুপারি ছ্যাঁচে।

বিরিক্ষের কী দোষ বলো
বোবা হইয়া জনম নিলো
ডালে ডালে পক্ষী আইলো
মা মা ডাক যে দিলো

একজন মুরুব্বির হাতে রশিদপুরী পান দিয়ে দোকানের ঝাঁপ নামায় আহসানুল্লাহ। আছরের পর পান সাজিয়ে দোকানে তুলতে না তুলতেই ফুরিয়ে গেছে। খোলা পাতাগুলো আচ্ছাদন দিয়ে ঢেকে সে বাড়ির দিকে যায়। কাল সকালে সাজাবে এই পান। আহসানুল্লাহকে ধোপাডাঙার লোকে কদর করুক আর না করুক তার পানের কদর করে। কিছু বর্ষীয়ান মানুষ তাকে আবাগীর ব্যাটা বলে ছি ছি করলেও তারা বরাবর বাড়ির কামলাকে দিয়ে লুকিয়েচুরিয়ে পান আনায়। স্বীকার করুক আর না করুক ভরপেট খেলে আহসানুল্লাহর হাতের তৈরি পানের জন্য তাদের প্রাণ আইঢাই করে। নানার কাছ থেকে পান বানানো শিখেছিল আহসানুল্লাহ। তার নানা মোকাররম গঞ্জে গিয়ে পান, সুপারি আর মসলাপাতি কিনত। খোরমা, মোরব্বা, কিসমিস, দারুচিনিসহ হরেক মসলা কিনে আনলেও বিশেষ কায়দায় মসলারে মিশ্রণ নিজ হাতে তৈরি করতো মোকাররম। মেয়ের ঘরের নাতিই তার সেই বিশেষ মসলার গুপ্ত প্রস্তুতপ্রণালীর উত্তরাধিকার হয়েছে।

আহসানুল্লাহর মনে আছে সেদিনের কথা, নানার সঙ্গে শেষ যেদিন সে গঞ্জে গিয়েছিল, ওকে দেখে এক লোক ছুটে এসে বলেছিল, ‘এ আবাগীর জাউরা ব্যাটাটা না? বাপরে, মিলিটারির মতোই উঁচা-লম্বা! গায়ের রংও এক্কেরে টকটকা।’

আহসানুল্লাহর মনে আছে সেদিনের কথা, নানার সঙ্গে শেষ যেদিন সে গঞ্জে গিয়েছিল, ওকে দেখে এক লোক ছুটে এসে বলেছিল, ‘এ আবাগীর জাউরা ব্যাটাটা না? বাপরে, মিলিটারির মতোই উঁচা-লম্বা! গায়ের রংও এক্কেরে টকটকা।’

বাড়ি ফিরে নানাকে কোনো প্রশ্ন করেনি আহসানুল্লাহ। বৃক্ষের পাশে গিয়ে দুহাত মেলে দাঁড়িয়েছিল। এরপর থেকে রোজ সূর্য মাথার উপর উঠলে সে বৃক্ষের পাশে এমন ঢঙেই দাঁড়িয়ে থাকত। এখনকার অতিকায় বৃক্ষ তখন ছিল ওরই মতোন কিশোর। রোদে পোড়া কিশোরের শরীর জুড়াতেই যেন সকলের অগোচরে তরতর করে বেড়ে উঠেছিল বৃক্ষ, নিজের ল্যাতপ্যাতে শাখা-প্রশাখার বিস্তার ঘটিয়েছিল বাড়ির সীমানা ছাড়িয়েও। ততোদিনে কিশোর থেকে তরুণ হয়েছে আহসানুল্লাহ, টকটকে গৌর-বর্ণ তার পুড়ে পুড়ে মাটি রঙা হয়েছে। মোকাররম চোখ বুজেছে। আহসানুল্লাহর আবাগী মা ছিটগ্রস্ত মস্তিষ্ক নিয়ে বেঁচে ছিল তখনো।

মায়ের কথা মনে করে উদাসীন আহসানুল্লাহ মা ফাতেমা ও হযরত আলীর পালা গান ধরে। নানার হাত ধরে বালক আহসানুল্লাহ শুনতে যেতো নিশি পালা। আহা কত দরদ ছিল সেই পালায়!

‘আমার নবীজির মা ফাতেমা
জননী মা জননী মা…
নবীজি কোথাও বসে থাকলে
মা ফাতেমা সেথায় গেলে
করতেন নবী ভাবের বিনিময়
মা ফাতেমাকে সালাম দিয়া
দরদী…উঠতেন নবী দাঁড়াইয়া।
জননী মা জননী মা…
মা ফাতেমা…’*

দিন যায়। মাস যায়। এদিকের মাটিতে ফাতেমার পা পড়ে না। জিকরুলের মাও পানি নিতে আসে না। শরৎ পেরিয়ে শীত আসে। দোষ লাগা বৃক্ষের পাতা ঝরে পড়ে। মচমচা পাতা ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার ছোঁয়ায় নরম হয়। আহসানুল্লাহ দোকানের ঝাঁপ ফেলে লঘু পায়ে বৃক্ষের নিচে এসে দাঁড়ায়। মন উদাস তার। বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা শূন্য। পক্ষীকূলের দেখা নেই। ফাতেমারও দেখা নেই। লোকে কানাঘুষা করে মেয়েটার বড়ো বিপদ। গর্ভে অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান এসেছে ফাতেমার।

চপলা কিশোরীটির জন্য আবাগীর ব্যাটার মন কেমন কেমন করে। এইটুকুন হাত পেতে ফাতেমা সাচি পান নিত, তর্জনির চুন কায়দা করে জিভে এঁকে বলত, ‘কাকা, আরেট্টু মসলা দাও তো।’ ঐ মেয়েকে মা বলে ডেকে ডেকেও প্রাণের আশ মেটে না। মা…মা…। শীতের বাতাসে বেদনার আহাজারি শুনতে শুনতে আহসানুল্লাহ হাঁটে। মৃদুমন্দ হাওয়ার পরশে দরদভরা বুক ভাঙে তার।

জিকরুলের বাড়ির দুয়ারে এসে টোকা দেয় আহসানুল্লাহ। দরজা খুলে বেরিয়ে অতিথির মুখদর্শন করে গৃহকর্তার ভ্রু কুঁচকে যায়।

‘ভাতিজিরে মারিস না জিকরুল। অয় আমার মা লাগে। আমার মায়ের বুকে বড়ো কষ্ট। যেই জালিম ওরে কষ্ট দিছে ওরে ধর।’

‘অত কথার কাম কী? নিজের কামে নিজে যা। আমার মাইয়া আমি বুঝমু।’

জিকরুলের পিছলকাটা স্বর শুনে বাড়ি দিকে পা বাড়ায় আহসানুল্লাহ। পেছনে আবাগীর ব্যাটাকে বাপ-মা তুলে গালিগালাজ করে জিকরুলের মা। বুড়ি থুড়থুড়ির দাঁত নির্দয় শীতে কাঁপে থরথর, তবু তার মুখের কপাট বন্ধ হয় না। জিকরুলের মায়ের মুখনিঃসৃত শব্দসমূহ দাঁতের চাপে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে আবাগীর ব্যাটার কানে পৌঁছায়, জা-উ-রা।

জিকরুলের পিছলকাটা স্বর শুনে বাড়ি দিকে পা বাড়ায় আহসানুল্লাহ। পেছনে আবাগীর ব্যাটাকে বাপ-মা তুলে গালিগালাজ করে জিকরুলের মা। বুড়ি থুড়থুড়ির দাঁত নির্দয় শীতে কাঁপে থরথর, তবু তার মুখের কপাট বন্ধ হয় না। জিকরুলের মায়ের মুখনিঃসৃত শব্দসমূহ দাঁতের চাপে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে আবাগীর ব্যাটার কানে পৌঁছায়, জা-উ-রা।

ছাওয়ের দুক্ষে মাও কান্দে
পরান কান্দে কই
পরান বান্ধা বৃক্ষের ডালে
কোথায় গেলা সই।

যেমন সুরেলা কণ্ঠস্বর তেমন আশ্চর্য সুন্দর দেহ সৌষ্ঠব আবাগীর ব্যাটার। দুহাত ছড়িয়ে সে যখন বৃক্ষের নিচে দাঁড়িয়ে থাকে তখন তার উদলা দেহকাণ্ডটি বৃক্ষের মতোই অবিচল লাগে। দোষ লাগা বৃক্ষের নিচে এমন সুঠাম বৃক্ষ দেখে ধোপাডাঙার মানুষেরা ধন্দে পড়ে যায়। চোখের ঝাঁপ বন্ধ হয় না কারও, হৃদস্পন্দনও থেমে যায়।

সেই রাতে আবাগীর মতো বৃক্ষের ডালে ফাঁস নিতে এসে ফাতেমাও সকল কার্যকারণ ভুলে বিরিক্ষ দুটির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।

*(ঋণ: গল্পে লতিফ সরকার ও মায়া রানির ‘মা ফাতেমা ও হযরত আলীর পালা গান’র একটি অংশ ব্যবহারের জন্য ঋণ স্বীকার করা হলো।)

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

কথাসাহিত্যিক

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।